আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)

স্বামী যদি বলে যে, বোরখা পরলে তোমার আমার রাস্তা আলাদা, তাহলে একসাথ থাকার কি দরকার, থাকবো না আমি ইত্যাদি। পরে জিজ্ঞেস করাতে বলছে তালাকের নিয়তে বলে নি। তারপর ও বারবার জিজ্ঞেস করাতে একবার দুষ্টামি করে/বিরক্ত হয়ে বলছে "ছিল,তোহ কি হবে"? তখন আমি বলছি মুফতি বলছে এক তালাকে বায়েন হবে। তখন সে বলছে " শাউয়ার(গালি) এক তালাকে বায়েন হইছে, ছিলনা(নিয়ত)" তারপর আবার জিজ্ঞেস করাতে বারবার ই বলছে আল্লাহর কসম নিয়ত ছিল না। আমি বোরখা পরেছি। কিন্তু ঐ একবার যে বলছে "ছিল ''.এটাতে কি তালাক পতিত হইছে,? কুফরের নিয়ত না থাকলে ও মুখে কুফর কথা বললে কাফের হয়ে যায় জানতাম।তালাক ও কি এমন?  নিয়ত না থাকলে ও মুখে একবার " ছিল " বলাতে কি কিছু হয়েছে?  অনেক পেরেশানিতে আছি। আবার বিয়ের কথা বললে কিছুতেই রাজি না। বলেযে নিয়ত ছিল না, তাহলে কেন বিয়ে করবো!  মানসিক কষ্টে আছি হুজুর। একবার 'ছিল" উচ্চারণ করাতে কি কিছু হয়েছে?  

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


তালাকের বিষয় খুবই মারাত্মক। 
তাই এই জাতীয় কোনো বাক্য বলা ঠিক নয়।
,  
হাদীস শরীফে  এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি তালাক না দেওয়া সত্ত্বেও তালাকের স্বীকারোক্তি প্রদান করে,তাহলেও তালাক পতিত হয়ে যাবে। 

ولو أقر بالطلاق وہو کاذب وقع في القضاء … إذا قال: أردت بہ الخبر عن الماضي کذبا، وإن لم یرد بہ الخبر عن الماضی، أو أراد بہ الکذب، أو الہزل وقع قضاء ودیانۃ۔ (البحر الرائق ۳؍ ۲۴۶ کراچی، سکب الأنہر علی ہامش مجمع الأنہر ۲؍۸ بیروت)
সারমর্মঃ
কেহ যদি তালাকের স্বীকারোক্তি প্রদান করে, আর সেই স্বীকারোক্তি যদি মিথ্যা হয়,তবুও তালাক পতিত হবে।   


★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্ত্রী যদি স্পষ্ট  এইভাবে প্রশ্ন করেঃ
তোমার ঐ বাক্য বলার সময় তালাকের নিয়ত ছিলো?
তখন স্বামী যদি বলে যে "ছিলো"

তাহলে শর্তযুক্ত তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তির কারনে স্ত্রীর উপর এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
তাকে ফিরে নিতে চাইলে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 
নতুবা তাদের ঘর সংসার বৈধ হবেনা। 

★তবে যদি অন্য কথা প্রেক্ষিতে স্বামী "ছিলো" বলে বা স্বামীকে প্রশ্ন করার সময় যদি স্ত্রী স্পষ্ট ভাবে তালাক শব্দ উল্লেখ না করে প্রশ্ন করে,আর স্বামী তার জবাবে "ছিলো" বলে,তাহলে তালাক হবেনা।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম। আমি তালাক উচ্চারণ করি নি। তবে বলেছি "তুমি কি এইসব কথা ছেড়ে দেয়ার নিয়তে বলছো? তখন কি তোমার এরকম মনে হইছিল যে একবারে ছেড়েই দিবা? তখন উত্তরে বিরক্ত হয়ে " ছিল " বলছে
by
তালাক উচ্চারণ না করে ছেড়ে দেয়ার কথা বললে কি এক তালাকে বায়েন পতিত হয়েছে?  দয়া করে উত্তর দিবেন প্লিজ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...