আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
278 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা। আমার কিছু বিষয়ে জানার ছিল।বিষয় গুলো আমার না। তবু জানার জন্য।ওয়াাওয়াসায় আছে এ বিষয়গুলো নিয়ে।তাই জানার জন্য

১।ধরেন এমন কিছু লোক তারা কেনায়া আর শর্ত যুক্ত করে যে তালাক হয় সেটা জানত না।জানার পর ওরা যদি বুঝতে পারে ওদের মধ্যে এমনটা হয়েছে মানে ওদের তালাক হয়েছে।কিন্তুু আগে কোন তালাক হয়েছে সেটা জানে না মানে কেনায়া নাকি শর্ত যুক্ত তালাক আগে হয়েছে সেটা জানে না।তহ কেনায়া তালাক হলে আবার বিয়ে করা যায় আর বায়েন তালাকের পর আর কোন তালাক দিলেও হয় না বিয়ে যতদিন না করে।তহ ওরা জানে না আগে কোনটা হয়েছে।তহ ওরা কি একটা ধরবে তালাক নাকি ২ টা? আর ওরা কি শুধু কেনায়া ওটাকে ধরে বিয়ে করবে? আর স্বামী কি আর ২ তালাকের মালিক থাকবে?

২।আবার ধরেন কেউ জানে না তাদের কেনায়া তালাক হয়েছে কিনা।সসন্দেহে পড়ে  যায়।ওয়াাওয়াসায় ভুগে।তহ মানসিক শান্তির জন্য আবার বিয়ে করলে কি স্বামী ঠিকি ৩ তালাকের মালিক থাকবে? আর বিয়ে করবে যে সেটা সন্দেহের বসে সেখানেও কি ইদ্দত পালন করতে হবে? সন্দেহ নিয়ে? ধরেন স্বামী জানে না স্ত্রীর সন্দেহের বসে আবার বিয়ে করবে বলতেছে।স্বামীকে বুঝানো সম্ভব না হলে ইদ্দত করতে হবে?

৩।আবার কেউ ধরেন সন্দেহ নিয়ে কেনায়া তালাকের আবার বিয়ে করেছে।বিয়ে ওটার পর কেনায়া তালাকের ব্যপারে মনে পড়লে করণীয় কি মানে তালাক হয়েছিল সেটা মনে পড়লে? স্বামী কয় তালাকের মালিক থাকবে?

৪।আর কেনায়া তালাক যদি হয়, তখন কেনায়া তালাক দেওয়ার আগে  যদি স্ত্রীকে তালাকের অধিকার আর শর্ত যুক্ত করে তালাকের কথা বলে থাকে সেটি আবার বিয়ের পর ও বহাল থাকবে?  নাকি থাকবে না?

৫।কেউ যদি তার স্ত্রীকে বিয়ের আগে বলে যদি  এসময় আমাদের বিয়ে হত তুমার কাজ এটার দ্বারা ছেড়ে দিতাম।তহ বিয়ের পর করলে কি তালাক হবে? দিতাম বললে?

৬।কেউ ধরেন অন্য জনের কথার উত্তরে হ্যা বা আচ্ছা বলেছে।মাথায় যদি আগে থেকে তালাকের চিন্তা ঘুরে বা ওয়াসওয়াসা আসে যে ত....... দিচ্ছে স্ত্রীকে।অনিচ্ছা সত্বেও এধরনের ওয়াসওয়াসা বা চিন্তা মাথায় আসলে ।অন্য জনকে হ্যা বলার কারনে কি তালাক হবে মনে এ ধরনের ওয়াসওয়াসা বা চিন্তা আসলে?

৭।কোন স্ত্রী নিজেকে তালাক না দিয়ে স্বামীকে তালাক বললে কি তালাক হবে? মানে দিলাম বলে নি স্বামীকে শুধু স্বামীর দিকে  ইন্গিত করে তালাক বললে কি তালাক হবে?আরেকটা প্রশ্ন তুমাকে জ্বালাব না আর এটা কি কেনায়া বাক্য?

