বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
إذا كان في المسألة وجوه توجب الكفر، ووجه واحد يمنع، فعلى المفتي أن يميل إلى ذلك الوجه كذا في الخلاصة في البزازية إلا إذا صرح بإرادة توجب الكفر، فلا ينفعه التأويل حينئذ كذا في البحر الرائق، ثم إن كانت نية القائل الوجه الذي يمنع التكفير، فهو مسلم، وإن كانت نيته الوجه الذي يوجب التكفير لا تنفعه فتوى المفتي، ويؤمر بالتوبة والرجوع عن ذلك وبتجديد النكاح بينه وبين امرأته كذا في المحيط.
যখন কোনো কথাবার্তায় কুফরি হওয়া না হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, তখন মুফতি সাহেবের দায়িত্ব হল, তিনি কুফরি না হওয়ার ফাতাওয়া প্রদাণ করবেন।তবে বক্তা কুফরির ইরাদা সম্পর্কে স্পষ্ট করে নিলে, তখন কিন্তু কুফরির ফাতাওয়াই প্রদান করা হবে।তখন কিন্তু অন্য কোনো ব্যখ্যাকে স্থান দেয়া যাবে না। যদি বক্তার নিয়তে কুফরি না থাকে,তাহলে সে মুসলিম।আর বক্তার নিয়তে কুফরি থাকলে, তখন তাকে তাওবাহ করার এবং বিবাহ দোহড়ানোর পরামর্শ প্রদাণ করা হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/২৮৩)
স্বামী-স্ত্রী যে কারো মুখ থেকে এমন কোনো কথা বের হয়ে গেলে যা সর্বসম্মতক্রমে কুফরি, এমন কথা দ্বারা ঐ ব্যক্তি কাফির হয়ে যাবে।এবং তার বিবাহ সাথে সাথেই ভঙ্গ হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দিন তারিখের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নাই।যে তিনদিনের ভিতর ঈমান নিয়ে আসলে বিয়েকে দোহড়াতে হবে না।বরং একদিন পরে ঈমান আনা হোক বা একমাস পরে ঈমান আনা হউক ঈমান দোহড়ানোর সাথে সাথে বিবাহকেও দোহড়াতে হবে। সুতরাং কারো মুখ থেকে কোনো কথা বের হয়ে গেলে, উনার উচিৎ সাথে সাথেই ঈমানকে নবায়ন করা এবং বিয়েকে দোহড়িয়ে নেয়া।
(আবকে মাসাঈল আউর উনকা হল,-১২/২০৬)
(وَارْتِدَادُ أَحَدِ الزَّوْجَيْنِ) أَيْ تَبَدُّلُ اعْتِقَادِ الْإِسْلَامِ بِالْكُفْرِ حَقِيقَةً عَلَى أَحَدِهِمَا كَمَا إذَا تَمَجَّسَ، أَوْ تَنَصَّرَ، أَوْ حُكْمًا كَمَا إذَا قَالَ بِالِاخْتِيَارِ مَا هُوَ كُفْرٌ بِالِاتِّفَاقِ (فُسِخَ) أَيْ رُفِعَ لِفَقْدِ النِّكَاحِ حَتَّى لَا يَنْتَقِصُ بِهِ عَدَدُ الطَّلَاقِ سَوَاءٌ كَانَتْ مَوْطُوءَةً، أَوْ غَيْرَهَا (فِي الْحَالِ) بِدُونِ الْقَضَاءِ عِنْدَ الشَّيْخَيْنِ.
মর্মার্থ-স্বামী স্ত্রীর মধ্য থেকে কেউ একজন মুরতাদ হয়ে গেলে,সাথে সাথেই বিয়ে ভেঙ্গে যাবে।
(মাজমাউল আনহুর-১/৩৭২)
(وَارْتِدَادُ أَحَدِهِمَا) أَيْ الزَّوْجَيْنِ (فَسْخٌ) فَلَا يُنْقِصُ عَدَدًا (عَاجِلٌ) بِلَا قَضَاءٍ.
স্বামী স্ত্রীর মধ্য থেকে কেউ একজন মুরতাদ হয়ে গেলে,সাথে সাথেই বিয়ে ভেঙ্গে যাবে।
(রদ্দুল মুহতার-৩/১৯৩)
(২)
https://www.ifatwa.info/1037 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি।এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1037
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হয়তো নেককার কোনো ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন,নতুবা আপনি তাবলীগে ৩ চিল্লা সময় দিন। ৩ চিল্লা সম্ভব না হলে, অন্ততপক্ষে ১ চিল্লা সময় লাগান।সেটাও সম্ভব না হলে মাসে তিনদিন সময় লাগান।ধীরে ধীরে আপনার সবকিছু ঠিক হতে থাকবে।ইনশা'আল্লাহ।