আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
400 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (34 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আপনাকে কলে পাইনি তাই লিখে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলাম। দয়া করে উত্তর দিবেন।  গত সপ্তাহে একটি প্রশ্ন করেছিলাম যে,  কোন স্বামী কেনায়া বাক্য বলার পর স্ত্রী জিজ্ঞেস করে সে সিরিয়াস কিছু মিন করেছে কিনা। স্বামী যদি উত্তর দেয় হ্যাঁ করেছি তাহলে সেটা সিরিয়াসের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে আপনি বলেছিলেন। নিচের ঘটনায় নাকি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে না মুফতি ওলি উল্লাহ হুজুর বলেছেন কারন এইখানে স্বামীর কোন নিয়ত ছিল না। দয়া করে আপনিও দেখেন এক্টু।

 তারপর তাদের মেসেজের কিছু স্ক্রিনশট পাওয়া গেছে সেটা দেখে বুঝা যাচ্ছে স্বামী হ্যাঁ  করেছি/মিন করেছি  বলার পর স্ত্রী অনেক কিছু বলে বুঝায় তাকে,,, তালাকের ব্যাপারে অনেক কিছু বলে হয়তো। যে এই ধরনের কথা বললে সমস্যা হয়৷ স্ত্রী হয়তো স্বামীকে বলে থাকতে পারে যে সে প্রথমে সিরিয়াস কিছু বলতে তা**** কথা জিজ্ঞেস করেছিল।  স্বামী এইটা জানার পর সাথে সাথে কিছুই বলেনি বা এই কথার উত্তর দেয়নি৷ অন্য কথা হয়। মাঝে হয়তো অন্য কথা বলেছিল   স্ত্রী স্বামী  অনেক কথা। যেমনঃ স্ত্রী  বলে হ্যাঁ বলেছি বলেছো আর যাই বলেছো মনের নিয়ত কিন্তু আসল৷....
"""তারপর স্বামী বলে তুমি জানো কিভাবে আমার নিয়ত কি?? তারপর স্ত্রী বলে যে বলে দিলেই তো হতো। স্বামী বলে এইটুকু কেন বলে দিতে হবে আমার৷ তারপর স্ত্রী বলে আমি তোমার স্ত্রী,,আমি কি জানতে চাইতে পারিনা??""

পরে স্বামী বলে যে"

""একবার বললাম মিন করিনি তাও আমাকে পাগল বানাইছো,,, তাই বলেছিলাম হ্যাঁ  করছি।""" এইখানে সে আগের ঘটনার কথা বলেছে,,সে কেন মিন করেছি বলেছিল সেটা জানিয়েছে এইভাবে বলে। এতে কি আবার মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??

 কারন এই কথা বলার কিছুক্ষন আগে স্ত্রী হয়তো বলে থাকতে পারে সে সিরিয়াস কিছু বলতে তা**** কথা বলেছিল। তারপর আর ও অনেক কিছু কথা হবার পর স্বামী কথার পৃষ্টে বলে যে,,,  """একবার বলেছি মিন করিনি তাও বার বার জিজ্ঞেস করেছো তখন তাই বলেছিলাম মিন করেছি""" এইখানে স্বামী মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য বলেনি৷ প্রথম বার  স্ত্রীর সিরিয়াস কিছুর প্রশ্ন করার সময় কেন মিন করেছি বলেছিল সেই কারন টাই বলেছে।

মানে প্রথম ঘটনার পর আলোচনার সাপেক্ষে স্বামী বললো যে স্ত্রীর প্রশ্নে বিরক্ত হয়ে সে তখন মিন করেছি বলেছিল। এইখানে সে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দেয়নি বা দেওয়ার জন্য বলেনি। সে আগের ঘটনার প্রেক্ষিতে বলেছে যে " এতবার মিন করিনি বলার পরেও  তখন আমাকে পাগল বানাইছো তাই আবার  বলেছিলাম মিন করেছি"""" এই কথার সময় স্ত্রী তাকে প্রশ্ন করেনি কোন।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সাথে এই বিষয়ে নিয়ে অতীতে বেশ কয়েকবার ফোনে আলাপ হয়েছে।ফোনে আলাপ আলোচনার পরও আমি কিছুই বুঝিনি।তাই আপনাকে পরামর্শ দেবো, আপনি এই বিষয়ে নিয়ে আর প্রশ্ন না করে, কাউকে কল না দিয়ে, বরং আপনার পাশের মসজিদের ইমাম সাহেবের শরণাপন্ন হোন, বা নিকটস্থ কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করুন।

সম্ভবত এই একটা বিষয় নিয়ে আপনি অনেকবার প্রশ্ন করেছেন। অাল্লাহ আপনার সহায় হোক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...