আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
122 views
in পবিত্রতা (Purity) by (87 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
আমার কিছু বিষয় জানার ছিল। দয়া করে বিস্তারিত বুঝিয়ে দিবেন।

১/ অনেক সময় ই শরীর উত্তেজিত হয়ে যায় এবং জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য শরীর অস্থির হয়ে উঠে। আমি অবিবাহিত। সেজন্য বেশিরভাগ সময় ই গুনাহ হয়ে যায় ঐরূপ অবস্থায়। শরীর উত্তেজিত বিনা কারণেই হয়ে থাকে এবং এটা আস্তে আস্তে বারতে থাকে। সে সময় যাতে গুনাহ না হয় এর জন্য কি করণীয়?

২/ ইসলাম এ কম খাবার ব্যপারে কি বলে? কম খাবার গ্রহণ এর ফজিলত আছে কি?

৩/ খাবার এর পরিমাণ এর সাথে কামোত্তেজনার কোন সম্পর্ক আছে কি?

৪/ হালাল খাবার কিন্তু ইসলাম এ অনুতসাহিত এমন কোনো খাবার আছে কি?

৫/ আল্লাহ এর বড়ত্ব সম্পর্কিত এবং তাকওয়া সংক্রান্ত অনলাইন পিডিএফ বই প্রয়োজন আমার। শেইখ দয়া করে কোনো বই suggest করবেন

জাজাকাল্লাহ খইরন

1 Answer

0 votes
by (559,290 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
এক্ষেত্রে সামর্থ থাকলে পরামর্শ থাকবে  বিবাহ করতে হবে।

যদি শতচেষ্টার পর কোনো কারণে বিয়ে করা অসম্ভব হয়,তাহলে যৌনক্ষমতাকে দমিয়ে রাখতে এক্ষেত্রে রোযা রাখাই নির্দিষ্ট। 

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,

(يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ)

হে যুবকদের দল! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থবান,তারা যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা বিয়ে চক্ষুকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে।আর যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই তারা যেন রোযা রাখে।কেননা রোযা ঢাল স্বরূপ।(সহীহ বোখারী-১৯০৫,সহীহ মুসলিম-১৪০০)

এহেন অবস্থা থেকে মুক্তি লাভের বিস্তারিত আমল জানুনঃ 

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْهُ أَنَّ رَجُلًا كَانَ يَأْكُلُ أَكْلًا كَثِيرًا ، فَأَسْلَمَ ، فَكَانَ يَأْكُلُ قَلِيلًا ، فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ : " إِنَّ الْمُؤْمِنَ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ ، وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ " . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি অধিক পরিমাণে খাবার খেতো, পরে সে ইসলাম গ্রহণ করল। তখন সে অল্প খেতে লাগল। ব্যাপারটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানালে তিনি বললেনঃ মু’মিন খায় এক পাকস্থলীতে আর কাফির খায় সাত পাকস্থলীতে।
সহীহ : বুখারী ৫৩৯৭, তিরমিযী ১৮১৮, মুসনাদে আহমাদ ১৪৫৭৭, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৭৬৮৯।

রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘মানুষের জন্য পূর্ণ করার ক্ষেত্রে পেটের তুলনায় খারাপ কোনো পাত্র নেই।’ (বুখারি, হাদিস : ৪৩৪৩)।

খাবার কম খাওয়ার উপকারিতা  সম্পর্কে উলামায়ে কেরামগন বলেছেনঃ
১. অন্তরে স্বচ্ছতা সৃষ্টি হয়, ২. দিল নরম হয় এবং মোনাজাতে স্বাদ অনুভূত হয়, ৩. অবাধ্য নফস অপদস্থ ও পরাজিত হয়, ৪. নফসকে শাস্তি দেওয়া হয়, ৫. কুপ্রবৃত্তি দুর্বল হয়ে যায়, ৬. বেশি নিদ্রা আসে না এবং ইবাদত কষ্টকর হয় না, ৭. দুনিয়াবি চিন্তাভাবনা কমে আসে এবং জীবিকা নির্বাহের বোঝা হালকা হয়ে যায়। 
(সংগৃহীত।)

(০৩)
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

(০৪)
জানা মতে নেই।

(০৫)
তাকওয়া লিখে সার্চ দিলেই এ সংক্রান্ত অনেক কিতাব পাবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...