بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
বিতর নামাযে দুআয়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব। এটি তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সাথে সূরা
মিলিয়ে তাকবীর বলে হাত বেঁধে পড়তে হয়।
দোয়া কুনুত :
اَللَّهُمَّ
اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ
وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ
وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ
وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى
عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাঈনুকা ওয়া নাসতাগ ফিরুকা ওয়ানু’মিনু বিকা ওয়ানাতাওয়াক্কালু
আলাইকা ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর। ওয়া নাসকুরুকা ওয়ালা নাক ফুরুকা ওয়ানাখলাউ উয়ানাত
রুকু মাইয়্যাফযুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা’বুদু ওয়ালাকা নুছল্লি ওয়ানাস জুদু
ওয়া ইলাইকা নাসয়া, ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা ওয়া নাখশা
আজাবাকা, ইন্না আজাবাকা বিলকুফফারি মূলহিক্।
অনুবাদ: হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিতেছি, তোমার নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করিতেছি, তোমার ভরসা করিতেছি। তোমার নিকট ক্ষমা
ভিক্ষা করিতেছি, তোমার উপর ঈমান আনিতেছি, তোমার ভরসা করিতেছি তোমার গুণগান করিতেছি এবং তোমারই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি।আমরা
তোমাকে অস্বীকার করি না। যাহারা তোমার হুকুম অমান্য করে তাহাদের সঙ্গে আমরা সংশ্রব
সংসগ্র পরিত্যাগ করি। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই ইবাদত করি, তোমারই খেদমতে হাজির হই এবং তোমার রহমতের আশা করি ও তোমার শাস্তিকে ভয় করি। নিশ্চই
তোমার আজাব অবিশ্বাসিগণ ভোগ করিবে।
বিতর নামাজে দোয়া কুনুত না পারলে করণীয় কি?
এশার নামাযের পর বিতর নামায তিন রাকাত আদায় করতে হয়। এবং এ নামাযে দোয়ায়ে কুনুত
পড়া ওয়াজিব। দোয়ায়ে কুনুতের পরিবর্তে তিনবার সূরা ইখলাস পড়া গ্রহণযোগ্য মত নয়। কারণ, সূরা ইখলাস কুনুত বা দোয়া সম্বলিত সূরা নয়। বিতর নামাযে কুনুতের উদ্দেশ্য হচ্ছে-
দোয়া করা। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দোয়া ব্যতীত অন্য যে কোনো দোয়া পড়লেও ওয়াজিব আদায় হয়ে
যাবে এবং নামায সহীহ হয়ে যাবে। অবশ্য হাদীসে বর্ণিত দোয়া যেমন ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতায়িনুকা’
এটা পড়া সুন্নত সুতরাং হাদীসে বর্ণিত এ দোয়া কেউ না জানলে দ্রুত শিখে নিতে হবে।
ইমাম নববীর মতানুসারে যে কোন দোয়া পড়লে এর দ্বারা কুনুত হয়ে যাবে; এমনকি দোয়া সম্বলিত এক বা একাধিক কুরআনের আয়াত পড়লেও কুনুতের উদ্দেশ্য হাছিল হয়ে
যাবে। তবে, হাদিসে যে দোয়া এসেছে সেটা পড়া উত্তম। (ইমাম
নববীর ‘আল-আযকার ৫০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/ বোন!
বিতির নামাজে দুয়া কুনুত
পড়তে হবে যা উপরে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রশ্নেল্লিখিত দুআটি নবীজি সা: নফল নামাজের সিজদারত
অবস্থায় পড়েছেন। বিধায় আপনার জন্য উচিত উপরে উল্লেখিত দুআটিকে বিতির নামাজে পড়া। আর
নিম্নেলিখিত দুআটি আপনি নফল নামাজের সিজদায় পড়তে পারেন।
আয়িশা (রাঃ)
থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে না পেয়ে তার নিকট পৌছে
দেখি তিনি সিজদায় আছেন আর তাঁর পায়ের পাতাদ্বয় খাড়াবস্থায়। আর তিনি বলছেন-
اللَّهُمَّ
إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوبَتِكَ وَبِكَ
مِنْكَ لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ
(আবু দাউদ
হাঃ ৮২৩)