বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হ্যাঁ, এভাবে নামাজ পড়া যাবে।
(০২)
1731 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
ওজু খানা এবং বাথরুম পৃথক পৃথক হওয়া অধিক উত্তম।কেননা হাদীস শরীফে এসেছে.....
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবীজী সাঃ বলিয়াছেন,
ﻻ ﻳﺒﻮﻟﻦ ﺃﺣﺪﻛﻢ ﻓﻲ ﻣﺴﺘﺤﻤﻪ ﺛﻢ ﻳﻐﺘﺴﻞ ﻓﻴﻪ ﻗﺎﻝ ﺃﺣﻤﺪ ﺛﻢ ﻳﺘﻮﺿﺄ ﻓﻴﻪ ﻓﺈﻥ ﻋﺎﻣﺔ ﺍﻟﻮﺳﻮﺍﺱ ﻣﻨﻪ
তোমরা কেউ বাথরুমে প্রস্রাব করিও না,কেননা কিছুক্ষণ পর সে তথায় ওজু/গোসল করবে,এবং প্রস্রাব করার ধরুণ নাপাকির ওয়াসওয়াসা সেখান থেকেই তার অন্তরে সৃষ্টি হবে।(আবু-দাউদ;২৭)
কেউ বাথরুমে ওজু করলে ওজুর দু'আ পড়তে হবে কি?এমন প্রশ্নের জবাবে আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ
ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓِﻲ اﻟْﺨَﻼَءِ ﻟِﻌُﺬْﺭٍ ﻫَﻞْ ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺑِﺎﻟْﺒَﺴْﻤَﻠَﺔِ ﻭَﻧَﺤْﻮِﻫَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺩْﻋِﻴَﺘِﻪِ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﺴُﻨَّﺔِ اﻟْﻮُﺿُﻮءِ ﺃَﻭْ ﻳَﺘْﺮُﻛُﻬَﺎ ﻣُﺮَاﻋَﺎﺓً ﻟِﻠْﻤَﺤَﻞِّ؟ ﻭَاَﻟَّﺬِﻱ ﻳَﻈْﻬَﺮُ اﻟﺜَّﺎﻧِﻲ ﻟِﺘَﺼْﺮِﻳﺤِﻬِﻢْ ﺑِﺘَﻘْﺪِﻳﻢِ اﻟﻨَّﻬْﻲِ ﻋَﻠَﻰ اﻷَْﻣْﺮِ ﺗَﺄَﻣَّﻞْ.
যদি কেউ বাইতুল খালা বা বাথরুমে ওজু করে,তাহলে কি সে ওজুর মাসনুন দু'আ পড়বে? না ছেড়ে দিবে?আমার কাছে না পড়াই অগ্রগণ্য।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৪)
তাই বুঝা গেল যে,প্রথমত বাথরুমে ওজু না করাই উত্তম,তবে ওজু করাও জায়েয।অন্যদিকে বাথরুমে ওজু করলে মাসনুন দু'আ সমুহ পড়া লাগবে না এবং পড়া যাবেও না।এমনকি আয়না দেখার দু'আ ও পড়া যাবে না।এ সম্পর্কে আরো জানুন-
1015
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এটাচ বাথরুমে অজু করা যাবে,তবে উক্ত বাথরুমে দু'আ পড়া যাবে না।বরং বাথরুমে প্রবেশের পূর্বে এবং বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর দু'আ পড়তে হবে।
(০৩)
হাটু পুরুষের সতরের অন্তর্ভুক্ত।
হাটু ঢাকা ফরজ,খোলা রাখলে গুনাহ হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
'হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর ইবনে আবি তালিব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত অঙ্গগুলো হলো সতর (মুস্তাদরাকে হাকিম)।
'রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, কোনো পুরুষ কোনো পুরুষের সতরের দিকে তাকাবে না, কোনো মহিলা মহিলার সতরের দিকে তাকাবে না (তিরমিজি দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ১০৭)।
(০৪)
নাপাক যেকোনো জিনিস কাপড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হয়।
নাপাক থেকে পাক করার পদ্ধতি সংক্রান্ত জানুনঃ