ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
নিয়ত মানে হল মনস্থির করা। কোন কাজটি করছি? কেন করছি? কার জন্য করছি? কি করছি? এসব বিষয় নির্ধারণ করার নাম হল নিয়ত।
প্রতিটি কাজের সওয়াব পাবার জন্য নিয়ত থাকা আবশ্যক।
নিয়ত হচ্ছে, অন্তরের বিষয়।
অন্তর দিয়ে নিয়ত করতে হয়।
নিয়ত বাংলায় বা আরবীতে বলা জরুরী নয়।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
নিয়ত অর্থ সংকল্প। যেমন মনে মনে এ সংকল্প করবে,
আমি রোযা রাখলাম।
মুখে বলা জরুরি নয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوٰى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُوْلِه فَهِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُولِه وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ اِلٰى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهٗ إِلٰى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিয়্যাতের উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্যই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার স্বার্থপ্রাপ্তির জন্য অথবা কোন মহিলাকে বিবাহের জন্য হিজরত করবে সে হিজরত তার নিয়্যাত অনুসারেই হবে যে নিয়্যাতে সে হিজরত করেছে।
বুখারী ১, মুসলিম ১৯০৭, তিরমিযী ১৬৩৭, নাসায়ী ৭৫, আবূ দাঊদ ২২০১, ইবনু মাজাহ্ ৪২২৭, আহমাদ ১৬৯, ৩০২।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
রোজার নিয়তের জন্য প্রচলিত দুআ কোরআন হাদিসে নেই।
তবে এসব দুআ বলে রোজার নিয়ত করা যাবে।
(আবশ্যকীয় বা দ্বীনের অংশ মনে করলে বিদ'আত হবে।)
(০২)
আপনি তার উপার্জন এর বিষয় জেনে নিবেন।
যদি হারাম বেশি হয়,তাহলে সেই ইফতারী না খেয়ে গরিব মিসকিনকে দিয়ে দিবেন।
খেয়ে থাকলে তার সমপরিমান মূল্য গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।
আর যদি তারা হালাল ইনকাম হয় বা হালাল ইনকামই বেশি হয়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
উপার্জনের বিষয় চেষ্টা করার পরও জানা না গেলে এগুলো গ্রহন করতে সমস্যা নেই।
(০৩)
তাহলে অযুর ক্ষেত্রে কুলি করবেনা,নাকে পানি দিবেনা।
ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে আঙ্গুল ভিজিয়ে নাকের মাঝে মুছে দিতে হবে,আর অল্প সামান্য পানি নিয়ে কুলি করবে।
(০৪)
মা আপ্রাণ চেষ্টা করবে,ধারাবাহিক ভাবে বুঝাতেই থাকবে তাতে কাজ না হলে তার করনীয় নেই।
(০৫)
চোখ,মুখ,কান,নাক,চেহারা বুঝা না গেলে এতে সমস্যা হবেনা।
(০৬)
না,এতে পর্দার খেলাফ হবেনা।
এতে গুনাহ হবেনা।