আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
420 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (53 points)
edited by

 ভালোভাবে পড়ে সব প্রশ্নের উত্তর গুলো বুঝিয়ে দেবেন।আমি এর আগের উত্তর বুঝতে পারিনি।


(১ম পয়েন্ট).আমার স্বামী একদিন মাসয়ালা বলতে গিয়ে অনেক টা উদাহরণস্বরূপ বলে যে "মনে কর তোমাকে তালাক দিলাম" এ কথা শুনে ভয় হয় যে তার এ কথা দ্বারা তালাক পতিত হলো কিনা।তাই আমি ৩/৪ আলেমের কাছে প্রশ্ন করি যে এভাবে বললে তালাক হয় কিনা? প্রায় সবাই বলে যে তালাক হবে না।তবে একজন বলেছিলো যে "মনে করো তোমাকে তালাক দিলাম"এভাবে বললে তালাক হবে(এটা আমি আমার স্বামীকে কোনো একটা সময় জানাই যে একজন আলেম বলছে এভাবে বললে তালাক হয়)।তাই মনে সন্দেহ হতে লাগলো তালাক হয়ে গেলো কিনা যদিও অনেক বড়ো বড়ো আলেমরা বলছেন তালাক হবে না।একারনে আমি দুশ্চিন্তায় ছিলাম আমার স্বামী আমার মন খারাপ দেখে জিজ্ঞেস করেছিলো যে কি হয়েছে? তখন আমি ঐদিনকার কথা বলি যে ঐ বিষয় টা নিয়ে চিন্তায় আছি।তোমার এখনো ডাউট আছে। তাহলে তুমি ফতোয়া নেও।তুমি এখন খুলনায় যাও মানে আমার বাবার বাড়ি। তুমি কি সীদ্ধান্ত নেও আমাকে জানিও।রাগ করে বলে এটা চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায় কিনা মানে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় কিনা মনে হয় আমার।তারপর আমার মাকে ফোন দিয়ে বলে আপনার মেয়েকে নিয়ে আসেন নয়তো আপনি ওর কাছে যান ও কি উল্টপাল্টা বলছে।আমি তাকে বলি আপনি মাকে জানিয়েছেন কেনো সে বলে তোমার তো ওলির প্রয়োজন।এখনতো আমি তোমার ওলি নই।তুমি মেয়ে মানুষ তোমাকে কারো না কারো অধিনে থাকতে হবে।আমি আব্বুকে বলবো আসতে আমি তখন বলি আব্বুকে বলবেন না এসব কথা।আমি আজ জিজ্ঞেস করি যে "এখনতো আমি তোমার ওলি নই।তোমার ওলির প্রয়োজন"একথাটা আপনি কোন উদ্দেশ্যে সেদিন  বলছেন? সে উত্তর দেয় এটাতো আমি এজন্য বলছি যে তুমি যে মাসয়ালা(এক আলেম বলছিলো " মনে কর তোমাকে তালাক দিলাম"এ কথা বললে নাকি তালাক হয়ে যায় আমারও ডাউট হচ্ছিলো যে তালাক হলো কিনা?) নিয়েছো সে অনুযায়ী তো আমি তোমার ওলি (অভিভাবক) থাকি না।তুমি যেহেতু মাসয়লা আনছো হয়ে গেছে যদি কেউ মাসয়ালা দেয় হয়ে গেছে (বিচ্ছেদ হয়েছে)তাহলে আমি কি তোমার ওলি থাকি?কিন্তু আমিসেই হুজুরের মাসয়ালা পুরোপুরি মেনে নেই নি মনে ডাউট হচ্ছিলো যে কোনো সমস্যা হয়ে গেল কিনা কিন্তু সে বলছে চাচ্ছে আমি নাকি ঐ হুজুরের মাসয়ালা গ্রহন করেছিলাম তা না হলে একজন মুহাক্ককিক আলেমের কাছে জিজ্ঞেস করার পর আবার উনাকে কেন জিজ্ঞেস করলাম কেন?সুতরাং আমার আনা মাসয়ালা অনুযায়ী আমি তার ওলি নাই এটা সে বুুুুঝিয়েছে।আরো বলছে এখানে আমার কি করার আছে?আমি কি তোমায় বলছি যে তুমি যে মসয়ালা আনছো তাতে তোমার ওলি প্রয়োজন।তোমার মাসয়ালা অনুযায়ী আমি তোমার ওলি থাকি না কিভাবে থাকি?আমি কিি বলছি যে আমার উপর তোমার দায়িত্ব নেই বা আমার অভিভাবকত্ব থেকে চলে গেছো।তুমি যা করছো তাতেই তো আমি তোমার অভিভাবকত্ব থেকে চলে যাই।তুমি মাসয়ালা আনছো তাতে তুমি আমার ইসে থাকো না।তুমি ফতোয়া আনছো সে ভিত্তিতে আমি বলছি।তোমার ফতোয়া অনুযায়ী আমি তোমার ওলি না।সে নিজের পক্ষ থেকে এটা বুঝাইনি যে সে তার ওলিত্ব নিয়ে নিয়েছে আমার উপর থেকে।বা আমার উপর তার অভিভাবকত্ব নাই।আমার ঐ হুজুরের কাছ থেকে মাসয়ালা নেয়ার কারনে সে নাকি বলছে যে এ মাসয়ালা অনুযায়ী তো আমি তোমার অভিভাবক নই।

