আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
105 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আপনি আমার সব বিষয় অবগত আছেন।
১.আমি যখন বলসি ডিভোর্স দিয়া দিও তখন যদি হাসবেন্ড বলে তুমি ডিভোর্স দিয়া দিও বা ভালো  না লাগলে ছাইড়া দিও বা মন চাইলে ছাইড়া দিও। ইমদাদুল হুজুর বলেছিলেন এইটা দিয়া সাময়িক স্থায়ী উভয় অধিকার দেওয়ার সম্ভাবনা আছে।হাসবেন্ড কে জিজ্ঞেস করতে হবে সে কোন নিয়তে বলেছে।

আমি জিজ্ঞেস করাই সে বলসে আমি এই মাসালা জানি না।এইভাবে বললে যে অধিকার দেওয়া বুজাই আমি জানি না।আমি তুমারে আমাকে ছাইড়া দিতে বলছি। আমিও এই মাসালা জানতাম না।আমি ও ভাবছি তারে ছাইড়া দিতে বলছ।। সে বলসে যেহেতু জানি না অধিকার দেওয়া বুজাই তাইলে সাময়িক বা স্থায়ী অধিকার দেওয়ার নিয়ত আসব কই থিকা।আমি শুধু চিন্তা করতাম আমার  দিক থেকে যেন  তালাক শব্দ না আসে।আমি জানতাম ৩ তালাক দিলে হারাম হই।মেয়েরা বললে কিছু হই না।

ক।তুমি ছাইড়া  দিও বা ভাল  না লাগলে মন চাইলে ছাইড়া দিও।এইটা দিয়া হাসবেন্ড  নাকি তারে ছাইড়া দেওয়া বুজাইছে।আমি যেন হাসবেন্ড কে ছাইড়া দেয়।কারন সে ত মাসালা  জানেই না যে  মেয়েদের নিজেদেরকে ছারতে হবে।আমিও জানি না।আমিও জানি হাসবেন্ড কে ছাইড়া  দিতে বলছে।আমিও মাসালা  দেখলাম সেখানে হাসবেন্ড কে বলতে হবে যে তুমি তুমার নফসে কে তালাক দাও।হাসবেন্ড  এর এ বিষয়  এ জানাই নাই।উল্টো তারে ছাইড়া দেওয়ার উদ্দেশে  বলসে অই কথা তাইলে কি বউ কে অধিকার দেওয়া বুজাবে।

খ।হাসবেন্ড কে জিজ্ঞেস করাই একবার বলসে অই কথা এমনেই অই সময়  রাগ কইরা বলসি।আবার জিজ্ঞেস করাই বলসে বিয়ের আগে অইগুলা বলসি।বিয়ের পর বলি নাই।আসলে তার ও মনে নাই কখন বলসে মানে একটু হলেও সন্দেহ  আছে।এখন তাহলে কি করনিয় সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে কি?উল্লেখ্য আমাদের আগে পরিচয় ছিল পরে বিয়ে  হইসে।পরিচয় থাকা অবস্থাই তখন এ ধরনের  কথা হইত।এখন সেই সময়  আর বিয়ের পর সময়  গুলিয়া গেছে।যে কখন বলসিল।

গ।তুমার যখন ইচ্ছা তখন ছাইড়া দিও বলছো নাকি জিজ্ঞেস করাই না করছে।আমার সঠিক মনে নাই কোন ভাবে বলসে বা আধো বলসে কিনা।এখন কি তাকে আবার জিজ্ঞেস  করার দরকার  আছে?
ঘ।আর এসব কথা কয় বার বলছে মনে নাই।যতবার বলছে সেখানে কয় বার সাময়িক অধিকার  দেওয়ার মত কথা ছিল  র কয়বার স্থায়ী অধিকার দেওয়ার মত কথা ছিল জানি না।হাসবেন্ড  বলছে হইত একবার বলছি।এখন অনেক দিন পর আমি ওয়াস ওয়াসা থেকে বইলা ফেলাই কয় তালাক হবে তাও ত বুজতেছি না।এখন তাহলে কয় তালাক ধরব।বা তালাক হইছে নাকি তাও বুজতেছি না।

ঙ।আমি অনেক পরে ওয়াস ওয়াসা থেকে যখন বলসি তখন আমি জানতাম আমার অধিকার  নাই।তাই ওয়াস ওয়াসা  আসলে ও চিন্তা  করতাম না।কিন্তু যখন বলসি আমার মনে আছে যে ঠোঁট  জিব্বা নড়ছে।কয়েকদিন সব সময়  মাথাই এগুলা ঘুরছে।হই এরকম বলসি।যে অর থেকে তালাক নিলাম আবার না করসি আবার বলার পর আস্তাগফিরুল্লাহ পরছি আবার বলসি নিলাম না দিলাম।মানে মনের সাথে অনেক যুদ্ধ  করছি।আমার তালাক নেওয়ার কোন ইচ্ছে ছিল  না তখন।না পাইরা হইত বলসি।আবার কানে শুনা  জাই  কত টুকু শব্দ  কইরা বললে বুজার জন্য  হইত মুখে বলছি।এতে কি তালাক হইয়া গেছে।