৮।স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে তুমি তহ ভেবেছিলে বা মনে এসেছিল কেমনে থাকব এই ছেলের সাথে সারাজীবন।জায়গা সম্পত্তি কিছু নাই।স্ত্রী ভাবলেও স্বামীকে এসব না বললে আর স্বামীর এই কথা দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে?

৯।আসলে মেয়েটার টিক  মনে নেই সেটা।আর কথাটা হচ্ছে ওর আর ওর স্বামীর বিয়ের ও অনেক বছর আগের।মেয়েটার ঘরে ওর দাদি ভান্ডারি বা ওরশ করাত।মেয়টা পছন্দ করত না।তহ ওর স্বামী বিয়ের আগে এটা নিয়ে একটা ওকে কথা বলেছিল ঠিক কি বলেছে স্বামীর ও মনে নেই।মনে হয় এরকম বলেছিল " তুমার মাঝে যদি এসব থেকে থাকে বা দেখি ছেড়ে  দিব তখন"।নাকি শর্ত যুক্ত তালাক যা থেকে থাকলে বা মনে থাকলেও তালাক হবে,মনে নেই কারো।আর মেয়েটা এমনিতেও ভান্ডারি এসব পছন্দ করে না।তহ মেয়েটার মনে এ বিষয়ে মানে স্বামী আগে যেটার জন্য বলেছিল সেটা যদি বিন্দু পরিমান ও ভাল লাগা  থেকে থাকে তাহলে কি সমস্যা হবে? আসলে কি বলেছিল সেটাও স্পষ্ট  মনে ও নেই।আর বিয়ের আগের কথা তহ মাঝে মাঝে মনে হয় যে ওর এমন শর্ত যুক্ত তালাক যা বিয়ের পর হবে।কারো মনে নেই স্পষ্ট।তবে ছেড়ে দেওয়ার কথা হয়েছিল মানে এরকম দেখলে ছেড়ে দিবে নাকি এতটুকুতে তা..... কি বলেছে মনে নেই।আর মানুষের মনে নানা ধরনের ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে না চাওয়া সত্বেও । তহ এভাবে মানুষের মনের ভাবনার সাথে কি শর্ত যুক্ত করে তালাক দেওয়া যায় বা হয়?

১০।কোন স্ত্রী যদি বলে মা বাবা মানবে না বিয়ে।মানে ছেলে চাকরী না করলে।বিয়ে  ধরেন করে ফেলেছে।বাসায় জানে না।তহ এরপর স্বামী যদি বলে না,মানলে বাবার পছন্দমত করগা বা করিও।আর এসব কথা স্বামী তালাকের নিয়ত ছাড়া বললে কি তালাক হবে?

১১।কোন বিবাহিত কেউ যদি বলে আমি অবিবাহিত বা এখনো বিয়ে করি নি।তাহলে কি কোন সমস্যা হয়?মানে চুরি করে বিয়ে কাউকে আপাতত না জানাতে চাইলে।পরে জানাবে এমনটা আর কি।

১২।এসব প্রশ্ন করায় কি আমার বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবে? আমি জানার জন্য করেছি।আর প্রশ্নগুলো করার সময় নানা ধরনের ওয়াসওয়াসা আসে আমার মনে এতে কি কোন সমস্যা হবে? আমি মনে  মনে না না করি। আর ৯ নং প্রশ্নটা আমাদের দিকে ইন্গিত না করে করেছি।এটা আমার প্রশ্ন হলেও মনে নেই আমার স্পষ্ট।এটা নিয়ে প্রশ্ন করায় কি কোন সমস্যা হবে আমাদের বৈবাহিক জীবনে? আমি একজন মেয়ে।

