আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in পবিত্রতা (Purity) by (31 points)
edited by
হুজুর এক জায়গায় এটি দেখলাম। বৃষ্টির_কারনে_রাস্তায়_জমে_থাকা_কাঁদা_ও_পানির
#উত্তরঃ
بسم الله الرحمن الرحيم
বৃষ্টির কারনে রাস্তায় জমে থাকা কাঁদা ও পানি পাক৷ তা শরীর বা কাপড়ে লাগলে ধৌত করা ব্যতীতই নামায আদায় করা জায়েয হবে৷ কেননা তা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়! তবে ধৌত করে নেওয়া উত্তম৷ কিন্তু কাঁদা বা পানিতে যদি স্পষ্ট নাপাকি থাকে বা নাপাক জায়গায় পানি জমে থাকে, তাহলে তা ধৌত করা ব্যতীত নামায আদায় করা জায়েয হবেনা৷

আর তিনটি শর্তে রাস্তার কাঁদা বা পানি শরীর বা কাপড়ে লাগলে তা মাফঃ
১৷ কাঁদা বা পানিতে নাপাকির পরিমাণ সমান বা বেশী না হলে৷
২৷ কাঁদা বা পানি ব্যতীত শুধু নাপাকি শরীর বা কাপড়ে না লাগলে৷
৩৷ কাঁদা বা পানি জমে থাকা রাস্তা ব্যতীত অন্য কোন রাস্তা চলাচলের জন্য না থাকলে৷
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻠﻢ ﺑﺎﻟﺼﻮﺍﺏ
#প্রমান্যগন্থাবলীঃ
ফতোয়ায়ে শামী ১/৫৩০ পৃষ্ঠা৷
ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া ৫/২২৮ পৃষ্ঠা৷
ফতোয়ায়ে কাসেমীয়া ১/৯৫ পৃষ্ঠা৷
আহসানুল ফতোয়া ২/৮৩ পৃষ্ঠা৷
বেহেশতী গাওহার ১১/১৫ পৃষ্ঠা৷
মাউসুআতুল ফিকহিয়্যা ৪০/১১৫ পৃষ্ঠা৷
আল-ফিকহুল ইসলামী ১/২৭৭ পৃষ্ঠা৷
#উত্তর_লিখনেঃ
মুফতী তাহমীদ শামী
আত তাহমীদ ইসলামীক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ
অার একটি ওয়েবসাইটে একটি উওরের লিংক
https://ahlehaqmedia.com/8182-2/
এখন অামার ৩ নাম্বার পয়েন্টের ( কাঁদা বা পানি জমে থাকা রাস্তা ব্যতীত অন্য কোন রাস্তা চলাচলের জন্য না থাকলে৷) ও উপরে  ওয়েবসাইটে লিংক এর ভিওিতে অামার প্রশ্ন

বৃষ্টির সময় সেই রাস্তা ব্যাতিত অন্য রাস্তা থাকলেও তা দিয়ে গেলে যদি ৫-৭ মিনিট বেশি লাগবে তখনও এই রাস্তা দিয়ে গেলে কি পানি নাপাক ধরব নাকি পাক

অার যদি অারও বেশি সময় লাগে তখন কি করব

দেখা যায় ড্রেন উপচে যে পানি রাস্তায় উঠে।তারপর নেমে যায় কিন্তু রাস্তা কাদা কাদা হয়ে থাকে অার রাস্তার নিচু স্থানে হালকা সেই পানি থাকে যাতে স্পষ্ট নাপাকি দেখা যায় না কিন্তু পানির রং ত কাদা মিশ্রিত অনেক সময় কালো দেখা যায়। সে সময় অামারদের মত জোয়ান বা অনেকেই ঘুরতে বের হয় তখন যদি পানির ছিটা ও কাদা লাগে তা অামাদের মত জোয়ান ছেলেদের  যারা ঘুরতে বের হই তাদের ক্ষেএে কি পাক ধরব নাকি নাপাক

বৃষ্টি ছাড়াও রাস্তায় বিভিন্ন কারণে পানি দেখা যায় অার মাঝে মাঝে হালকা কাদা থাকে। হয়ত তা অাশেপাশের বাড়ির পানি বা অন্য কোন ভাবে অাসা পানিও হতে পারে তা পাক নাকি নাপাক জানি না। অামরা যারা বিনা প্রয়োজনে ঘোরাঘুরি করি তাদের ক্ষেএে এই পানি কি পাক নাকি নাপাক ধরব

