আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
378 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (-1 points)
কোনো ছাত্র পরীক্ষায় ফেল করেছে কারন সে ঠিকমত পড়াশোনা করেনি এবং অবহেলায় ও বেহুদা কাজে সময় নষ্ট করেছে।

এখন সে বলে:
"তকদীরে লেখা ছিলো বলে সে ফেল করেছে।"

প্রশ্ন: তকদিরের ব্যাপারে তার কথা কী ঠিক? সত্যিই কী তার তকদিরে এ কথা লেখা ছিলো?

1 Answer

0 votes
by (566,640 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলো তাকদীর সম্পর্কে আলোচনা পর্যালোচনা করা ঠিক নয়।
তাকদীর বিষয়ে আলোচনা করার অনুমতি নেই। 
খোদ রাসুল ছাহাবায়ে কেরামদেরকেই এ সম্পর্কে আলোচনা করতে নিষেধ করেছেন,আর আমরা তো দূর্বল ঈমানদার।

হাদীস শরীফে  এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ نَتَنَازَعُ فِي القَدَرِ فَغَضِبَ حَتَّى احْمَرَّ وَجْهُهُ، حَتَّى كَأَنَّمَا فُقِئَ فِي وَجْنَتَيْهِ الرُّمَّانُ، فَقَالَ: أَبِهَذَا أُمِرْتُمْ أَمْ بِهَذَا أُرْسِلْتُ إِلَيْكُمْ؟ إِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ حِينَ تَنَازَعُوا فِي هَذَا الأَمْرِ، عَزَمْتُ عَلَيْكُمْ أَلاَّ تَتَنَازَعُوا فِيهِ.

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। একদা রাসূল সাঃ আমাদের কাছে আসলেন এমতাবস্থায় যে, আমরা তাকদীর বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। তখন রাসূল সাঃ প্রচন্ড রেগে গেলেন।রাগে চেহারা আনারের মত রক্তিম বর্ণ হয়ে গেল। তিনি বললেন, তোমরা এ এসব করতে আদিষ্ট হয়েছো? নাকি আমি এসবের জন্য আবির্ভূত হয়েছি? ইতোপূর্বের লোকজন এ বিষয়ে আলোচনা করে ধ্বংস হয়েছে, আমি তোমাদের দৃঢ়তার সাথে বলছি, তোমরা এ বিষয়ে বিবাদে লিপ্ত হয়ো না। {তিরমিজী, হাদীস নং-২১৩৩}
,
দুনিয়াতে বান্দা ভাল এবং মন্দ উভয় কাজের জন্য স্বাধীন। এখানে আল্লাহ তাআলা কাউকে কোন কাজ করতে বাধ্য করেন না সরাসরি। বাকি বান্দা কী করবে? তা আল্লাহ তাআলা আগে থেকেই জানেন। সেই হিসেবে আগেই সব কিছু লিখে রাখা হয়েছে। আল্লাহ তাআলার উক্ত লিখে রাখার দ্বারা বান্দার কাজে কোন প্রভাব সৃষ্টি করে না। তা’ই বান্দা তার কর্ম অনুপাতে বদলা পাবে। ভা করলে ভাল। আর মন্দ করলে মন্দ। আর বান্দা যেহেতু জানে না, আল্লাহ তাআলা কী লিখে রেখেছেন, তাই বান্দার উচিত ভাল কর্ম করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকা। এবং মন্দ কর্ম থেকে নিজেকে বিরত রাখা। আর এ বিষয়ে অতিরিক্ত আলোচনা মোটেই উচিত নয়। যা ইতোপূর্বে উল্লেখিত হাদীস দ্বারা পরিস্কার হয়ে গেছে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এটা তাকদিরে আগে লেখা ছিলো,তাকদিরে লেখা ছিলো বলেই সে ফেল করেছে,বিষয়টি এমন নয়।
বরং আহকামুল হাকিমিন,প্রজ্ঞাময় মহান আল্লাহ তায়ালা তার ফেল হওয়ার বিষয় আগে থেকেই জানতেন,বলে সেটা তাকদিরে লেখা ছিলো। 
,
এহেন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা ঠিক নয়।
,  
আরো জানুন


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...