(২য়পয়েন্ট)কিন্তুু পরে আবার আরেকটু তার নিয়ত সম্পর্কে ক্লিয়ার হওয়ার জন্য এভাবে কৌশল করে বলি যে৷ শায়খ বলেছেন"এখনতো আমি তোমার ওলি নই।তোমারতো ওলির প্রয়োজন" একথা বলার সময় তালাকের নিয়ত না থাকে তাহলে তালাক হবে না।আপনার পক্ষ থেকে তালাকের কোন নিয়ত ছিলো না এটা হলো মূল বিষয় তখন সে বলে আমার এরকম কোনো নিয়ত ছিলো না।তুমি ফতোয়া নিয়েছো তাই বলছি।তোমার আর কোনো ডাউট আছে?।তখন আমি বলি আপনি তো বলছেন আপনার এরকম কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না।সে তখন বলে না আমার এরকম কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না।সে আরো বলে তোমাকে পরিত্যাগ করবো এমন কথা আমি কখনো ভাবিনা।

আমি তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য এরকম কথা বলি।আমি তোমাকে ভয় দিতে পারি যে তুমি যদি ঐটা করো তাহলে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে।এজন্য যে তোমাকে ত্যাগ করবো এটা হতে পারেনা।আমি ওরিজিনালি এমন কাজ কখনো করবো না এটা অসম্ভব।আমি এগুলো কল্পনায় ও আনিনা।আমি তোমাকে রাগ হয়ে বলবো তুমি এই জিনিস টা করবা কি করবানা বলো যদি না করো ক্ষতি করে দেব বা ক্ষতি হয়ে যাবে।আমি এমন ভাব করবো যে তুমি যদি এই কাজ টা না করো তাহলে এখনি তোমায় তালাক (দিব শব্দ বলছে কিনা ফোনে বুুঝতে পারিনি )এটা শুধুই তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য  বলি যাতে তুমি ঐকাজ টা না কর।

সে এখানে এটা বুঝাতে চাচ্ছে মনে হয় যে সে এই কথা কখনো বললেও তালাকের নিয়তে বলে না।জাস্ট এটা এমনি বলছে তাই কোনো শর্ত উল্লেখ না করে শুধু বলছে "আমি এমন ভাব করবো যে তুুুুমি এই কাজ না করো তাহলে এখনই তোমাকে তালাক"।সে আরো বলছে যে আমার ইচ্ছায় অনিচ্ছায় এরকম চিন্তা চেতনা কখনো আসেই না।এখন প্রশ্ন হলো-

১."এখনতো আমি তোমার ওলি নই। তোমারতো ওলি প্রয়োজন"এ কথার প্রক্ষিতে আমি আমার স্বামীকে জিজ্ঞেস করায় তার উদ্দেশ্য ও নিয়তের ব্যাপারে যা যা বলছে সব উপরে উল্লেখ করেছি।এখন কি সব পড়ে মনে হয় যে তালাক হবে?

