আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
101 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (89 points)
edited by
১. ভূল করে কেও যদি কথার দ্বারা কুফরি করলে বা হঠাৎ কুনো শরিয়তের বিষয় নিয়ে মজা করলে কি তার বিবাহ ভেঙ্গে যায়? না কি শুধু কালিমা পরে তওবা করলেই হয়, বিয়ে নতুন করে।পরার দরকার হয় না।

২.কেও তার স্ত্রীর সাথে মাঝার ছলে কথোপকথনের সময় বলছে যে " স্ত্রীর উপর ক্রাশ খেলে কি রোজা ভঙ্গ হয়? (কারো সৌন্দর্যে মোহিত হওয়াকে ইদানিং ক্রাশ খাওয়া বলা হয়)
স্ত্রী ও মজা করে বলছে, "হ্যা ভাঙ্গে, তোমার রোজা হয় না,আবার রাখতে হবে"

স্ত্রীর এই কথা কি শরিয়ত নিয়ে হাসি তামাশার মাঝে।পরে?বা ইমানে ভাঙ্গার মতো কারণ হয়?

৩. অন্যকে কাফের বললে সে যদি কাফের নয় হয় তবে যে কাফের বলেছে  সে নাকি কাফের হয়,এটা কি ঠিক?আর এভাবে কেও অন্য কে কাফের বলে নিজে কাফের হলে কি তার বিয়ে আবার দুহরাতে হবে?না তওবা করলেই হবে।

1 Answer

0 votes
by (708,000 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/7200 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
কাউকে কাফের বলার ক্ষেত্রে সতঃসিদ্ধ নিয়ম সম্পর্কে  আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-
ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد،
কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা।কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}

সুতরাং কারো কোন কাজে সন্দেহ হলেই বা সামান্যতম গুনাহের কাজ করলেই তাকে কাফের, মুরতাদ, নাস্তিক ইত্যাদি বলে প্রচার করা জায়েজ নয়। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।(সংগৃহিত)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কেউ কথার দ্বারা কুফরি করলে বা হঠাৎ কোনো শরিয়তের বিষয় নিয়ে মজা করলে,তার বিবাহ ভঙ্গ হবে না। হ্যা, তাকে অবশ্যই তাওবাহ করতে হবে।

(২)
কেউ তার স্ত্রীর সাথে মাঝার ছলে কথোপকথনের সময় বলছে যে " স্ত্রীর উপর ক্রাশ খেলে কি রোজা ভঙ্গ হয়? (কারো সৌন্দর্যে মোহিত হওয়াকে ইদানিং ক্রাশ খাওয়া বলা হয়)
স্ত্রী ও মজা করে বলছে, "হ্যা ভাঙ্গে, তোমার রোজা হয় না,আবার রাখতে হবে"

স্ত্রীর এই কথা শরিয়ত নিয়ে হাসি তামাশার মধ্যে পড়বে না। ইমানেও কোনো সমস্যা হবে না।


(৩)
অন্যকে কাফের বললে সে যদি বাস্তবে কাফির না হয়, তবে যে তাকে কাফের বলেছে,তাকে কাফির বলা যাবে না।হ্যা, এটা অবশ্যই ঠিক যে, কাউকে অযথা কাফির বলা অনেক বড় মিথ্যা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (708,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...