ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এক্ষেত্রে সামর্থ থাকলে পরামর্শ থাকবে বিবাহ করতে হবে।
যদি শতচেষ্টার পর কোনো কারণে বিয়ে করা অসম্ভব হয়,তাহলে যৌনক্ষমতাকে দমিয়ে রাখতে এক্ষেত্রে রোযা রাখাই নির্দিষ্ট।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ)
হে যুবকদের দল! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থবান,তারা যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা বিয়ে চক্ষুকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে।আর যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই তারা যেন রোযা রাখে।কেননা রোযা ঢাল স্বরূপ।(সহীহ বোখারী-১৯০৫,সহীহ মুসলিম-১৪০০)
এহেন অবস্থা থেকে মুক্তি লাভের বিস্তারিত আমল জানুনঃ
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْهُ أَنَّ رَجُلًا كَانَ يَأْكُلُ أَكْلًا كَثِيرًا ، فَأَسْلَمَ ، فَكَانَ يَأْكُلُ قَلِيلًا ، فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَ : " إِنَّ الْمُؤْمِنَ يَأْكُلُ فِي مِعًى وَاحِدٍ ، وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ " . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি অধিক পরিমাণে খাবার খেতো, পরে সে ইসলাম গ্রহণ করল। তখন সে অল্প খেতে লাগল। ব্যাপারটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানালে তিনি বললেনঃ মু’মিন খায় এক পাকস্থলীতে আর কাফির খায় সাত পাকস্থলীতে।
সহীহ : বুখারী ৫৩৯৭, তিরমিযী ১৮১৮, মুসনাদে আহমাদ ১৪৫৭৭, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৭৬৮৯।
রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘মানুষের জন্য পূর্ণ করার ক্ষেত্রে পেটের তুলনায় খারাপ কোনো পাত্র নেই।’ (বুখারি, হাদিস : ৪৩৪৩)।
খাবার কম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে উলামায়ে কেরামগন বলেছেনঃ
১. অন্তরে স্বচ্ছতা সৃষ্টি হয়, ২. দিল নরম হয় এবং মোনাজাতে স্বাদ অনুভূত হয়, ৩. অবাধ্য নফস অপদস্থ ও পরাজিত হয়, ৪. নফসকে শাস্তি দেওয়া হয়, ৫. কুপ্রবৃত্তি দুর্বল হয়ে যায়, ৬. বেশি নিদ্রা আসে না এবং ইবাদত কষ্টকর হয় না, ৭. দুনিয়াবি চিন্তাভাবনা কমে আসে এবং জীবিকা নির্বাহের বোঝা হালকা হয়ে যায়।
(সংগৃহীত।)
(০৩)
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
(০৪)
জানা মতে নেই।
(০৫)
তাকওয়া লিখে সার্চ দিলেই এ সংক্রান্ত অনেক কিতাব পাবেন।