আসসালামু আলাইকুম উস্তায,
আমি আমার স্বামীকে হারাম রিলেশন নিয়ে সন্দেহ করি এবং তার যথেষ্ট কারণ আছে, এমনকি তিনি এই কাজের মধ্যে জরিয়ে আছেন এটাও সত্যি।
এই জন্য আমি তাকে বলেছি মাসনা করার জন্য যাতে তার হারাম কিছুর মধ্যে জরাতে না হয়। কিন্তু তিনি এই কাজই করবেন, বিয়ে করবেন না। এই বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হয়, এমনকি আমি না চাইতেও তার মোবাইল আমার চেক করা হয়ে যায় তার আচার ব্যবহারের পরিবর্তনের জন্য।
এই জন্য তিনি আমাকে শর্তসাপেক্ষে বাইন তালাকের কথা বলে।
কথাটা এই রকম "যখনি আমি তার মোবাইল ধরব আর এইসব বিষয় দেখব তখনি বাইন তালাক হয়ে যাবে।"
তাই আমি তার মোবাইল এই পর্যন্ত ধরিনি।। এর মাঝে তিনি আবার আমাকে বলছেন যে, এইগুলো তিনি ভয় দেখনোর জন্য বলছেন তালাকের নিয়তে বলেন নি। আর আমি ওনার মোবাইল ধরতে পারব। তো এই অবস্থাতেও ওনার মোবাইল আমার চেক করার জন্য ধরা হয়নি।
পরবর্তীতে আবার একদিন তিনি ইউটিউবে একজন আলেমের তালাকের বিষয় নিয়ে যে কথা বলেছে, তা নিয়ে কথা বলতেছিলেন, বিষয়টা একত্রে তিন তালাক নিয়ে ছিল।। তো ওই আলেম চার মাযহাবের এবং সাহাবায় কেরামের আমলের বাইরে কথা গুলো বলতেছিলেন। তো তখন আমি বলেছিলাম যে, তার কথার জন্য ওই স্বামীর জন্য তার স্ত্রী হালাল হয়ে যাবে না। তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন যে, তুমি আমার জন্য হারাম হয়ে গেছো এই কথা বললেই হারাম হয়ে যাবা তুমি?। আমি ওনার এই কথায় ভয় পেয়ে যাই যে তালাক হয়ে গেলো কি না। এইজন্য একজন আলেমকে ফোন দেই। তখন উনি বলেন যে নিয়ত করে বলে থাকলে ১তালাক হয়ে যাবে আর পুনরায় নতুন করে বিয়ে করে নিতে হবে। তাই আমি আমার স্বামীকে জিজ্ঞাসা করি উনি কি নিয়ত করেছিলো কি না।তখন উনি বলেন যে, না তিনি কোন নিয়ত করেন নি। তো এই বিষয় নিয়ে উনি আমার সাথে রাগারাগি করেন, কেন আমি কোন আলেমের কাছে এইসব বিষয় নিয়ে কিথা বলি আর ওনাদের কথা মেনে নেই, কেন আমি স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে ওলামায় কেরামের কথা মত চলতে চাই।
তো এইরকম পরিস্থিতিতে তিনি আবার ওই শর্ত জুড়ে দেয়। তো এতদিন ওনার মোবাইল ধরা হয়নি, আর আমি নিজেকে এইবলে সান্তনা দিয়েছি যে উনি তো আমার আর আমার বাচ্চাদের সব হক আমার পর্দা সহ আদায় করতেছে, যদিও মাঝে মধ্যে এদিক সেদিক হয়ে যায় এই হারাম সম্পর্কের জন্য তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু তারপরও আমার দ্বারা ২৯ রোজার দিন ওনার মোবাইল ধরা হয়।।ওই সময় আমার বড় ছেলে(দেড় বছর বয়স) তার মোবাইলে কার্টুন দেখছিল। সে যাতে এই গুলো না দেখে তাই আমি তার কাছ থেকে জোড় করে মোবাইল নেই, সেই অবস্থায় তখন তার মোবাইলে মেসেজ চেক করা হয়ে যায়। সেদিন আমি তার হারাম সম্পর্কের বিষয় নিয়ে তাকে কোন রাগারাগি করিনি, কিন্তু তিনি তার ওই শর্ত আমাকে মনে করিয়ে দেয়। এবং সাথে আরো একটি শর্ত জুড়ে দেয় যে, আমি বাইন তালাক হয়েছে কি না এই ব্যাপারে কোন মুফতি আলেমের সাথে কথা বলতে পারব বাকি কারো সাথে (ওনার আমার ফ্যামিলি বা অন্য কারো সাথে) কথা বলতে বা জানাতে পারব না, তাহলে তালাক হয়ে যাবে।
তাই আমি ওই আলেমকে আবার ফোন দেই এই বিষয় নিয়ে। উনি শুনে বলেন যে বাইন তালাক হয়ে গেছে পুনরায় নতুন মোহর ধার্য করে বিয়ে করে নিয়ে হবে, এবং আমার স্বামী এখন ২তালাকের মালিক থাকবেন। এই কথা আমার স্বামী শুনার পর উনি বলতেছেন যে উনি এই শর্তগুলো তালাকের নিয়তে বলেন নি, উনি আমাকে ভয় দেখানোর জন্য বলছেন, উনি তালাক দেননি আমাকে।। পরবর্তীতে তিনি আবার বললেন যে আমি যাতে ভালো করে জেনে নেই বাইন তালাক হয়েছে কি না, হয়ে থাকলে নতুন করে বিয়ে করে নিবেন। আমি আবার জেনে ওনাকে জানাই যে বাইন তালাক হয়ে গেছে নতুন করে বিয়ে করে নিতে হবে। উনি রাজি হলো বিয়ে করে নিবে। কিন্তু এখন করতে চাচ্ছে না, কারন আমি তার সাথে পর্দা করতেছি (পুরো পর্দা করতে পারছি না কারন এখন আমি আমার শ্বশুর বাড়ি আছি, আর তারা এই বিষয়ে জানেনও না, এমনকি আমার পরিবারের কেউ না), আমাকে ধরতে দিচ্ছি না, এই গুলো তিনি মানতে রাজি না।
এখন আমি কি করব? তালাক কি হয়ে গেছে? হয়ে থাকলে তাকে কিভাবে বুঝাব? তিনি এখন বার বার বলতেছেন যে তিনি তালাকের নিয়তে এই শর্তগুলো বলেননি।।
এখন আমার করণীয় কি?
একটু দ্রুত জানালে উপকৃত হতাম। কারন উনি ঢাকাতে ৭ তারিখ চলে যাবে, আমাকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে।