ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/15700 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
জামাতে ফরজ নামাজ পড়ার নির্দেশ শুধু পুরুষদের জন্য। নারীদের ওপর জামাতে অংশগ্রহণের স্বতন্ত্র্য কোনো নির্দেশনা ইসলামে নেই। তাই ঘরে একত্রিত হয়ে নারীরা পুরুষ বা নারী ইমাম বানিয়ে জামাত করাও শরিয়ত নির্দেশিত হুকুম নয়। এর প্রতি উৎসাহিতও করা হয়নি।তবে নারীরা যদি পুরুষ ইমামের পেছনে জামাতবদ্ধ হয়ে নামাজ পড়ে নেয়, তাহলে ওই নামাজ শুদ্ধ হবে। আর এ ধরনের ক্ষেত্রে পর্দার বিধান লঙ্ঘন না হলে নারীদের জামাত বৈধ।(তাবয়িনুল হাকাইক : ১/১৩৫; ফাতাওয়া দারুল উলুম : ৩/৪৩)
মাহরাম নারীদের নিয়ে ঘরে জামাত করা
শরিয়ত অনুমোদিত কোনো কারণে যদি কোনো পুরুষ মসজিদে যেতে না পারে, তাহলে ঘরের মাহরাম নারীদের সঙ্গে নিয়ে জামাতে নামাজ পড়া তার জন্য বৈধ। এ ক্ষেত্রে সবাই জামাতের সওয়াব পাবে। কিন্তু গায়রে মাহরাম নারীদের নিয়ে ঘরে জামাতে নামাজ আদায় সমীচীন নয়।তবুও গায়রে মাহরাম নারীরা যদি ঘরে নামাজের জামাতে শরিক হতে চায়, অবশ্যই তারা পর্দার আড়ালে থেকে জামাতে অংশগ্রহণ করবে। পর্দার বিধান লঙ্ঘন করে জামাত করা বৈধ নয়। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/২২৮, আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ২/২২৭)
এভাবে নামাজ পড়তে গেলে জামাতে দাঁড়ানোর পদ্ধতি হলো—এক বা একাধিক নারী পেছনের সারিতে দাঁড়াবে। (রদ্দুল মুহতার : ১/৫৬৬, আহসানুল ফাতাওয়া : ৩/২৯৯)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
স্ত্রী কখনো ইমাম হতে পারবে না।যদি স্বামীর তিলাওয়াত অশুদ্ধ থাকে, তাহলে স্বামী স্ত্রী তারা পৃথক পৃথক নামায পড়বে।
(২)
স্ত্রী নামাজ পড়ছে তখন স্বামী বাহির থেকে এসে দরজায় নক করতে থাকলে নামাজ ছেড়ে দিবে না, বরং নামাযকে সংক্ষিপ্ত করে পড়ে তারপর দরজা খুলে দিবে।