আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
129 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।
আমি জাহিলিয়াতে থাকা অবস্থায় সালাত আদায় করতাম না।  সালাত আদায়ে একেবারেই অসচেতন ছিলাম।  আমার মা/ বাবা আমাকে সালাত আদায়ের কথা বললে আমি খুবই বিরক্ত হতাম।  এমনকি একবার চূড়ান্ত বিরক্ত হয়ে আমার মাকে বলেছিলাম যে “আমি ভবিষ্যতে খ্রিস্টান হয়ে যাব তাহলে আমাকে আর সালাত আদায় করতে হবে না ”।  কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আমি ঐ অবস্থা থেকে তওবাহ করেছি এবং এখন আর ইচ্ছা করে সালাত কাযা করি না।  তবে আমি আমার আগের কাযাকৃত সালাতগুলো এখনো আদায় করিনি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে শায়েখ উক্ত কথা দ্বারা আমি কী ইমান থেকে খারিজ হয়ে গিয়েছিলাম নাকি আমার ইমান বহাল ছিল?

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1780 নং ফাতাওয়ায় আমরা লিখেছি,
সাবালক হওয়ার পর থেকে সকল কা'যা নামাযকে আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে কা'যা নামাযকে আদায় না করে শুধুমাত্র তাওবাহ ইস্তেগফার যথেষ্ট হবে না।বরং অবশ্যই আদায় করতে হবে।এবং সাথে সাথে তাওবাহ ইস্তেগফার জারী রাখতে হবে।
কখন থেকে এবং কোন পদ্ধতিতে কা'যা নামায-কে আদায় করতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1609

জীবনে কতটি দিন বা মাস কিংবা বৎসরের নামায কা'যা হয়েছে,সে বিষয়ে অধিকাংশ ধারণার উপর ভিত্তি করেই মূলত নামায-কে কা'যা করতে হবে।যখন মনের মধ্যে পূর্ণ ঈয়াক্বিন চলে আসবে যে,এখন থেকে আরো কোনো নামায কা'যা নেই।তখন থেকেই কা'যা নামায কে সমাপ্ত করা হবে।

তিনটি হারাম সময় ব্যতীত যেকোনো সময় কা'যা নামায পড়া যাবে। https://www.ifatwa.info/1604

https://www.ifatwa.info/5822 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ কাযা নামায পড়ার নিয়ম এভাবে দিয়েছেন যে,উমুরী কাযা নামায আদায় করতে হলে প্রথমে কোন ওয়াক্তের কতটা নামায কাযা হয়েছে তা নির্ণয় করবে।যদি সেটা নির্ণয় করা সম্ভব না হয়। তাহলে অনুমান করে নিবে। অনুমান করে কোন ওয়াক্তের কতটি নামায কাযা হয়েছে সেটা নির্ধারণ করে নিবে। তারপর ধারাবাহিকভাবে একে একে সবগুলোকে  আদায় করে নিবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি নামাযও পড়েননি,এবং বলেছেন যে, ভবিষ্যতে খৃষ্টান হয়ে যাবেন, এদ্বারা আপনার ঈমান চলে গিয়েছিল।যাইহোক আপনি পরবর্তীতে তাওবাহ করে নিয়েছেন।সুতরাং খালিছ নিয়তে তাওবাহ করে নিলে আল্লাহ আপনার অতীতের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।আল্লাহ আপনার তাওবাহকে কবুল করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...