বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট তিন প্রকারঃ যথাঃ-
وَالْأَحْوَالُ ثَلَاثَةٌ (حَالَةُ) الرِّضَا (وَحَالَةُ) مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ بِأَنْ تَسْأَلَ هِيَ طَلَاقَهَا أَوْ غَيْرُهَا يَسْأَلُ طَلَاقَهَا (وَحَالَةُ) الْغَضَبِ
পরিবেশ ও পরিস্থিতি তিন প্রকার।(১) হালতে রেযা- খুশির হালত(২) তালাকের শব্দাবলী উচ্ছারণের হালত(৩) রাগান্বিত অবস্থা।
فَفِي حَالَةِ الرِّضَا لَا يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي الْأَلْفَاظِ كُلِّهَا إلَّا بِالنِّيَّةِ وَالْقَوْلُ قَوْلُ الزَّوْجِ فِي تَرْكِ النِّيَّةِ مَعَ الْيَمِينِ
(১) খশির হালতে নিয়ত ব্যতীত কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা তালাক পতিত হবে না।নিয়ত না থাকার বিষয়ে স্বামীর কথাই কসমের সাথে গ্রহণযোগ্য।
وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي
(২)তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দুগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫) (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
"স্ত্রী যদি সামিকে বলে আমি তমার সাথে থাকতে চাই না সামি যদি বলে থাকতে না চাইলে যাও কোথাও যাবা যাও," এতে যদি স্ত্রীর উদ্দেশ্য হয় তালাক গ্রহণ, এবং স্বামীরও উদ্দেশ্য তাই হয়, তাহলে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
(২)
"স্ত্রী যদি বলে তুমি আমার সামি না, আমি তোমাকে র সামি হিসেবে মানি না,ঠিক আছে তাইলে তুমি তোমার বাবা মার সাথে কথা বল, তাদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নাও"
স্বামী বক্তব্য নেই।কমেন্টে স্বামীর বক্তব্যকে উল্লেখ করবেন।
যদি স্বামীর বক্তব্য এটা হয় যে,
"ঠিক আছে তাইলে তুমি তোমার বাবা মার সাথে কথা বল, তাদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নাও"
তাহলে উপরোক্ত বক্তব্য দ্বারা কোনো তালাক পতিত হবে না।