আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
172 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (91 points)
১. "কোনো বিবাহিত মানুষ,কথার বা কাজের দ্বারা কাফের হয়ে গেলে তার হাতে তিন দিন সময় থাকে এর ভিতরে সে পুনরায় ইসলামে ফিরে এলে তওবা করলে,কলিমা শাহাদত পাঠ করে,ইমান নবায়ন করলে, তার বিবাহ ভাঙ্গবে না বলবত থাকবে, তিন দিন চলে গেলে বিবাহ ভেঙ্গে যাবে, এর পর ইমান আনলে পুনরায় বিবাহ করতে হবে"

আমার এই জানা কি সঠিক?

২. অনেক দিন থেকেই নামাজ পরি,নামাজে মন বসে না, আত্তাহিয়াতু পরেছি কি না ভুলে যাই, নামাজ শেষে এর জন্য নিজের এই রকম মনভোলা নামাজ পরার জন্য রাগ উঠে। একটা পরামর্শ দিন যাতে মন বসিয়ে নামাজ পরতে পারি।

1 Answer

0 votes
by (584,580 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

(১)

إذا كان في المسألة وجوه توجب الكفر، ووجه واحد يمنع، فعلى المفتي أن يميل إلى ذلك الوجه كذا في الخلاصة في البزازية إلا إذا صرح بإرادة توجب الكفر، فلا ينفعه التأويل حينئذ كذا في البحر الرائق، ثم إن كانت نية القائل الوجه الذي يمنع التكفير، فهو مسلم، وإن كانت نيته الوجه الذي يوجب التكفير لا تنفعه فتوى المفتي، ويؤمر بالتوبة والرجوع عن ذلك وبتجديد النكاح بينه وبين امرأته كذا في المحيط.

যখন কোনো কথাবার্তায় কুফরি হওয়া না হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, তখন মুফতি সাহেবের দায়িত্ব হল, তিনি কুফরি না হওয়ার ফাতাওয়া প্রদাণ করবেন।তবে বক্তা কুফরির ইরাদা সম্পর্কে স্পষ্ট করে নিলে, তখন কিন্তু কুফরির ফাতাওয়াই প্রদান করা হবে।তখন কিন্তু অন্য কোনো ব্যখ্যাকে স্থান দেয়া যাবে না। যদি বক্তার নিয়তে কুফরি না থাকে,তাহলে সে মুসলিম।আর বক্তার নিয়তে কুফরি থাকলে, তখন তাকে তাওবাহ করার এবং বিবাহ দোহড়ানোর পরামর্শ প্রদাণ করা হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/২৮৩)


স্বামী-স্ত্রী যে কারো মুখ থেকে এমন কোনো কথা বের হয়ে গেলে যা সর্বসম্মতক্রমে কুফরি, এমন কথা দ্বারা ঐ ব্যক্তি কাফির হয়ে যাবে।এবং তার বিবাহ সাথে সাথেই ভঙ্গ হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দিন তারিখের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নাই।যে তিনদিনের ভিতর ঈমান নিয়ে আসলে বিয়েকে দোহড়াতে হবে না।বরং একদিন পরে ঈমান আনা হোক বা একমাস পরে ঈমান আনা হউক ঈমান দোহড়ানোর সাথে সাথে বিবাহকেও দোহড়াতে হবে। সুতরাং কারো মুখ থেকে কোনো কথা বের হয়ে গেলে, উনার উচিৎ সাথে সাথেই ঈমানকে নবায়ন করা এবং বিয়েকে দোহড়িয়ে নেয়া।

(আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল,-১২/২০৬)


(وَارْتِدَادُ أَحَدِ الزَّوْجَيْنِ) أَيْ تَبَدُّلُ اعْتِقَادِ الْإِسْلَامِ بِالْكُفْرِ حَقِيقَةً عَلَى أَحَدِهِمَا كَمَا إذَا تَمَجَّسَ، أَوْ تَنَصَّرَ، أَوْ حُكْمًا كَمَا إذَا قَالَ بِالِاخْتِيَارِ مَا هُوَ كُفْرٌ بِالِاتِّفَاقِ (فُسِخَ) أَيْ رُفِعَ لِفَقْدِ النِّكَاحِ حَتَّى لَا يَنْتَقِصُ بِهِ عَدَدُ الطَّلَاقِ سَوَاءٌ كَانَتْ مَوْطُوءَةً، أَوْ غَيْرَهَا (فِي الْحَالِ) بِدُونِ الْقَضَاءِ عِنْدَ الشَّيْخَيْنِ.

মর্মার্থ-স্বামী স্ত্রীর মধ্য থেকে কেউ একজন মুরতাদ হয়ে গেলে,সাথে সাথেই বিয়ে ভেঙ্গে যাবে।

(মাজমাউল আনহুর-১/৩৭২)


(وَارْتِدَادُ أَحَدِهِمَا) أَيْ الزَّوْجَيْنِ (فَسْخٌ) فَلَا يُنْقِصُ عَدَدًا (عَاجِلٌ) بِلَا قَضَاءٍ.

স্বামী স্ত্রীর মধ্য থেকে কেউ একজন মুরতাদ হয়ে গেলে,সাথে সাথেই বিয়ে ভেঙ্গে যাবে।

(রদ্দুল মুহতার-৩/১৯৩)


(২)

https://www.ifatwa.info/1037 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,

هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ

তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)


রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি।এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1037


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

হয়তো নেককার কোনো ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন,নতুবা আপনি তাবলীগে ৩ চিল্লা সময় দিন। ৩ চিল্লা সম্ভব না হলে, অন্ততপক্ষে ১ চিল্লা সময় লাগান।সেটাও সম্ভব না হলে মাসে তিনদিন সময় লাগান।ধীরে ধীরে আপনার সবকিছু ঠিক হতে থাকবে।ইনশা'আল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (584,580 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...