ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কাউকে কাফের বলার ক্ষেত্রে সতঃসিদ্ধ নিয়ম সম্পর্কে আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-
ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد،
কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা।কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}
সুতরাং কারো কোন কাজে সন্দেহ হলেই বা সামান্যতম গুনাহের কাজ করলেই তাকে কাফের, মুরতাদ, নাস্তিক ইত্যাদি বলে প্রচার করা জায়েজ নয়। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।(সংগৃহিত)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কেউ কথার দ্বারা কুফরি করলে বা হঠাৎ কোনো শরিয়তের বিষয় নিয়ে মজা করলে,তার বিবাহ ভঙ্গ হবে না। হ্যা, তাকে অবশ্যই তাওবাহ করতে হবে।
(২)
কেউ তার স্ত্রীর সাথে মাঝার ছলে কথোপকথনের সময় বলছে যে " স্ত্রীর উপর ক্রাশ খেলে কি রোজা ভঙ্গ হয়? (কারো সৌন্দর্যে মোহিত হওয়াকে ইদানিং ক্রাশ খাওয়া বলা হয়)
স্ত্রী ও মজা করে বলছে, "হ্যা ভাঙ্গে, তোমার রোজা হয় না,আবার রাখতে হবে"
স্ত্রীর এই কথা শরিয়ত নিয়ে হাসি তামাশার মধ্যে পড়বে না। ইমানেও কোনো সমস্যা হবে না।
(৩)
অন্যকে কাফের বললে সে যদি বাস্তবে কাফির না হয়, তবে যে তাকে কাফের বলেছে,তাকে কাফির বলা যাবে না।হ্যা, এটা অবশ্যই ঠিক যে, কাউকে অযথা কাফির বলা অনেক বড় মিথ্যা।