আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
289 views
in পবিত্রতা (Purity) by (26 points)
edited by
হুজুর আগের প্রশ্নটিতে বলেছি যে আমার শরীর ,হাতে, পায়ে প্রস্রাবের ছিটা পড়েছিল। আমি হাত না ধুয়েই ভেজা হাতে বালতি, মগ,ট্যাপ, বদনা সবকিছু ধরেছিলাম।  এমন সময় আমার শিক্ষক আসেন আমাকে পড়াতে। আমি আমার শরীর,  হাত, পা , কাপড়, বালতি, মগ, বদনা, ট্যাপ (যেসব জায়গাতে প্রস্রাব লেগেছিল)কোনো কিছুই ধৌত না করে বাইরে বের হয়ে আসি। আমাকে আমার শিক্ষক এক ঘন্টা পড়ান। এই এক ঘন্টার মধ্যে আমার বাবা ও বোন সেই ট্যাপ ও বদনা ব্যবহার করেই প্রস্রাব করেছে। এতে তাদের হাত ও কাপড় অপবিত্র হয়ে যায়। তারা আবার সেই ভেজা অবস্থাতেই বাড়ির অন্যান্য কাজ করেন। এতে তারা যেসব কিছু স্পর্শ করেছেন সেগুলো নাপাক হয়ে যায়। এখন আমার শরীর তো নাপাক, যেসব কাপড় ধরেছি সেগুলো, বালতি , মগ , সবকিছুই নাপাক। আমি এখন কী করব। বাড়ির তো প্রায় সবকিছুই নাপাক।  এতো কিছু তো ধোয়া সম্ভব না।
আমি আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে সবকিছুকে পাক ধরে ঐ অবস্থাতেই বালতি, মগ, ঐ জামাকাপড় ব্যবহার করে নামাজ পড়েছি। কেননা নামাজ না পড়ার থেকে ঐ অবস্থাতে নামাজ পড়া অনেক ভালো।

আমি কী এখন সবকিছুকে পাক ধরব?


এখন আমি কী করতে পারি জানাবেন। কারন বাড়ির সবাই গত দুইদিন ধরে সবকিছু ঐ ভাবেই ব্যবহার করছে। আর আমি কীভাবে নিজের শরীর ধৌত করব, বালতি তো নাপাক।আমিও নাপাক।বালতি ধুতে গেলে, আমার পুরো শরীর তো নাপাক। আমার শরীরের নাপাকী বালতিতে লাগবে , এতে বালতি পবিত্র হবে না।আর বালতি না পবিত্র হলে শরীর কীভাবে পাক করব। কিচ্ছু বুঝতে পারতেছি না হুজুর। তাই সবকিছুকে পাক ধরে নিয়ে ওভাবেই নামাজ পরছি। আল্লাহ তো ক্ষমাশীল। তিনি তো কারোর উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না। তিনি তৌ সব জানেন। হয়তো আমাকে পরীক্ষা করার জন্যই তিনি আমাকে এমন বিপদ দিয়েছেন। এখন তো আর কিছু করার নেই। সবকিছু তো আমার সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। আর গত দুইদিনে তো অনেককিছুই ধরা হয়েছে ভেজা অবস্থায়। এখন এতো সবকিছু তো পাক করা অসম্ভব।
আমি কীভাবে সবকিছু পাক করব? নিয়মটা বলে দিলে ভালো হয়। এতকিছু তো পাক করা সম্ভব না নাকি সবকিছুকে পাক ধরেই নামাজ পরব ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যেহেতু প্রস্রাবের ছিটা আপনার শরীর বা হাতে লাগার আপনি ঐ হাত দ্বারা টেপ বদনা ইত্যাদি ধরেছেন, তাই সাধারণ নিয়মানুযায়ী আপনার হাত শরীর বদনা টেপ ইত্যাদি সবকিছু নাপাক হয়ে যাওয়ার কথা।কিন্তু এখানে অনেক বড় মুশকিল দোখা দিবে, সেই অধিক কষ্ট থেকে পরিবারের সবাই বাঁচানোর লক্ষ্যে আমরা বলবো,আপনার বাড়ির কোনো কিছুই অপবিত্র হবে না। ভবিষ্যতে আর এরকম করবেন না।
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের  প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়।
এরকম কিছু ফিকহী মূলনীতি 'উসূলে ফিকহ' এর কিতাবাদিতে সবিস্তারে বর্ণিত আছে,তন্মধ্যে কিছু মূলনীতি হল।
 যথাক্রমেঃ-
 ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...