উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মাথায় কাপড় দেওয়া কুরআন তেলাওয়াত সংশ্লিষ্ট কোন আমল নয়; বরং মহিলাদের মাথায় কাপড় তো সব সময় থাকা উচিত। কেননা, আল্লাহ্ তাআলা বলেন, يُدۡنِينَ عَلَيۡهِنَّ مِن جَلَٰبِيبِهِنَّۚ “তারা যেন তাদের জিলবাবের কিয়দংশ নিজেদের ওপর টেনে দেয়।” (সূরা আল-আহযাব: ৫৯)
এ আয়াতে ‘জালাবীব’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা ‘জিলবাব’ শব্দের বহুবচন। আরবী অভিধানের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘লিসানুল আরাব’ (১/২৭৩)– এ লেখা হয়েছে, ‘জিলবাব’ ওই চাদরকে বলা হয় যা মহিলারা নিজেদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকার জন্য ব্যবহার করে।
অভিধান থেকে সরে গিয়ে মুফাসসিরগণের বক্তব্য দেখলেও জানা যায়, ‘জিলবাব’ এমন কাপড়কে বলে যদ্বারা মহিলারা নিজেদের শরীর ঢাকেন। ‘জিলবাব’ অর্থ বড় চাদর, যা দ্ব্লেন,মাথাসহ মুখমণ্ডল ও পূর্ণ দেহ আবৃত করা যায়। (কুরতুবী, আল-জামে‘ লিআহকামিল কুরআন ১৪/২৪৩)
কোরআন তিলাওয়াতের জন্য মূলত মাথায় কাপড় দিতে হবে বা স্কার্ফ ব্যবহার করতে হবে, এই মর্মে কোনো বিধান নেই। তবে এটা শারীরিক সৌন্দর্য এবং আদবের মধ্যে পড়তে পারে, কারণ তিনি কোরআন তিলাওয়াত করছেন। কোরআন সুন্দরভাবে তিলাওয়াত করবেন, এটাই হওয়া উচিত। কিন্তু এটি বাধ্যতামূলক বিষয় না।
স্বাভাবিকভাবে কোরআন তিলাওয়াত করতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
আমাদের মনে রাখতে হবে, সালাতের বিধান এবং কোরআন তিলাওয়াতের বিধান এক নয়।
,
তবে যদি কোন মহিলার বাসা-বাড়িতে অসতর্কাবস্থায় মাথায় কাপড় না থাকে তাহলে কুরআন তেলাওয়াতের সময় যদি সে সতর্ক হয় এবং এর আলামত হিসাবে মাথায় কাপড় টেনে আরও শালীন হয়ে ওঠে তাহলে এটা তার আল্লাহভীতির পরিচায়ক।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَمَن يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِن تَقْوَى الْقُلُوبِ
কেউ শিআর তথা আল্লাহর নামযুক্ত বস্তুসমুহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে তা তো তার হৃদয়ের আল্লাহভীতি প্রসূত। (সূরা হজ ৩২)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ক্বোরান তিলাওয়াত এর সময় হুবহু নামাজের ভিতরের মতোই সতর ঢাকতে হবেনা।
চুল বের হলে কোনো সমস্যা হবেনা।
,
ছতর ঢাকা এটা নামাজের ফরজ,কুরআন তেলাওয়াতের ফরজ নয়।
তবে কেহ সেই ভাবে মাথা ঢেকে রাখলে সেটা উত্তম কাজ বলে বিবেচিত হবে।