আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
আসসালমুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

উস্তাদ,

• সকাল 10 ta থেকে 2:05 পর্যন্ত কলেজ এ ক্লাস থাকে।বাসায় এসে সালাতে দাড়াতে দাড়াতে প্রায় 2:20 বেজে যায়।আমি সব সময় চেষ্টা করি 12 টার পর পরই যখন ওয়াক্ত হয় নামাজ পড়ার।কিন্তু ক্লাস এর কারণে জোহর এর নামাজ এবং 3/4টা থেকে প্রাইভেট থাকায় আসর এর নামাজ এ দেরি হয়ে যায়।আসর এর নামাজ প্রায় 5:30 এ পড়া লাগে। কিন্তু আল্লাহ তো সময় মত সালাত আদায়করিকে পছন্দ করেন।আমার করণীয় কী?

•বোরকার সাথে নিকাব পড়লে মুসল্লা থেকে কপালের মাঝে অল্প একটু (সামান্য, 1cm এর 1/4 এর ও কম)ফাঁকা থাকে।  আমি যদি বাসা থেকে বের হবার আগে ওযু করে বের হই আর সালাত এর জন্য সামান্য সময় বের করতে পারি(উল্লেক্ষ্য,কলেজ এর মাঝে টিফিন বা কোনো সময় এর কোনো গ্যাপ নেই,ক্লাস এর ফাঁকে 10-15 মিনিট ম্যানেজ করতে হবে) তাহলে কি নিকাব পড়া অবস্থায় নামাজ পড়তে পারবো?
•আবার অনেক সময় বাসা থেকে দূরে থাকলে বা দূরে কোথাও গেলে নামাজ পড়ার সময় মুখ ,কপাল খোলার মতো প্রাইভেসি পাওয়া যায়না ।বেশিরভাগ মসজিদে বা পাবলিক নামাজের জায়গায় মহিলাদের জন্য চারপাশ দিয়ে কাপড় টানিয়ে নামাজের ব্যাবস্থা করা হয়।তাই সেখানে মুখ খোলা সম্ভব হয় না। কিন্তু আমি উপায় অন্ত না পেয়ে,মুখ সম্পূর্ণ ঢাকা অবস্থায়ই অনেক ওয়াক্ট নামাজ পড়ে ফেলেছি আমার নামাজ কি কায়েম হয়েছে?

•নামাজে পা এর পাতার উপরের অংশ ঢাকা কি বাধ্যতা মূলক?

দয়া করে পইন্ট করে উত্তর দিবেন।দুয়ার দরখাস্ত রইলো।

জাযাকাললাহ।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/5564 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নামাযর ওয়াক্ত সম্পর্কে ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত তাহাবী শরীফের একটি হাদীস উল্লেখযোগ্য যাকে পরিভাষায় "হাদীসে ইমামতে জিব্রাইল বলা হয়,যাতে সমস্ত ফরয নামাযের শুরু এবং শেষ ওয়াক্ত সুস্পষ্টরূপে বর্ণিত হয়েছে.......
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,আমাকে জিব্রাইল আঃদুই বার ক্বাবা ঘরের সামনে ইমামতি করে নামায পড়ান,
(প্রথম দিন)সূর্য ঢলার পর সাথে সাথেই আমাকে সাথে নিয়ে জোহরের নামায পড়ান,এবং প্রত্যেক বস্তুর ছায়া(আসল ছায়া ব্যতীত) যখন এক মিছিল হয় তখন আমাকে নিয়ে আসর পড়েন,এবং যখন রোজাদার ইফতার করে তখন আমাকে নিয়ে মাগরিব পড়েন,এবং যখন পশ্চিম আকাশে( শফকে আবয়ায)দূর হয়ে যায় তখন আমাকে নিয়ে এ'শার নামায পড়েন,
(দ্বিতীয় দিন)যখন প্রতিটা বস্তুত ছায়া(আসল ছায়া ব্যতীত)এক মিছল হয়,তখন আমাকে নিয়ে জহরের নামায আদায় করেন,এবং দুই মিছলের পর আমাকে নিয়ে আসরের নামায পড়েন,এবং (প্রথম দিনের মত) রোজাদার যখন ইফতার করেন তখন আমাকে নিয়ে মাগরিবের নামায পড়েন,এবং রাতের এক তৃতীয়াংশ চলে যাওয়ার পর আমাকে নিয়ে এ'শার নামায পড়েন,এবং ভোরের আলো পরিস্কার হওয়ার পর আমাকে নিয়ে ফজরের সালাত পড়লেন।অতঃপর আমার দিকে মনোনিবে করে বললেন,হে মুহাম্মাদ সাঃ নামাযের ওয়াক্ত এ দুই সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে।এবং এটাই আপনার পূর্বের নাবী রাসূলদের নামাযের ওয়াক্ত ছিলো।(তাহাবী-৮৯৮)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নির্দিষ্ট সময় নামায আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।সুতরাং নামাযকে কাযা বা পরিত্যাগ করা যাবে না।তাই আমরা বলবো, নামায পড়ার মত কোনো জায়গা না থাকলে, ছাত্ররা সাথে করে জায়নামায নিবে।এবং ঘর বা রাস্তার দ্বার যেখানেই তারা সুযোগ পাবে, সেখানেই নামায পড়ে নিতে হবে। মেয়েরা বিশেষ প্রয়োজনে মুখ ঢেকে নেকাব পরিহিতা অবস্থায়ও নামায পড়তে পারবে। তবে সাধারণ বিধান হল, মুখ ঢেকে নামায পড়া মাকরুহ।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
আপনার পরিস্থিতি বিবেচনায় বলবো যে, আপনি প্রথমে সঠিক সময়ে নামায পড়ার চেষ্টা করবেন।এজন্য যদি মুখ ঢেকেও নামায পড়তে হয়, তাহলেও পড়ে নিবেন।যদি আওয়াল ওয়াক্তে নামায পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে বাসায় এসে ওয়াক্ত খতম হওয়ার পূর্বে তথা পরবর্তী ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্বে নামায পড়ে নিবেন। নেকাব যদি এত গাঢ় না হয়, যে তা দ্বারা সিজদা দিলে জমিনের শক্ততা অনুভূত হয়, তাহলে সেই নেকাবের উপরে সিজদা দেয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 375 views
0 votes
1 answer 475 views
...