ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/5564 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নামাযর ওয়াক্ত সম্পর্কে ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত তাহাবী শরীফের একটি হাদীস উল্লেখযোগ্য যাকে পরিভাষায় "হাদীসে ইমামতে জিব্রাইল বলা হয়,যাতে সমস্ত ফরয নামাযের শুরু এবং শেষ ওয়াক্ত সুস্পষ্টরূপে বর্ণিত হয়েছে.......
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,আমাকে জিব্রাইল আঃদুই বার ক্বাবা ঘরের সামনে ইমামতি করে নামায পড়ান,
(প্রথম দিন)সূর্য ঢলার পর সাথে সাথেই আমাকে সাথে নিয়ে জোহরের নামায পড়ান,এবং প্রত্যেক বস্তুর ছায়া(আসল ছায়া ব্যতীত) যখন এক মিছিল হয় তখন আমাকে নিয়ে আসর পড়েন,এবং যখন রোজাদার ইফতার করে তখন আমাকে নিয়ে মাগরিব পড়েন,এবং যখন পশ্চিম আকাশে( শফকে আবয়ায)দূর হয়ে যায় তখন আমাকে নিয়ে এ'শার নামায পড়েন,
(দ্বিতীয় দিন)যখন প্রতিটা বস্তুত ছায়া(আসল ছায়া ব্যতীত)এক মিছল হয়,তখন আমাকে নিয়ে জহরের নামায আদায় করেন,এবং দুই মিছলের পর আমাকে নিয়ে আসরের নামায পড়েন,এবং (প্রথম দিনের মত) রোজাদার যখন ইফতার করেন তখন আমাকে নিয়ে মাগরিবের নামায পড়েন,এবং রাতের এক তৃতীয়াংশ চলে যাওয়ার পর আমাকে নিয়ে এ'শার নামায পড়েন,এবং ভোরের আলো পরিস্কার হওয়ার পর আমাকে নিয়ে ফজরের সালাত পড়লেন।অতঃপর আমার দিকে মনোনিবে করে বললেন,হে মুহাম্মাদ সাঃ নামাযের ওয়াক্ত এ দুই সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে।এবং এটাই আপনার পূর্বের নাবী রাসূলদের নামাযের ওয়াক্ত ছিলো।(তাহাবী-৮৯৮)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নির্দিষ্ট সময় নামায আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।সুতরাং নামাযকে কাযা বা পরিত্যাগ করা যাবে না।তাই আমরা বলবো, নামায পড়ার মত কোনো জায়গা না থাকলে, ছাত্ররা সাথে করে জায়নামায নিবে।এবং ঘর বা রাস্তার দ্বার যেখানেই তারা সুযোগ পাবে, সেখানেই নামায পড়ে নিতে হবে। মেয়েরা বিশেষ প্রয়োজনে মুখ ঢেকে নেকাব পরিহিতা অবস্থায়ও নামায পড়তে পারবে। তবে সাধারণ বিধান হল, মুখ ঢেকে নামায পড়া মাকরুহ।
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
আপনার পরিস্থিতি বিবেচনায় বলবো যে, আপনি প্রথমে সঠিক সময়ে নামায পড়ার চেষ্টা করবেন।এজন্য যদি মুখ ঢেকেও নামায পড়তে হয়, তাহলেও পড়ে নিবেন।যদি আওয়াল ওয়াক্তে নামায পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে বাসায় এসে ওয়াক্ত খতম হওয়ার পূর্বে তথা পরবর্তী ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্বে নামায পড়ে নিবেন। নেকাব যদি এত গাঢ় না হয়, যে তা দ্বারা সিজদা দিলে জমিনের শক্ততা অনুভূত হয়, তাহলে সেই নেকাবের উপরে সিজদা দেয়া যাবে।