বৃষ্টির পানি বৃষ্টির সময় বাসার অাশে পাশে পানি জমে। অাবার সেই পানি গুলো র সাথে ড্রেনের পানির(সাধারণত ড্রেনের পানি নাপাক হওয়ার কথা)  মিশ্রণ হয় কিন্তু পানিতে স্পষ্ট নাপাকি দেখা যায় না অার বাসার সামনে জমা পানি হওয়ায় পানির রং সাধারণ পানির মত সেই পানি গুলো কি ধরব। ( অপ্রয়োজন ও প্রয়োজন দুই ক্ষেএে বের হওয়ার সময় কি পাক ধরব)

1 Answer

0 votes
by (677,160 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


আল্লাহ তায়ালা বলেছেন

وثيابك فطهر

কাপড় পবিত্র রাখো,,,
(সুরা আল মুদ্দাচ্ছির ০৪)

https://www.ifatwa.info/2677 নং ফাতাওয়ায় বর্ণনা করা হয়েছে যে,

ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,

(قوله: وطين شارع)طين الشوارع عفو وإن ملأ الثوب للضرورة ولو مختلطا بالعذرات وتجوز الصلاة معه.................أقول: والعفو مقيد بما إذا لم يظهر فيه أثر النجاسة كما نقله في الفتح عن التجنيس

প্রয়োজনের ধরুণ রাস্তার মাঠি ক্ষমাযোগ্য। যদিও কাপড় মাঠি দ্বারা লেপ্টে যাউক না কেন এবং যদিও সেই মাঠি নাজাসত দ্বারা মিশ্রিত হউক না কেন।এদ্ধারা নামায বিশুদ্ধ হবে।তবে যদি  নাজাসতের চিন্থ দৃশ্যমান থাকে,(এক দিরহামের বেশী হলে)তাহলে নামায বিশুদ্ধ হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৪২৪) 

শরীয়তের বিধান মতে সাধারণ অবস্থায় রাস্তার কাদা পাক। তা কাপড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হবে না। তবে যদি কাদায় নাপাকি দেখা যায় কিংবা নাপাকির গন্ধ অথবা রং প্রকাশ পায় তবে তা নাপাক। এটি কাপড়ে লাগলে ঐ জায়গা ধুয়ে নিতে হবে। 

আলআশবাহ ওয়ান নাযাইর ১/১৯৯; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৪/২৩; ফাতহুল কাদীর ১/১৮৬; আততাজনীস ১/২৫৯।


★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত সকল ছুরতেই আপনার শরীর/কাপড়ে যখনই এমন কাদা/পানি লাগবে,আপনি লক্ষ্য করবেন যে আপনার শরীরের/কাপড়ের যেখানে কাদা পানি লেগে যায়,তাতে কি নাপাকির কোনো চিন্হ বা গন্ধ ছিলো?

যদি থাকে,তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার শরীর/কাপড়কে নাপাক ধরবেন।

আপনার শরীরের/কাপড়ের যেখানে কাদা পানি লেগে যায়,তাতে যরি নাপাকির কোনো চিন্হ বা গন্ধ না পান,সেক্ষেত্রে আপনার শরীর/কাপড়কে পাক ধরবেন।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এক্ষেত্রেও আপনি সেই পানিতে নাপাকির কোনো চিন্হ বা গন্ধ পেলে সেটিকে নাপাক ধরবেন।
অন্যথায় পাক ধরবেন।

(০২)
এক্ষেত্রেও যদি সেই পানির ছিঁটা ও কাদা পানিতে নাপাকির কোনো চিন্হ বা গন্ধ পেলে সেটিকে নাপাক ধরবেন।
অন্যথায় পাক ধরবেন।

(০৩)
উক্ত পানি/কাদারও একই বিধান।
নাপাকির কোনো চিন্হ বা গন্ধ পেলে সেটিকে নাপাক ধরবেন।
অন্যথায় পাক ধরবেন।

(০৪)
উভয় ক্ষেত্রেই একই বিধান।
স্পষ্ট নাপাকি দেখার চেষ্টা করবেন।
স্পষ্ট নাপাকি না পেলে নাপাকির গন্ধ আছে কিনা,সেটি লক্ষ্য করবেন।

যদি কিছুই না পান,সেক্ষেত্রে সেই পানি শরীরে/কাপড়ে লাগলে তাহা নাপাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 84 views
...