আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
195 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত শায়েখ। আপনার কাছে সাহায্য চাই। নিচের বিষয় গুলোর সমাধান দিবেন দয়া করে। একজন ওয়াসওয়াসার রোগীর ঘটনা।  আপনার জ্ঞান এর সাহায্য চাইছে তাই।

১। কোন মহিলা অনেকদিন আগে তা*** ওয়াসওয়াসায় ভোগতো।   সে তখন বলতো,, নিজের উপর **** নেইনি, নিবো ও না। এইভাবে সে অনেকবার বলেছে। কিন্তু মনে মনে নাকি মুখে আওয়াজ করে উচ্চারণ করেছে তার মনে নেই।  একবার মনে হয় এইসব সে মনে মনে বলেছিল আবার মনে হয় মুখেও বলেছিল কিনা। কারন  বাক্য টার  মধ্যে নিজের উপর ++++ এই কথাটা আছে,,,তাই সে ভয় পাচ্ছে।
আপনি বলেছিলেন নিজের দিকে নসিবত করে এই ধরনের কথা উচ্চারণ করলে *** পতিত হয়ে যায়। মহিলা নিজেকে শান্ত করার জন্য ওইসব কথা বলতো যাতে সে নিজেকে তা** না দিয়ে ফেলে। এখন তার মনে নেই তার তখন কি নিয়ত ছিল... সে সন্দেহ করছে নিজের দিকে নসিবত করে বলে ফেলেছিল কিনা।মহিলার যতটুকু মনে হয় সে হয়তো মনেই বলেছিল। কারন সে মনে মনে সবসময় কথা বলতেই থাকে।

২। হুজুর মহিলা একবার মনে শান্তি পায় যে সে হয়তো মনেই বলেছিল৷ এবং তার কানে কখনো এই ধরনের কথা এসেছিল বলে তার মনে নেই। তাই সে শান্তি পায়৷
আবার মনে হয় যদি কখনো বলে থাকে৷ খুবই ভয়ে আছে সে।
আপনি বলেছিলেন প্রবল ধারণা যেদিকে যায় সেই অনুযায়ী আমল করতে। এখন মহিলা যদি বার বার ভেবে দেখে যে সে হয়তো মনেই বলেছিল। মুখে আসার কথা তার  বিন্দু পরিমান মনে নেই। শুধু ভয় হয় যে মুখে এসে থাকতে পারে যদি। তাহলে মহিলা সন্দেহ থাকার কারণে কি ধরে নিবে তা** পতিত হয়নি??

৩। সে যদি মনে শান্তী পায় এটা ভেবে যে তার তো মুখে আসার কথা মনে নেই। এসে থাকলেও হয়তো কানে আসেনি। বা এমন কোন দিন বা সময়ের কথা তার মনে নেই। মহিলা মারাত্মক ওয়াসওয়াসার রোগী। তার ক্ষেত্রে এমন হলে করণীয় কি?? আল্লাহ কি তাকে মাফ করবেন যদি তিনি নিশ্চিত না হতে পারার কারনে এই বিষয়ে চিন্তা  না করেন আর???

৪। ৩ নাম্বাএ প্রশ্নে যে বলা হল মুখে এসে থাকলেও হয়তো কানে আসেনি। এইখানে সে বললো যে মুখে আসার কথা এতে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে বা +++ হয়ে যাবে??

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ওয়াওয়াসার কোনো সমাধান নাই। ওয়াসওয়াসার কারণে কোনো তালাকই পতিত হয়। ওয়াসওয়াসার একমাত্র সমাধান হল, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...