আসসালামু আলাইকুম
★ওয়াজিব গুন্নাহ যদি সঠিক ভাবে সূরা ফাতিহা, তার পরের সূরা বা তাশাহুদ এ না হয় তা হলে কি নামাজ ফাসিদ হবে?
★কিরাত বলতে কি সূরা ফাতিহা সহ অন্য সূরা বোঝায়? নাকি শুধু অন্য সূরা কে? কিরাতে একই আয়াত ইচ্ছাকৃত বার বাত পড়লে কি নামাজ ফাসিদ বা সাহু সেজদা ওয়াজিব হয়?
★আমি জেনারেল লাইন এর শিক্ষার্থী, আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমি হেদায়াত পায়। এখন পড়াশোনা টা আমার ইমান এর সাথে হয়ে গেছে,,মাঝে মাঝে শয়তান এর ধোকায় পড়ে নামাজ এ মন বসাতে পারি না দাওয়াতি কাজ আরো অনেক গুনাহ করে ফেলাই।।তাই তখন কেমন জানো সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায়, তাই পড়াশোনা ও এলোমেলো হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে একটু ভালো হয়। আর আমার ইসলামি স্টাডির উপর মন বসে গেছে। এদিকে আব্বু আম্মুর আদেশ তো ফরজ তাই পড়াশোনা তো ফরজ আমার উপর,(না হলে শুধরায় দিন)। তাই আমি সবসময় অন্যান্য ইবাদত নিয়ে থাকি তাই তারা আমার উপর এই জন্য,,,, আজ তেমনই বকাবকি করতিছে,, কিন্তু এও সত্য যে তারাও আমার পড়ার সময় কথা বলে যাতে আমার অসুবিধা হয়।।তাই আমি আজ তাদের রাগ করা সাথে সাথে একটু গরম ভাবে বলেছি তোমরাও আমাকে ডিসটার্ব করো শুধু দোষ টা আমার না(আমি শুধু সত্য টা বলার জন্য বলেছি যে অন্যায় শুধু আমি করি না)। আর এক পর্যায়ে আমি বলি যে আবার ডিস্তার্ব করলে আমি আর পড়ালেখা করব না,,, আল্লাহর কসম তাদের সাথে এই পর্যন্ত রাগ করছি শুধু বলার জন্য যে আমি একা অন্যায় করিনা।
আবার, তখন আমার বড় ভাই বলে যে তাহলে তুই খেদমত কর, পড়ালেখা বাদ দিয়ে,,( আমি মসজিদের খেদ্মত করি তাই) এবং বলে এইটা কোন জীবন না,,(অর্থাৎ সে পড়ালেখা করা গাড়ি বাড়ির পিছে ছুটার কথা বোঝায়ছে এবং এলমে দ্বীন কে কটাক্ষ করছে) যার জন্য আমার খুব রাগ হয় ও রাগ করে বলি যে তুমি এর ফল পাবা কবরে।
এখন আমার প্রশ্ন যে আমি কি কোন ভুল করেছি? কোন বেয়াদবি যদি তাদের সাথে করে থাকি,, তাহলে আমাকে শুধরে দিন। আর পুরো ঘটনার মধ্যে আমার প্রতিটা ভুল ধরিয়ে দিন যেন আমাই তাওবা করতে পারি।।।[[[আমি স্বীকার করি যে আমি পড়া লেখা কম করে ভুল করি এবং আমার ঈমানের সাথে সম্পর্কিত থাকায়,,ঈমান কমে গেলে পড়াশোনা ব্যপক ভাবে কমে যায়।। কিন্তু তাদের ইসলামিক জ্ঞান ও প্রাক্টিসিং মুসলিম না হওয়ায়(এমনকি নামাজ ছাড়া ও হারাম খেতে অনেক স্কময় গায় বাধে না) তাদের আমি এইটা বলতে পারি না কারন তারা এইটা হয়তো বুঝবে না।।]]
★ আমি যেন কেমন,, একটু গুনাহ হলে মাঝে মাঝে স্তব্ধ হয়ে যায়, পরপর ছোট বড় কিছু গুনাহ করে করে ফেলি,, সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় নামাজ এ মনোযোগ, দৃষ্টির হেফাযত (মানে কম সতর্ক থাকি ফলে অনিচ্ছাকৃত বাজে দিকে বেশি চোখ চলে যায় কিন্তু আল্লাহর রহমতে সাথে সাথে চোখ ফিরিয়ে আনি), দাওয়াতি কাজ ও গ্যাসের সমস্যা থাকায় অযু চেপে নামাজ আদায় করায়। কিন্তু আমি যে সাথে সাথে তাওবা করে ফিরে আসব তা কেমন যানো পারি না। স্তব্ধ হয়ে থাকি।। যাতে আমি সাথে সাথে তাওবা করে ফিরে আসতে পারি তার কিছু টিপস দেন।।আমার কোন ঘাটতির কারনে আমার ঈমান এতো দুর্বল আমাকে শুধরিয়ে দিন {আমি আমার বর্তমান জীবন টুকু বলেছি কোন গুনাহ গোলো করছি তাই আপনি দেখে বলুন} ।। আগে একটা নফল ছুটলে চোখে পানি আসত অথচ এখন...
★★আর মুহতারাম আমার জন্য মন খুলে একটু দোয়া করেন আমার ঈমান অনেক দুর্বল ★★