২.এখানে যে সে বলছে যে আমি যে মসয়ালা বলে ডাউট করেছি যে তালাক হয়ে গেল কিনা  এটার উপর ভিত্তি করে সে উক্ত কথা(আমি তোমার ওলি নই) বলার ক্ষেত্রে যে উদ্দেশ্যের কথা বলছে যে তোমার  মাসয়ালা অনুযায়ী তো আমি তোমার ওলি নাই।এটার জন্য কি তালাক হবে?

৩.উক্ত মাসয়ালার উপর ভিত্তি করে বলেছে যে আমি তোমার ওলি নই।আমার ডাউট থাকলেও ঐ হুজুরের কথায় তার সন্দেহ ছিলো না যে ওভাবে বললে  তালাক হয় কারন সে আগে আরেক আলেমের কথা শুনছে যে তালাক হবেনা ওভাবে বললে।তবুও কি তার ঐ হুজুরের(যে হুজুর বলছে ওভাবে বললে  তালাক হবে)কথার উপর ভিত্তি করে আমি তোমার ওলি নই বলার কারনে আমার স্বামীর তালাকের স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়ে যাবে ?

৪.শেষের দিকে যে সে একটা কথা বলছে যে "আমি এমন ভাব করবো তুমি যদি এই কাজ টা না করো তাহলে তোমাকে এখনি তালাক " এটা বলার মাধ্যমে কি শর্তযুক্ত তালাক হবে?সে কোনো কাজের কথা উল্লেখ করে নি কারণ এখানে শর্ত দেয়া তো তার উদ্দেশ্য বলে মনে হচ্ছে না। সে এ কথাটা এজন্য বলছে সে কখনো এ ধরনের কথা বললে মনে করবো যে সে ভয় শুধু  দিতে এমনভাবে বলে।

৫.সে এখানে কোনো কাজের কথা উল্লেখ না করার কারণে কি সরাসরি তালাক পতিত হবে?কিন্তু উনিতো সরাসরি বলেননি যে তোমাকে এখনই তালাক। 

৬.উনি যদি কখনো কোনো কাজ বলেন আর আমি তা না করি তাহলে কি তালাক হবে উক্ত বোল্ড করা কথা বলার কারনে?কিন্ত উনি তো তখন শর্ত দেয়া উদ্দ্যেশ্যে বলেনি আপনার কাছে কি মনে হচ্ছে?

৭.১ম পয়েন্টের মজলিস গুলোকি তালাকের মজলিস হবে?ফোনে কথা বলেছি সব।

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তালাকের কথা চিন্তা লরল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন করল না, বা তার  জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না। 
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনাকে অনেকবার বলেছি,তালাক হবে না।সুতরাং আবারও বলছি, তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (53 points)
reshown by
শায়খ এভাবে তো আমি আগে প্রশ্ন করিনি কারন ওনার নিয়ত সম্পর্কে আমি জানতাম না।ওনার কাছ থেকে নিয়ত শুনে তারপর প্রশ্নগুলো করেছি।যদি একটু বিস্তারিত উত্তর দিতেন তাহলে ভালো হতো।আমি আসলে আপনার উত্তর টা বুঝিনি একটু বুঝিয়ে দিন
by (713,000 points)
আপনি আসলে আমাদের নিকট থেকে কি জানতে চান? আপনার সাথে বিস্তারিত আলোচনা শেষে আপনাকে বলেছিলাম যে, তালাক হবে না। তারপরও আপনি বারবার আমাদের কে অযথা বিরক্ত করছেন। আপনাকে কি বললে আপনি সন্তুষ্ট হবেন। আপনিই আমাদেরকে একটু বলুন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...