আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। এই বিষয়ে সাহায্য করেন আমাকে। আপনার জবাব পেয়ে শান্তি পাব আশা করি ইনশাআল্লাহ।

১।আমি একটি বিষয়ে জানতে চাই,,, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তো কত কথাই হয়। হয়তো অনেক সময় অনেক কেনায়া বাক্য ও বলা হয়। কিন্তু স্বামী বলে সে কখনোই তা*** নিয়তে কিছু বলেনি৷ স্ত্রী হচ্ছে ওয়াসওয়াসার রোগী, সে ভাবে স্বামী হয়তো বুঝতেই পারে না মনে কোন ভাবনা আসলে তা****  নিয়ত করা হবে। তাই স্ত্রী ভাবে তাদের সম্পর্ক কি সঠিক আছে নাকি তার স্বামী কেনায়া বাক্য বলার কারনে কোনোভাবে তা*** পতিত হয়েছে কিনা তাদের অজান্তেই।
আবার সন্দেহ হয়, কিছু কাজের মাধ্যমে নাকি ইজাব কবুল হয়ে যায়,,, এখন কোন কেনায়া বাক্য বলার পর যদি তাদের মধ্যে তা**** পতিত হয়ে থাকে,,  তাহলে কি আবার অজান্তেই ইজাব কবুল হয়ে যেতে পারে?? বা তারপর আবার ও কেনায়া বাক্য বলার কারনে তা*** পতিত হতে পারে? স্ত্রী সন্দেহে থাকে এইভাবে  কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা বা তাদের সম্পর্ক বৈধ আছে কিনা?

**স্ত্রীর এমন কোন স্পষ্ট ঘটনা মনে নেই যেটাতে ইজাব কবুল হতে পারে। শুধু মনে আছে বিয়ের পর বিভিন্ন সময় স্বামী বিভিন্ন মানুষের সাথে বউ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিত আর বউ তাদের সালাম দিত। এইসব ঘটনার মাধ্যমে কি ইজাব কবুল হতে পারে যদি সেটা ২ জন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের সামনে হয়??

***স্বামীর একজন ভাবি একদিন স্ত্রীকে কয়েকজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় যে,এটা অমুকের বউ। এবং সেখানে অনেক কথা বার্তা হয়। কিন্তু স্বামীর সাথে ইজাব কবুলের মতো কিছু ঘটেছিল কিনা স্পষ্ট মনে নেই। এইসব ঘটনার আগে যদি তাদের মধ্যে কেনায়া বাক্য হয়ে থাকে তাহলে কি এইসব ঘটনায় ইজাব কবুল হবে??  আর এইসব ঘটনার পরে আবার কেনায়া বাক্য বললে কি আবারও সমস্যা হবে কিনা??

২।স্বামী যদি বলে কখনোই সে অন্য ধরনের নিয়তে কিছু বলেনি তাহলে কি স্ত্রী দায়ী থাকবে তার সাথে সংসার করার কারনে??স্ত্রীর যদি সন্দেহ থাকে তাহলেও কি স্বামীর কথার উপর বিশ্বাস করে সংসার চালিয়ে যাবে?? এতে কি স্ত্রী দায়ী থাকবে?? কারন স্ত্রী ওয়াসওয়াসার সমস্যায় ভোগে।
৩। স্ত্রীর যদি এইসব নিয়ে সন্দেহ হয় সবসময় সেজন্য কি স্ত্রীর উচিত হবে তার স্বামীর থেকে ***** চাওয়া বা এরকম কিছু করলে কি সে পাপী হবে?? সে যদি মানসিক শান্তি না পায় তাহলে করনীয় কি?

৪।স্বামীকে স্ত্রী অনেকবার বলেছে কেনায়া ধরনের বাক্য না বলতে,, তাও স্বামী রাগ হলেই এই ধরনের অনেক কিছু বলে। আবার নিয়ত জিগ্যেস করলে রাগ করে প্রচন্ড৷ এই ক্ষেত্রে করনীয় কি?? এইটা কি তা***** কোন কারন হতে পারে?? অকারণে তা*** চাইলে নাকি মহিলা পাপী হয়৷ কিন্তু এইসব ক্ষেত্রে কি করা উচিত যদি স্ত্রী বার বার মানা করার পরেও স্বামী বিভিন্ন সময়ে কেনায়া বাক্য বলে??

৫। কোনে একটা হাদিসে আছে যে শেষ জামানায় মানুষ নাকি স্ত্রীর সাথে যিনা করবে। এখন স্ত্রী সন্দেহে থাকে তাদের মধ্যেও এমন কিছু যদি হয়ে থাকে তাহলে?? এইটা নিয়ে সে ভিষণ ভয়ে থাকে।  এখন স্ত্রী তা**** চাইলেও যদি পাপী হয় আবার সংসার চালিয়ে গেলেও যদি অজান্তে পাপী হয়,,, তাহলে সে কি করবে???? বলে দেন দয়া করে


৬। স্বামী অনেক সময় অনেক বাক্য বলে যেগুলো নিয়ে স্ত্রী সন্দেহ করতে থাকে।  যেমনঃ """স্বামি  যদি বলে তুমি এই ঘরে আসবা না আজকে,,, যদি আসো আমি বাড়িতে চলে যাবো"" সে বুঝাতে চেয়েছে বউ এই ঘরে আসলে সে বাড়িতে চলে যাবে আর মানুষ এইসব দেখে মজা নিবে তাই বউ যাতে না আসে৷ এইটা কি কেনায়া বাক্য??  শশুড় বাড়িতে ছিল সে,,, বউ ঘরে আসতে দেরি করায় এই কথা বলে মেসেজ দিয়ে বউকে।তখন বউ তার মার ঘরে ছিল।  এখন স্বামীর এইভাবে কথা বলা কি কেনায়া বাক্য হবে?? এরপর ওই রাতে বউ ওই ঘরে যায়,,,,কিছুক্ষণ পর। এখন সমস্যা হবে কোন?? এইটা নিয়ে স্বামী কে জিজ্ঞেস করলে সে খুবই রাগ করবে। ভয়ে স্ত্রী জিজ্ঞেস করতে পারবে না।
স্বামীতো বলেনি এই ঘরে আসলে ****. বা এইভাবে বুঝায়নি কথাটা। তাহলে হুকুম কি??

1 Answer

0 votes
by (719,360 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। (সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্বামীকে তালাক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা বা অন্য কাউকে জিজ্ঞাসা কোনোটাই উচিৎ হবে না।
আপনার সমস্ত বিবরণ পড়ে, বুঝে শুনে বলছি, আপনাদের কোনো তালাক হবে না।তাই আপনারা অযথা তালাক নিয়ে টেনশন করবেন না।নিজ সংসারে আগুন লাগাবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (719,360 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...