ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হায়েযের
সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন। এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক
না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে। যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী
জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার
রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত। কারো যদি নিয়ম থাকে যে, মাসে চার বা পাঁচ দিন হায়েয আসে। এই চার বা
পাঁচ দিন অতিবাহিত হয়ে যে নামাযের ওয়াক্তে রক্ত বন্ধ হবে,
সে নামাযের আখের ওয়াক্তে গোসল করে উক্ত নামায
পড়বে। অতঃপর আবার হায়েয দেখা দিলে নামায ছেড়ে দিবে। (আহসানুল ফাতাওয়া;২/৬৮)
উম্মে
আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ)
হইতে বর্ণিত,
عن أم علقمة
أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ
النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى
عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ
بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ
فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ
دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا
عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ
لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ
حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ
الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ
الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "
তিনি বলেনঃ
(ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة)
পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ)
থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া
সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ
তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না
পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন। (মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ
الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ
كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ
كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ
مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে
হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। চায় এমন
পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,
কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,
কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)
,
আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/78
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
হায়েজের সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো ১০ দিন। আর আপনার যেহেতু এখনো ১০ দিন পূর্ণ হয়নি (যদিও
আপনার অভ্যাস এর ব্যতিক্রম থাকুক। কারণ, ১০ দিনের মধ্যে আবার ব্লাড আসলে তা হায়েজের
ব্লাড হিসেবেই গণ্য হবে )। তাই এই ব্লাডকেও হায়েজের ব্লাড হিসেবে ধরে সালাত, সওম অফ
করে দিবেন। অবশ্য ১০ দিন পূর্ণ হওয়ার পরেও
যদি ব্লাড আসে তাহলে সেটাকে ইস্তেহাযাহ এর ব্লাড ধরে সালাত, সওম আদায় করতে থাকবেন।