আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
236 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (34 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।  দয়া করে বিরক্ত হবেন না। আগেও এই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। আপনি শুধু শেষ বারের মত দেখে বলবেন কোন সমস্যা আছে কিনা ঘটনা গুলো তে। দয়া করুন।শেষ বারের মত আমাকে প্রশ্ন গুলোর সমাধান দিয়ে দিন। তাহলে আমি শান্তি পাবো। আপনি লিখিত জবাব দিলে সেটা আমি সংরক্ষণ করে রাখবো আর ওয়াসওয়াসা আসলে সেটা দেখে নিব।
১। কোন স্বামী তার স্ত্রীকে যদি বলে এই কথা আমার সামনে আরেকবার বললে মনে করবা ওইদিনই সব শে*৷ এইটা বলার পর স্ত্রী ভয় পায় এবং বলে এইসব কথায় তা*** মিন করলে তাই হয়, স্বামী বলে কই শুনো এইসব?? তারপর স্ত্রী তার স্বামীকে বার বার জিজ্ঞেস করে সে সিরিয়াস কিছু মিন করেছে কিনা৷স্বামী রাগ করে  আর বলে " হ্যাঁ করেছি তো কি হয়েছে??।" এতে সিরিয়াসের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে আপনি বলেছিলেন।

## তারপর স্ত্রী তার  স্বামীর হ্যাঁ করেছি কথায় কষ্ট পায় আর অনেক কিছু  বলে তাকে বুঝায়। সে  হয়তো বলে থাকতে পারে যে, আমিতো তখন প্রশ্ন করার সময় সিরিয়াস কিছু বলতে তা*****  কথা বলেছিলাম। তুমি হ্যাঁ করছি বললা?? তারপর অন্য কথা বলে। স্ত্রী বলে যে হ্যাঁ করেছি বললা আর যাই বললা নিয়ত টাই আসল। স্বামী বলে তুমি কিভাবে জানো আমার নিয়ত কি?? তারপর স্ত্রী বলে বললেই তো হত,,এই ধরনের আরও কথা হবার পর, স্বামী পরে বলে যে """আমি একবার বললাম মিন করিনি তাও বার বার জিজ্ঞেস করেছ তাই আবার বলেছিলাম মিন করেছি"""  এই কথার কিছুক্ষন আগে যদি স্ত্রী বলে থাকে সে আগেরবার প্রশ্ন করার সময় সিরিয়াস কিছু বলতে তা****  কথা বলেছিল,, তার কিছুক্ষন পর অন্য কথার প্রেক্ষিতে স্বামী এইভাবে উত্তর দিলে কোন সমস্যা হবে??স্বামী এইখানে আগের ঘটনা টাই বর্ণনা করেছে,সে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে চায়নি।।

এখন স্বামি আগের কথা বুঝাতে গিয়ে বলেছে তখন সে বিরক্ত হয়ে বলেছিল মিন করেছি। এই কথার জন্য কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??

২।
আরেকদিন স্বামীকে স্ত্রী যদি জিজ্ঞেস করে,, ওইদিন তুমি শুধুমাত্র ওই বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ  করেছিলে না? স্বামি যদি বলে আমিতো বলেছি ত++ মিন করিনি অইদিন। তাহলে কেন জানতে হবে? স্ত্রী বলে আমি জানি তোমার নিয়ত নাই,,তাও বলো শুধু। স্বামী বলে হ্যাঁ শুধু ওই বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছিলাম।
এইখানে স্ত্রীর মনে সন্দেহ ছিল তাই সে স্বামীর কাছে জিজ্ঞেস করে চেয়েছিল বিষয় টা মেনে চলতে বা ওই বিষয়ে কথা না বলতে।
স্ত্রীর এইভাবে প্রশ্ন  করার পর স্বামী যে বলল হ্যাঁ অই বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছিলাম। এতে কি স্ত্রীর উপর শর্ত পরবে??  স্ত্রী তো তা+++ এর প্রশ্ন করেনি স্বামীও তা+++ শর্ত দেওয়ার জন্য উত্তর দেয়নি। তাহলে হুকুম কি??

৩। ১ নাম্বার প্রশ্নের ঘটনার পর একদিন স্ত্রী স্বামীকে জিজ্ঞেস করে। তুমি ওইদিন বা অন্য কোনদিন কোন কেনায়া বাক্য বলার সময়  কি তালা++ কথা বা সত্যি সত্যি ছেড়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করে বলেছিলে?((( এইখানে স্ত্রী প্রশ্ন করার সময় আসলে ওইদিন বা অন্য কোনদিন বলেছিল নাকি বলেছিল জীবনে কোনদিন বলেছে কিনা সেটা ভুলে গেছে।))
স্বামী বিরক্ত হয় আর উত্তর দেয় """ হ্যাঁ বলেছি"""  স্ত্রী বলে এই কথাটা বললা তুমি? স্বামী বলে আবার জিজ্ঞেস করলে আবারও  হ্যাঁ বলবো আর এইবার বললে মন থেকে বলব। এই ঘটনায় কি মিথ্যা সিকারোক্তি হবে???

স্বামী রাগ করেছে কারন সকালেও  স্ত্রী জিজ্ঞেস করেছিল জীবনে কোনদিন স্বামী অন্য কিছু মিন করে কিছু বলেছিল কিনা। স্বামী উত্তর দিয়ে   বলেছিল কোনদিন ওইসব মিন করে কিছু বলেনি। এইখানে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??

৪। ((এইখানে স্ত্রী প্রশ্ন করার সময় ওইদিন বা অন্যকোনদিন বলেছিল নাকি সে সন্দেহে আছে। সে হয়তো বলে থাকতে পারে জীবনে কোনদিন কেনায়া বাক্য বলার সময় তা*** বা সত্যি সত্যি ছেড়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করে বলেছে কিনা।))
স্ত্রী যদি ওইদিন কথাটা বলে থাকে তাহলে কি ১ম দিনের ঘটনার উপর শর্ত আরোপ হয়ে যাবে বা মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে যাবে??

৫। ৩ নাম্বার প্রশ্নের ঘটনার পর স্ত্রী কান্না করতে থাকে,, স্বামী জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে? স্ত্রী বলে তুমি তখন হ্যা বললা? স্বামী অনেক রাগ করে আর জোড়ে বলে হ্যাঁ বলেছি,, বলেছি আবার জিজ্ঞেস করলে আবারও হ্যাঁ বলবো। কারন সকালেও তোমাকে একই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলাম। আর বলেছিলাম কোনদিন এই প্রশ্ন না করতে। তাহলে কেন করলা??

আমি শুধু জানতে চাই হুজুর উপরের ঘটনা গুলোর কারণে মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে কিনা??

1 Answer

0 votes
by (560,700 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।

قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ
এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .

আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(১.২)
https://ifatwa.info/38427/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে প্রশ্নের বিবরন মোতাবেক এতে তালাক হবেনা।

আরো জানুনঃ 

(৩.৪.৫)
এখানে আপনাকে পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
কেননা এখানে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি বুঝা যাচ্ছে।    
সিরিয়াসের নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...