ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
পুকুরের আয়তন দৈর্ঘ্য প্রস্থ ১০/১০ বর্গ হাত না হলে,সেই পুকুরের পানিকে সাধারণত মায়ে কালীল বা কম পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সুতরাং তাতে সামান্যতম পানি পড়ে গেলেও সেই পানি নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে। গভীরতা কতটুকু সেটা আপনি উল্লেখ করেন নাই? ইডিট করে দিবেন বা কমেন্টে উল্লেখ করবেন।
(২)
পুকুরের পানি জমে থাকতে থাকতে পানির রং একটু তামাটে ধরনের হয়, কিন্তু তার স্বাদ ও গন্ধ ঠিক থাকে, এবং পানির গভীরতা কোমর পর্যন্ত, এমন হলে সেই পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে। পুকুর ছোট সাইজের হোক বা বড় সাইজের তিনটি গুণের দুইটি অবশিষ্ট থাকলে, সেই পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।
(৩)
ভেসে আসা বন্যার পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।
(৪)
ইট সিমেন্টের তৈরি পানির হাউজের দৈর্ঘ্য প্রস্থ ১৪/৬ ফুট। হাউজের গভীরতা ৪ ফুট ৯ ইঞ্চি। এই পানিতে নাপাক পানি পড়লে অল্প হোক বা বেশি, পুরো পানি নাপাক হয়ে যাবে।
(৫)
যদি পানির তিনটি গুণের দুইটি গুণ ফিরে আসে, তাহলে সেই পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।
(৬)
পানির ঢেউয়ের কারণে যদি অপর প্রান্তের পানি নড়াচড়া করে, তাহলে সেটাকে নড়াচড়া হিসেবেই ধরে নেয়া হবে।
(৭)
সূরা ফাতিহার শেষ আয়াত কয়েকবার রিপিট করলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।
(৮)
যদি এই পরিমাণ পানি টিস্যতে লাগে, যা দেখে মনে হয় যে, টিস্যু না হলে গড়িয়ে পড়ত, তাহলে এমন পানিকে গড়িয়ে পড়া পানির সমতুল্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
(৯)
আপনি এই পানি ব্যবহার করবেন না।বরং মটরের পানি ব্যবহার করবেন।