আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
edited by
http://ifatwa.info/45194 নং প্রশ্নটিতে আমি একটি বিষয় উল্লেখ করতে ভুলে গেছি।আমি তো জেনে শুনেই প্রস্রাবের ছিটা লাগা অবস্থায় বাথরুম থেকে বের হয়েছিলাম। কারন বাসায় আমার শিক্ষক এসেছিলেন। তো আমি ঐ ভেজা নাপাক শরীর ও কাপড় নিয়ে অনেক জায়গায় বসেছি, অনেক কিছু স্পর্শ করেছি। আমার শিক্ষক আসলে আমি ভেজা শরীরে সোফাতে বসেছি। শিক্ষক চলে যাওয়ার পর ভেজা হাতে খাবার তোলে খেয়েছি। ভাতের হাড়ির ভিতর থেকে ভাত তুলে নেওয়ার সময় আমার ভেজা হাত ভাতের সাথেও স্পর্শ হয়েছিল।  সেই ভেজা হাতে পানির জগ, গ্লাস সব ধরেছি। সেদিন সকাল থেকে না খেয়ে ছিলাম। তারপর ভেজা শরীরে বিছানায় শুয়েছি। যেহেতু আমার চুল লম্বা আর আমি চুল মোছার সময় পাই নি তাই এক ঘন্টা পরেও চুলের পানি পরার কারনে শরীর ও কাপড় ভেজা ছিল। আমি জানতাম যে আমি নাপাক।  সেই ভেজা অবস্থাতেই আমি আমার পরনের সব কাপড় গুছিয়ে রাখি। সেগুলোতেও ভেজার চিহ্ন দেখা গেছে। এরপর আমি ভেজা হাতে মশারি টানাই এবং ভেজা শরীরে বিছানায় ঘুমাই এবং গায়ে চাদর ঢাকা নিই। এতে তো আমার প্রায় সব কাপড় চোপড়, খাবার,  পানির গ্লাস,  জগ, থালা , চামচ সবকিছুই নাপাক হয়ে যায়। আবার যেগুলো নাপাক হয়েছে সেগুলো ভেজা হাতে ধরার পর অন্য জিনিসপত্রও ধরার কারনে সেগুলো নাপাক হয়ে গেছে।আবার আমি ঐ নাপাক অবস্থাতেই ভেজা হাওএ নাকের ময়লা পরিষ্কার করে ঘরের কোনে ফেলি। এতে ঐ ময়লা ভেজা অবস্থাতে যেসব জায়গাতে লেগেছে সেগুলোও নাপাক হয়ে গেছে। আমার পরিবারের অন্য কারোর পায়েও লাগতে পারে। কারন তারা ঘরের সব জায়গাতেই ঝাড়ু দেয়। সেই ভেজা পায়ে বিছানায় ওঠা হয়েছে। বিছানায়ও নাকের ময়লার অংশ দেখেছি।একদম শিওর। সন্দেহ নাই।
হুজুর এখন কী করতে পারি। এতো কিছু তো আর ধোয়া সম্ভব না। তাছাড়া আল্লাহ তো ক্ষমাশীল।  তিনি তো তার বান্দাদের উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না। যেটা হয়ে গেছে সেটা তো আর ঠিক করা সম্ভব না। আর এটা একটা দুর্ঘটনা মাত্র। আমি তো সবসময়ই পাক পবিত্র থাকি । এখন এটা ঘটে গেছে কী আর করার।

এখন কী আমি এই সবকিছুকে পাক ধরব?

এটা আমার আম্মুর একাউন্ট।

দয়া করে আগের প্রশ্নটি সহ এই প্রশ্নটি পুরোটা পরবেন।

আমি মানসিক শান্তি পাচ্ছি না। আমার বাবা মা আমার এই অবস্থা দেখে আমাকে সাইকোলোজিস্ট এর কাছেও নিয়ে গিয়েছিলেন।  আমি অনেক কেদেছি। কারন আমি সবসময়ই পাক পবিত্র থাকার চেষ্টা করেছি।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 



মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِلَّا مَا اضۡطُرِرۡتُمۡ اِلَیۡہِ
তবে তোমরা নিরুপায় হলে তা স্বতন্ত্র।
(সুরা আনআম ১১৯)

https://ifatwa.info/45194/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
যেহেতু প্রস্রাবের ছিটা আপনার শরীর বা হাতে লাগার পর আপনি ঐ হাত দ্বারা টেপ বদনা ইত্যাদি ধরেছেন, তাই সাধারণ নিয়মানুযায়ী আপনার হাত শরীর বদনা টেপ ইত্যাদি সবকিছু নাপাক হয়ে যাওয়ার কথা।

কিন্তু এখানে অনেক বড় মুশকিল দোখা দিবে, সেই অধিক কষ্ট থেকে পরিবারের সবাই বাঁচানোর লক্ষ্যে আমরা বলবো,আপনার বাড়ির কোনো কিছুই অপবিত্র হবে না। ভবিষ্যতে আর এরকম করবেন না।

ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের  প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত সব কিছুই নাপাক হয়ে যাওয়ার কথা।  
তবে ফুকাহায়ে কেরামগন যেহেতু ভবিষ্যতে আর এহেন না করার শর্তে প্রয়োজনের ভিত্তিতে অপবিত্র না হওয়ার ফতোয়া প্রদান করেছেন।

★প্রশ্নে উল্লেখিত কাপড় গুলোর মধ্যে যেগুলো নামাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন,সেগুলো পবিত্র করার পরামর্শ রইলো। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 179 views
0 votes
1 answer 139 views
...