আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত শায়েখ। আপনার কাছে সাহায্য চাই। নিচের বিষয় গুলোর সমাধান দিবেন দয়া করে। একজন ওয়াসওয়াসার রোগীর ঘটনা। আপনার জ্ঞান এর সাহায্য চাইছে তাই।
১। কোন মহিলা অনেকদিন আগে তা*** ওয়াসওয়াসায় ভোগতো। সে তখন বলতো,, নিজের উপর **** নেইনি, নিবো ও না। এইভাবে সে অনেকবার বলেছে। কিন্তু মনে মনে নাকি মুখে আওয়াজ করে উচ্চারণ করেছে তার মনে নেই। একবার মনে হয় এইসব সে মনে মনে বলেছিল আবার মনে হয় মুখেও বলেছিল কিনা। কারন বাক্য টার মধ্যে নিজের উপর ++++ এই কথাটা আছে,,,তাই সে ভয় পাচ্ছে।
আপনি বলেছিলেন নিজের দিকে নসিবত করে এই ধরনের কথা উচ্চারণ করলে *** পতিত হয়ে যায়। মহিলা নিজেকে শান্ত করার জন্য ওইসব কথা বলতো যাতে সে নিজেকে তা** না দিয়ে ফেলে। এখন তার মনে নেই তার তখন কি নিয়ত ছিল... সে সন্দেহ করছে নিজের দিকে নসিবত করে বলে ফেলেছিল কিনা।মহিলার যতটুকু মনে হয় সে হয়তো মনেই বলেছিল। কারন সে মনে মনে সবসময় কথা বলতেই থাকে।
২। হুজুর মহিলা একবার মনে শান্তি পায় যে সে হয়তো মনেই বলেছিল৷ এবং তার কানে কখনো এই ধরনের কথা এসেছিল বলে তার মনে নেই। তাই সে শান্তি পায়৷
আবার মনে হয় যদি কখনো বলে থাকে৷ খুবই ভয়ে আছে সে।
আপনি বলেছিলেন প্রবল ধারণা যেদিকে যায় সেই অনুযায়ী আমল করতে। এখন মহিলা যদি বার বার ভেবে দেখে যে সে হয়তো মনেই বলেছিল। মুখে আসার কথা তার বিন্দু পরিমান মনে নেই। শুধু ভয় হয় যে মুখে এসে থাকতে পারে যদি। তাহলে মহিলা সন্দেহ থাকার কারণে কি ধরে নিবে তা** পতিত হয়নি??
৩। সে যদি মনে শান্তী পায় এটা ভেবে যে তার তো মুখে আসার কথা মনে নেই। এসে থাকলেও হয়তো কানে আসেনি। বা এমন কোন দিন বা সময়ের কথা তার মনে নেই। মহিলা মারাত্মক ওয়াসওয়াসার রোগী। তার ক্ষেত্রে এমন হলে করণীয় কি?? আল্লাহ কি তাকে মাফ করবেন যদি তিনি নিশ্চিত না হতে পারার কারনে এই বিষয়ে চিন্তা না করেন আর???
৪। ৩ নাম্বাএ প্রশ্নে যে বলা হল মুখে এসে থাকলেও হয়তো কানে আসেনি। এইখানে সে বললো যে মুখে আসার কথা এতে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে বা +++ হয়ে যাবে??