আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
164 views
in সালাত(Prayer) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম
★ওয়াজিব গুন্নাহ যদি সঠিক ভাবে সূরা ফাতিহা, তার পরের সূরা বা তাশাহুদ এ না হয় তা হলে কি নামাজ ফাসিদ হবে?

★কিরাত বলতে কি সূরা ফাতিহা সহ অন্য সূরা বোঝায়? নাকি শুধু অন্য সূরা কে?  কিরাতে একই আয়াত ইচ্ছাকৃত বার বাত পড়লে কি নামাজ ফাসিদ বা সাহু সেজদা ওয়াজিব হয়?

★আমি জেনারেল লাইন এর শিক্ষার্থী, আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমি হেদায়াত পায়। এখন পড়াশোনা টা আমার ইমান এর সাথে হয়ে গেছে,,মাঝে মাঝে শয়তান এর ধোকায় পড়ে নামাজ এ মন বসাতে পারি না দাওয়াতি কাজ আরো অনেক গুনাহ করে ফেলাই।।তাই তখন কেমন জানো সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায়, তাই পড়াশোনা ও এলোমেলো হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে একটু ভালো হয়। আর আমার ইসলামি স্টাডির উপর মন বসে গেছে।  এদিকে আব্বু আম্মুর আদেশ তো ফরজ তাই পড়াশোনা তো ফরজ আমার উপর,(না হলে শুধরায় দিন)। তাই আমি সবসময় অন্যান্য ইবাদত নিয়ে থাকি তাই তারা আমার উপর এই জন্য,,,, আজ তেমনই বকাবকি করতিছে,, কিন্তু এও সত্য যে তারাও আমার পড়ার সময় কথা বলে যাতে আমার অসুবিধা হয়।।তাই আমি আজ তাদের রাগ করা সাথে সাথে একটু গরম ভাবে বলেছি তোমরাও আমাকে ডিসটার্ব করো শুধু দোষ টা আমার না(আমি শুধু সত্য টা বলার জন্য বলেছি যে অন্যায় শুধু আমি করি না)। আর এক পর্যায়ে আমি বলি যে আবার ডিস্তার্ব করলে আমি আর পড়ালেখা করব না,,, আল্লাহর কসম তাদের সাথে এই পর্যন্ত রাগ করছি শুধু বলার জন্য যে আমি একা অন্যায় করিনা।

আবার, তখন আমার বড় ভাই বলে যে তাহলে তুই খেদমত কর, পড়ালেখা বাদ দিয়ে,,( আমি মসজিদের খেদ্মত করি তাই) এবং বলে এইটা কোন জীবন না,,(অর্থাৎ সে পড়ালেখা করা গাড়ি বাড়ির পিছে ছুটার কথা বোঝায়ছে এবং এলমে দ্বীন কে কটাক্ষ করছে) যার জন্য আমার খুব রাগ হয় ও রাগ করে বলি যে তুমি এর ফল পাবা কবরে।
এখন আমার প্রশ্ন যে আমি কি কোন ভুল করেছি? কোন বেয়াদবি যদি তাদের সাথে করে থাকি,, তাহলে আমাকে শুধরে দিন। আর পুরো ঘটনার মধ্যে আমার প্রতিটা ভুল ধরিয়ে দিন যেন আমাই তাওবা করতে পারি।।।[[[আমি স্বীকার করি যে আমি পড়া লেখা কম করে ভুল করি এবং আমার ঈমানের সাথে সম্পর্কিত থাকায়,,ঈমান কমে গেলে পড়াশোনা ব্যপক ভাবে কমে যায়।। কিন্তু তাদের ইসলামিক জ্ঞান ও প্রাক্টিসিং মুসলিম না হওয়ায়(এমনকি নামাজ ছাড়া ও হারাম খেতে অনেক স্কময় গায় বাধে না) তাদের আমি এইটা বলতে  পারি না কারন তারা এইটা হয়তো বুঝবে না।।]]

★ আমি যেন কেমন,, একটু গুনাহ হলে মাঝে মাঝে স্তব্ধ হয়ে যায়, পরপর ছোট বড় কিছু গুনাহ করে করে ফেলি,, সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় নামাজ এ মনোযোগ, দৃষ্টির হেফাযত (মানে কম সতর্ক থাকি ফলে অনিচ্ছাকৃত বাজে দিকে বেশি চোখ চলে যায় কিন্তু আল্লাহর রহমতে সাথে সাথে চোখ ফিরিয়ে আনি), দাওয়াতি কাজ ও গ্যাসের সমস্যা থাকায় অযু চেপে নামাজ আদায় করায়। কিন্তু আমি যে সাথে সাথে তাওবা করে ফিরে আসব তা কেমন যানো পারি না। স্তব্ধ হয়ে থাকি।। যাতে আমি সাথে সাথে তাওবা করে ফিরে আসতে পারি তার কিছু টিপস দেন।।আমার কোন ঘাটতির কারনে আমার ঈমান এতো দুর্বল আমাকে শুধরিয়ে দিন {আমি আমার বর্তমান জীবন টুকু বলেছি কোন গুনাহ গোলো করছি তাই আপনি দেখে বলুন} ।। আগে একটা নফল ছুটলে চোখে পানি আসত অথচ এখন...

★★আর মুহতারাম আমার জন্য মন খুলে একটু  দোয়া করেন আমার ঈমান অনেক দুর্বল ★★

1 Answer

+1 vote
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে না!ড়মাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি সূরা ফাতিহা, তার পরের সূরা বা তাশাহুদে সঠিকভাবে ওয়াজিব গুন্নাহ আদায় না হয়, তাহলে নামাযে কোনো সমস্যা হবো।

★কিরাত বলতে সবকিছুই বুঝায়।
সূরায়ে ফাতেহাকে বারবার পড়া যাবে না।পড়লে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।তবে সূরায়ে ফাতেহা ব্যতিত অন্যান্য সূরার ক্ষেত্রে কোনো এক আয়াতকে বারংবার তিলাওয়াত করা যাবে।এতে কোনো সমস্যা হবে না।

আপনি লেখা পড়ায় ফাস্ট হবেন, এবং আ'মলেও ফাস্ট হবেন।ভাইবোনদের মধ্যে রুজিরোজগারেও ফাস্ট হবেন।সবকিছুতেই ফাস্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন।মাতিপতার কথা মত ভালভাবে লেখাপড়া করবেন। পরীক্ষার মুহূর্তে নফল ইবাদত কমিয়ে বেশীকরে লেখাপড়া করবেন।বড়দের পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন।

আপনি দুনিয়া আখোরাতে কামিয়াব হবেন।আল্লাহ আপনার সহায় হোক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...