আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
222 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
ঝামেলা লাগার  পর    সামি স্ত্রি কে বলে যে
you must be divorced  ,  তোমাকে আগেই তালাক দেওয়া উচিত ছিলএতদিন চম্প্রমিসে করছি   আর না, তখন স্ত্রি বলে আমাকে র একটা সুযোগ দাও,  তখন সামি  বলে আর না  চিরতরে চলে যাও just get lost, আমি র কিছু  সুন্তে চাই না তুমি আজ থেকে আমার কেও না,  র কোনদিন মাফ করব না, কোনদিন না, তখন স্ত্রি বলে আমকে ফোন দাও কারন এসব কথা মেসেজ এ হয়, তখন সামি বলে র আর কিছু সুনতে চাই না, তখন স্ত্রি ফোন দেয় সামি না ধরলে স্ত্রি বলে তুমিঅ আমাকে     ignore করতেছ, তখন সামি বলে,  you are finally ignoned  স্ত্রি জানতে চায় সে কোথায় যাবে সামি বলে তুমি কোথায় যাবা তা আমি জানি না    । তোমাকে র মাফ করব না, তোমাকে অবশ্যই আমার জীবন থেকে যেতে হবে, তুমি র আমার  জীবনের    অংশ না।  সামি আরো  বলে, তুমি আমাকে ভালবাস না সন্দেহ কর, তোমাকে অনেক consider  কুরছি তার প্রতিদান এভাবে দিচ্ছ,  "আমি  র তোমাকে চাই না আমার জীবন এ, কখনোই না,   কোনদিন না   , আমি র তোমাকে আমার জীবনএ ফিরিয়ে     নিব না,   মাফ অ করব না, শান্তির জন্য তোমাকে ত্যাগ করা ফরয হয়ে গেছে   ,  আমি  র তোমাকে গ্রহণ করব না কোন দিন না কোন ভাবেও না, তুমি নিজে আমাকে হারায়ে ফেলছ, কতবার মাফ করছি হিসাব করে দেখ আর সম্ভব না, তোমার সাথে সংসার করা সম্ভব না

 পরে ঝামেলা ঠিক হলে স্ত্রি সামির কাছে জানতে চায়, তুমি আমাকে এত কথা বল্লা তুমি কি আমাকে ছেরে দিছো ,  সামি বলে অই কথাটা কি এত সহজ এ বলা যা,  তার মানে সে তালাক এর নিওত এ বলে নাই

১) এখন প্রস্ন হল সামির অই সব কথার দারা কি তালাক হয়ে যায়

২) আমাদের বিবাহিত জীবন কি ঠিক আছে???

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
শরীয়তের বিধান হলোঃ যদি স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দিতে থাকে,বা স্ত্রী তালাক চায়,বা সেখানে অন্য কোনো ব্যাক্তি সেই স্বামীকে তালাক দেয়ার উপর উদ্ভুদ্ধ করে,তাহলে সেটিকে তালাকের মজলিস,মুযাকারায়ে তালাক বলা হবে।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতকে তালাকের মজলিস বলা হবে।  
স্ত্রী তালাক না চাইলেও এটি তালাকের মজলিস।

★কেননা প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ
ঝামেলা লাগার পর স্বামী স্ত্রীকে বলে যে
you must be divorced  ,  তোমাকে আগেই তালাক দেওয়া উচিত ছিল,,,,,আর না, তখন  স্ত্রী বলে আমাকে  আর একটা সুযোগ দাও,  তখন স্বামী  বলে আর না  চিরতরে চলে যাও just get lost, আমি র কিছু 
শুনতে চাইনা, তুমি আজ থেকে আমার কেউ না,,,,,

সুতরাং এটি তালাকের মজলিস।   
এখানে স্বামী তালাকের ধমক দিয়েছিলো। 

উপরে উল্লেখিত ছুরতে স্বামী কিছু বাক্য বলেছে,যেই বাক্য গুলি মুযাকারায়ে তালাক তথা তালাকের মজলিসে বললে স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকলেও তালাক হয়ে যাবে।
যেমনঃ তুমি আজ থেকে আমার কেউ না।
তুমি আর আমার জীবনের অংশ না।

বিস্তারিত  জানুনঃ  
(০১)
 প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীর তালাকের নিয়ত থাকুক বা না থাকুক,তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে।
এখন যেহেতু কেনায়া তালাকের ইদ্দতের মধ্যে পুনরায় কেনায়া বাক্যে তালাক দিলে আর তালাক হয়না,
(https://ifatwa.info/40253/ দ্রষ্টব্য)
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শুধু এক তালাকই পতিত হবে।
পরের কেনায়া বাক্য গুলি ব্যবহারের দরুন আর তালাক হবেনা। 

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় ঘর সংসার করতে চাইলে পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
নতুবা যেনার সংসার হবে।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
huzur er phone number ta ektu diben ami kotha bolte cai

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...