http://ifatwa.info/45194 নং প্রশ্নটিতে আমি একটি বিষয় উল্লেখ করতে ভুলে গেছি।আমি তো জেনে শুনেই প্রস্রাবের ছিটা লাগা অবস্থায় বাথরুম থেকে বের হয়েছিলাম। কারন বাসায় আমার শিক্ষক এসেছিলেন। তো আমি ঐ ভেজা নাপাক শরীর ও কাপড় নিয়ে অনেক জায়গায় বসেছি, অনেক কিছু স্পর্শ করেছি। আমার শিক্ষক আসলে আমি ভেজা শরীরে সোফাতে বসেছি। শিক্ষক চলে যাওয়ার পর ভেজা হাতে খাবার তোলে খেয়েছি। ভাতের হাড়ির ভিতর থেকে ভাত তুলে নেওয়ার সময় আমার ভেজা হাত ভাতের সাথেও স্পর্শ হয়েছিল। সেই ভেজা হাতে পানির জগ, গ্লাস সব ধরেছি। সেদিন সকাল থেকে না খেয়ে ছিলাম। তারপর ভেজা শরীরে বিছানায় শুয়েছি। যেহেতু আমার চুল লম্বা আর আমি চুল মোছার সময় পাই নি তাই এক ঘন্টা পরেও চুলের পানি পরার কারনে শরীর ও কাপড় ভেজা ছিল। আমি জানতাম যে আমি নাপাক। সেই ভেজা অবস্থাতেই আমি আমার পরনের সব কাপড় গুছিয়ে রাখি। সেগুলোতেও ভেজার চিহ্ন দেখা গেছে। এরপর আমি ভেজা হাতে মশারি টানাই এবং ভেজা শরীরে বিছানায় ঘুমাই এবং গায়ে চাদর ঢাকা নিই। এতে তো আমার প্রায় সব কাপড় চোপড়, খাবার, পানির গ্লাস, জগ, থালা , চামচ সবকিছুই নাপাক হয়ে যায়। আবার যেগুলো নাপাক হয়েছে সেগুলো ভেজা হাতে ধরার পর অন্য জিনিসপত্রও ধরার কারনে সেগুলো নাপাক হয়ে গেছে।আবার আমি ঐ নাপাক অবস্থাতেই ভেজা হাওএ নাকের ময়লা পরিষ্কার করে ঘরের কোনে ফেলি। এতে ঐ ময়লা ভেজা অবস্থাতে যেসব জায়গাতে লেগেছে সেগুলোও নাপাক হয়ে গেছে। আমার পরিবারের অন্য কারোর পায়েও লাগতে পারে। কারন তারা ঘরের সব জায়গাতেই ঝাড়ু দেয়। সেই ভেজা পায়ে বিছানায় ওঠা হয়েছে। বিছানায়ও নাকের ময়লার অংশ দেখেছি।একদম শিওর। সন্দেহ নাই।
হুজুর এখন কী করতে পারি। এতো কিছু তো আর ধোয়া সম্ভব না। তাছাড়া আল্লাহ তো ক্ষমাশীল। তিনি তো তার বান্দাদের উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না। যেটা হয়ে গেছে সেটা তো আর ঠিক করা সম্ভব না। আর এটা একটা দুর্ঘটনা মাত্র। আমি তো সবসময়ই পাক পবিত্র থাকি । এখন এটা ঘটে গেছে কী আর করার।
এখন কী আমি এই সবকিছুকে পাক ধরব?
এটা আমার আম্মুর একাউন্ট।
দয়া করে আগের প্রশ্নটি সহ এই প্রশ্নটি পুরোটা পরবেন।
আমি মানসিক শান্তি পাচ্ছি না। আমার বাবা মা আমার এই অবস্থা দেখে আমাকে সাইকোলোজিস্ট এর কাছেও নিয়ে গিয়েছিলেন। আমি অনেক কেদেছি। কারন আমি সবসময়ই পাক পবিত্র থাকার চেষ্টা করেছি।