চ।অনেক হুজুর কে মাসালা জানার জন্য  জিজ্ঞেস করসি হুজুর আমি নিজের উপর তালাক নিলাম বইলা ফেলসি।এখন এভাবে জিজ্ঞেস  করাই কি তালাক পতিত  হবে আগে না হইলে।কারন মুখে বলা নিয়া আমার সন্দেহ  আছে  একটু হলেও।মাসালা জানার জন্য জানতে চাইলে কি তালাক হবে?
উপরের সব পইরা একটু বলেন তালাক হবে কিনা বা হইলেও কয় তালাক দরে নিব।আমি কিছুই বুজতেছি না

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-

وفی الدر المختار مع رد المحتار:

"قال لها أنت طالق إن شئت فقالت شئت إن شئت أنت، فقال: شئت ينوي الطلاق أو قالت شئت إن كان كذا لمعدوم) أي لم يوجد بعد كإن شاء أبي أو إن جاء الليل وهي في النهار (بطل) الأمر لفقد الشرط..(وإن قالت شئت إن كان الأمر قد مضى) أراد بالماضي المحقق وجوده كإن كان أبي في الدار وهو فيها، أو إن كان هذا ليلا وهي فيه مثلا (طلقت) لأنه تنجيز (قال لها أنت طالق متى شئت أو متى ما شئت أو إذا شئت أو إذا ما شئت فردت الأمر لا يرتد ولا يتقيد بالمجلس ولا تطلق) نفسها".
(ج:٣,ص:٣٦,ط: دار الفكر)
সারমর্ম:-
যদি স্বামী বলে যে তুমি তালাক যখন যখন চাইবে অর্থাৎ যখন তুমি চাইবে তখন তালাক,,,,তারপর বিষয়টি ফিরিয়ে নিতে চাইলে ফিরিয়ে নেয়া যাবেনা।
এবং মজলিসের সহিত সীমাবদ্ধ থাকবেনা। 

আরো দলিল জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
ক,
আপনি বলেছেন,ডিভোর্স দিয়া দিও তখন যদি হাসবেন্ড বলে, তুমি ডিভোর্স দিয়া দিও বা ভালো  না লাগলে ছাইড়া দিও বা মন চাইলে ছাইড়া দিও।

আসলে এখানে আপনার স্বামী নিশ্চিত ভাবে কোনো শব্দটি বলেছে?

যদি "তুমি ডিভোর্স দিয়া দিও" বলে,সেক্ষেত্রে প্রশ্নের বিবরণ মতে এর দ্বারা স্ত্রীর তালাকের অধিকার মজলিসের সাথে সীমাবদ্ধ থাকবে।

যদি "ভালো না লাগলে ছাইড়া দিও বা মন চাইলে ছাইড়া দিও" এই বাক্য বলে,তাহলে এক্ষেত্রে এর অর্থ দ্বারায় যখন তুমি চাইবে তখন তালাক দিও।
 সুতরাং সেক্ষেত্রে স্ত্রীর তালাকের অধিকার মজলিসের সাথে সীমাবদ্ধ থাকবেনা।
বরং স্ত্রী চাইলে পরবর্তীতেও নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করতে পারবে। 

আসলে এখানে আপনার স্বামী নিশ্চিত ভাবে কোনো শব্দটি বলেছে? সেটি নিশ্চিত হোন,আপনি যদি সন্দেহে থাকেন যে আসলেই এগুলো বলেছে কিনা? সেক্ষেত্রে স্বামীকে জিজ্ঞাসা করুন,সে আসলে কি বলেছিলো? সেও যদি এগুলো বলেছে কিনা,এই মর্মে সন্দিহান হয়,সেক্ষেত্রে আপনি তালাক অধিকার পাবেননা।
আর যদি কোন বাক্য বলেছে,সেই ব্যপারে সন্দিহান হয়,কোনো দিকেই নিশ্চিত না হয়, সেক্ষেত্রে আপনার তালাকের অধিকার মজলিসের সাথে সীমাবদ্ধ থাকবে,এমনটি ধরে নিবেন।

খ,
এই বিবরণ মতে আপনি তালাকের অধিকার প্রাপ্তই হোননি।

গ,
তাকে জিজ্ঞাসা করার পর সে যদি অস্বীকার করে থাক্র,তাহলে পুনরায় তাকে জিজ্ঞাসা করতে হবেনা।

ঘ,
এক্ষেত্রে এক বার বলেছে বলে ধরে নিবেন।

ঙ,
এতে তালাক হবেনা। 

চ,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রেও তালাক হবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকুন, কোনো তালাক পতিত হয়নি।
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। 
নিশ্চিন্তে ঘর সংসার চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...