হুজুর আগের প্রশ্নটিতে বলেছি যে আমার শরীর ,হাতে, পায়ে প্রস্রাবের ছিটা পড়েছিল। আমি হাত না ধুয়েই ভেজা হাতে বালতি, মগ,ট্যাপ, বদনা সবকিছু ধরেছিলাম। এমন সময় আমার শিক্ষক আসেন আমাকে পড়াতে। আমি আমার শরীর, হাত, পা , কাপড়, বালতি, মগ, বদনা, ট্যাপ (যেসব জায়গাতে প্রস্রাব লেগেছিল)কোনো কিছুই ধৌত না করে বাইরে বের হয়ে আসি। আমাকে আমার শিক্ষক এক ঘন্টা পড়ান। এই এক ঘন্টার মধ্যে আমার বাবা ও বোন সেই ট্যাপ ও বদনা ব্যবহার করেই প্রস্রাব করেছে। এতে তাদের হাত ও কাপড় অপবিত্র হয়ে যায়। তারা আবার সেই ভেজা অবস্থাতেই বাড়ির অন্যান্য কাজ করেন। এতে তারা যেসব কিছু স্পর্শ করেছেন সেগুলো নাপাক হয়ে যায়। এখন আমার শরীর তো নাপাক, যেসব কাপড় ধরেছি সেগুলো, বালতি , মগ , সবকিছুই নাপাক। আমি এখন কী করব। বাড়ির তো প্রায় সবকিছুই নাপাক। এতো কিছু তো ধোয়া সম্ভব না।
আমি আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে সবকিছুকে পাক ধরে ঐ অবস্থাতেই বালতি, মগ, ঐ জামাকাপড় ব্যবহার করে নামাজ পড়েছি। কেননা নামাজ না পড়ার থেকে ঐ অবস্থাতে নামাজ পড়া অনেক ভালো।
আমি কী এখন সবকিছুকে পাক ধরব?
এখন আমি কী করতে পারি জানাবেন। কারন বাড়ির সবাই গত দুইদিন ধরে সবকিছু ঐ ভাবেই ব্যবহার করছে। আর আমি কীভাবে নিজের শরীর ধৌত করব, বালতি তো নাপাক।আমিও নাপাক।বালতি ধুতে গেলে, আমার পুরো শরীর তো নাপাক। আমার শরীরের নাপাকী বালতিতে লাগবে , এতে বালতি পবিত্র হবে না।আর বালতি না পবিত্র হলে শরীর কীভাবে পাক করব। কিচ্ছু বুঝতে পারতেছি না হুজুর। তাই সবকিছুকে পাক ধরে নিয়ে ওভাবেই নামাজ পরছি। আল্লাহ তো ক্ষমাশীল। তিনি তো কারোর উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না। তিনি তৌ সব জানেন। হয়তো আমাকে পরীক্ষা করার জন্যই তিনি আমাকে এমন বিপদ দিয়েছেন। এখন তো আর কিছু করার নেই। সবকিছু তো আমার সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। আর গত দুইদিনে তো অনেককিছুই ধরা হয়েছে ভেজা অবস্থায়। এখন এতো সবকিছু তো পাক করা অসম্ভব।
আমি কীভাবে সবকিছু পাক করব? নিয়মটা বলে দিলে ভালো হয়। এতকিছু তো পাক করা সম্ভব না নাকি সবকিছুকে পাক ধরেই নামাজ পরব ?