১৩।এটা জানার জন্য প্রশ্ন করতেছি।কোন স্ত্রীকে যদি স্বামী তালাকের অধিকার দেয়।স্বামী যদি স্ত্রীর কাছে তালাক চাই বা স্ত্রী যদি দিবে বলে।বা স্ত্রীও যদি চায় তার স্বামীর কাছ থেকে।এরপর স্ত্রী যদি বলে স্বামীকে তুমি মুক্ত বা এ ধরনের কোন কেনায়া বাক্য।বা যদি বলে চলে গেলাম বা যোগাযোগ করব না  আর এরকম বলে বা ভুলে যাব এমন বলে । আবার যদি বলে সম্পর্ক নেই বা রাখব না।এতে কি তালাক হয়? নিজেকে না দিয়ে এসব বললে? আর এসব বলার সময় যদি তালাকের নিয়ত না থাকে স্ত্রীর তাহলে কি তালাক হবে? আসলে এমনিতে জানার জন্য করেছি প্রশ্ন।

১৪।আমি সব জানার জন্য প্রশ্ন করেছি। এখানে সব কথা আমার সাথে মিলে না।হয়ত ২ –১ টা মিলে তাও মাঝখানে মাঝখানে কিন্তুু আমি সব জানার জন্য প্রশ্ন করেছি।এতে কি আমার বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবে?এমনকি ১ টা পুরো প্রশ্নও আমার জীবনের নয়।আংশিক আংশিক।আর নিজের দিকেও ইন্গিত করি নি প্রশ্নে।

১৫।ধরেন কোন স্ত্রী সারাদিন কাজ করেছে অসুস্থ  তবু।স্বামীর সাথে ফোনে কথা হয় মেসেজে। স্বামী দূরে থাকে।স্বামীর সাথে কথা বলতে একটু দেরি হওয়ায়,সে bye   বলে রেখে দিল।স্ত্রীর খুব খারাপ লাগল।কি করবে সে সারাদিন খাটনি।সে রাগ করে যদি বলে আমি মরে গেলে খুশি হবি? বল কি করতাম আমি আর মরে যাব, তুদের জ্বালা আমি আর সইতে পারব না।স্ত্রীর এসব কথা দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে স্ত্রীকে স্বামী তালাকের অধিকার  দিলেও? সে নিজেকে তালাক দেই নি।শুধু রাগের কারনে  দুঃখের কারনে এসব বললে?আর স্বামীকেও যদি বলে আমি মরি মত দোয়া কর।অন্তত আল্লাহর কাছে গিয়ে হলে একটু সুখে থাকি মত।আর পারতেছি না এত কস্ট নিতে।আসলে সে বিচ্ছেদ চাই না। এসব কথা বলার সময় মনে বিভিন্ন ওয়াসওয়াসা আসলেও সে মনে মনে না না বলে বলে কথা গুলো স্বামীকে বলেছে।

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।

قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ
এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .

আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
কেনায়া বাক্য বলে তালাক দেয়ার সময় স্বামীর মনে তালাক প্রদানের নিয়ত থাকলে ২ তালাক হবে।

আর নিয়ত না থাকলে স্পষ্ট বাক্যে যেহেতু শর্তযুক্ত তালাক ছিলো,তাই সেক্ষেত্রে ১ তালাক হবে। 

(০২)
যদি আগে আসলেই এক তালাক পতিত হয়ে থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে স্বামী ২ তালাকের মালিক থাকবে। 

(০৩)
এক্ষেত্রে স্বামী ২ তালাকের মালিক থাকবে। 

(০৪)
স্পষ্ট ভাবে এগুলো বলে থাকলে তাহা নতুন ভাবে বিবাহ পড়ানোর পরেও বহাল থাকবে। 

(০৫)
না,এতে বিবাহের পর তালাক হবেনা।

(০৬)
এতে তালাক হবেনা।

(০৭)
এতে তালাক হবেনা।

★এটি কেনায়া বাক্য নয়।

(০৮)
না কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০৯)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো শর্তযুক্ত তালাক হবেনা। 

(১০)
না,তালাক হবেনা।

(১১)
এতে মিথ্যা বলার গুনাহ হবে।
তবে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিকই থাকবে। 

(১২)
এসব প্রশ্ন করায় আপনার বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবেনা।

(১৩)
এতে তালাক হবেনা।

(১৪)
এসব প্রশ্ন করায় আপনার বৈবাহিক জীবনে সমস্যা হবেনা।

(১৫)
স্ত্রীর এসব কথা দ্বারা কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...