শরীয়তে খাওয়াতে সহীহাহ এর উপর অনেক ক্ষেত্রে সহবাসের বিধানই আরোপ করে।
খালওয়াতে সহীহাহ সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ
روى البيهقي في سننه عن سعيد بن المسيب أن عمر بن الخطاب رضى الله عنه (قضى في المرأة يتزوجها الرجل: أنه إذا أرخيت الستور فقد وجب الصداق) .
সারমর্মঃ
হযরত ওমর রাঃ এক মহিলা যাকে কোনো পুরুষ বিবাহ করেছিলো, ব্যাপারে ফায়সালা দিয়েছিলেন,
যখন তুমি সতর ছেড়ে দিয়েছিলে (খুলেছিলে) তখনই মোহর ওয়াজিব হয়েছে।
★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই ,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে খালওয়াতে সহীহাহ হবেনা।
কেননা এখানে যে কেউ যেকোনো মুহুর্তে প্রবেশ করতে পারতো।
সুতরাং এখানে সহবাস হতে প্রতিবন্ধতা রয়েছে।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতটি খালওয়াতে সহীহাহ নয়।
فذهب الإمام أحمد إلى أن الخلوة تلحق بالدخول في الأحكام الثلاثة السابقة، وهي : تقرر المهر كاملا للزوجة ، ووجوب العدة عليها ، وثبوت الرجعة للزوج ما دامت في العدة .
সারমর্মঃ
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর নিকট তিন ছুরতে খালওয়াতে সহীহাহ এর ক্ষেত্রে সহবাসের মতোই বিধান হবে।
পূর্ণ মোহর ওয়াজিব হওয়া,ইদ্দত ওয়াজিব হওয়া,স্বামীর জন্য রজ'আত প্রমানীত হওয়া।
وذهب الإمام أبو حنيفة، وهو القديم من قولي الشافعي: إلى أنها تلحق بالدخول في الحكمين الأوليين فقط ، وهما: تقرر المهر ، ووجوب العدة .
أما الرجعة: فلا رجعة لزوجها عليها .
সারমর্মঃ
ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর মতে দুই ছুরতে খালওয়াতে সহীহাহ এর ক্ষেত্রে সহবাসের মতোই বিধান হবে।
পূর্ণ মোহর ওয়াজিব হওয়া,ইদ্দত ওয়াজিব হওয়া।
তবে স্বামীর জন্য রজ'আত প্রমানীত হবেনা।
وذهب الإمام الشافعي في الجديد من قوليه: إلى أن الخلوة لا تلحق بالدخول في شيء من الأحكام
فظاهر هذا: أن الحكم معلق بالمَسيس، وهو الجماع .
সারমর্মঃ
ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর নিকটে খালওয়াতে সহীহাহ সহবাসের বিধানের সাথে যুক্ত হবেনা।
وأما الإمام مالك ، فقد نقلت عنه عدة أقوال في هذه المسألة :
فنقل عنه ما يوافق قول أبي حنيفة .
ونقل عنه ما يوافق قول الشافعي .
ونقل عنه أن الخلوة بمجردها لا تلحق بالدخول، إلا إذا تطاولت فبقيت الزوجة عند الزوج مدة طويلة، ثم ادعى أنه لم يدخل بها ، فلا يقبل قوله .