আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
366 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (51 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।হুজুর পুরো ১ দিনের ঘটনা আপনাকে বুঝাতে পারি কিনা জানি না।না পারলে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চাই ফোনে।মেসেজের কথা তহ আপনাকে হয়ত এখানে বুঝাতে পারতেছি না।দয়া করে বলবেন হুজুর।কিন্তুু তালাকের কোন কথা হয় নি।শুধু তালাকের নিয়ত ছিল কিনা সেটা জিগ্যেস করা ছাড়া।নিচের বিবরন গুলো পড়ে একটু বলবেন হুজুর?  আর না হয় আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চাই ফোনে।পুরো ঘটনা হচ্ছে বিয়ের আগে অন্য মেয়ের সাথে কথা বলা নিয়ে।তখন স্ত্রী ও ছিল তার জীবনে।সেটা বিয়ের পর বলেছে স্ত্রীকে।আর স্বামি এখন নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছে।হুজুর নিচের বিবরণটা পড়ে একটু বলবেন?তারা চাই একসাথে সংসার করতে।দয়া করে সব পয়েন্ট পড়ে একটা ফতোয়া দিয়েন যাতে ভালভাবে  সংসার করা যায়।খুব টেনশনে।

১।স্ত্রী যদি মেসেজে বলে স্বামীকে তুমার এই কারনে মন থেকে বের হয়ে গেছ,ভেবে নাও আমাকে হারিয়ে ফেলছ,মা বাবার সাথে কথা বলে ডিসিশন নিব কি করব করব না কিন্তুু মা বাবাকে বলে নি।এর পর  মানে কিছু কথা পর পর আর কিছু কথা পর পর নয়, যদি স্বামী কেনায়া,বাক্য বলে তালাকের নিয়ত ছাড়া তাহলে কি তালাক হবে? তালাকের কথাও হয় নি।স্বামী কয়েকটা প্রায়,৬-৭ টা কেনায়া বাক্য বলে।স্বামি তালাকের নিয়তকে রাগের মাথায় অস্বীকার করেছে ।আবার এর আগের দিন মানে যেদিন অন্য মেয়ের সাথে কথা বলে সেটা জানতে পেরেছে তখন স্বামী জিগ্যেস করেছিল স্ত্রীকে স্বামিকে ছেড়ে থাকতে পারবে কিনা স্ত্রী বলেছিল হ্যা।স্বামি খুব কস্ট পেয়ে বলেছে কেমনে বললা আমাকে ছাড়া থাকতে পারবা? কেমনে পারবা আমাকে ছাড়া থাকতে? বেশি ইমোশনাল হয়ে বলতেছিল কথাগুলো।তুমি এখন থেকে স্বপ্ন দেখতেছ আমাকে ছারা অন্য কারো সাথে থাকতে পারবা।আমাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছ।রাখ মেসেজ দিবা না আর কথা বলবা না কোনদিন।তুমি আমাকে ছারা কেমনে পারবা থাকতে? এরপর আবার বলতেছে প্লিজ আমাকে দূরে সরিয়ে দিও না যাইও না আমাকে ছেড়ে।স্বামীর কোন কথায় তালাকের নিয়তে বলে নি।আর স্ত্রী তালাক ও চাই নি।শুধু উপরের কথা গুলো বলেছিল। এই ঝগড় টা প্রায়,একদিন চলে।আর মেসেজে কথা হয় তহ এর মাঝে অনেক কথাও হয়েছে।গালি ও দিয়েছে।ভাল ও হয়েছে।হুজুর এই অবস্হায়,কি ওদের তালাক হবে? স্ত্রী ও তালাক চাই নি। স্বামীও তালাকের নিয়তে বলে নি।আরেকটা কথা হুজুর স্ত্রী যদি তা...... না চাই উক্ত কথা গুলো বলার সময়  মনে মনে ভাবে যে স্বামীর সাথে আর থাকবে না।কিন্তুু মুখে বলে নি তালাকের কথা তাহলে কি স্বামি তালাকের নিয়ত ছারা কেনায়া বাক্য বললে তা...... হবে?স্ত্রী হয়ত মনে  মনে ভেবেছে কিন্তুু সেও চাই না তা....... হোক।কারন স্ত্রী স্বামিকে খুব ভালবাসে।স্বামীও এখন কারো সাথে কথা বলে না।তারা কি একসাথে সংসার করতে পারবে? জানি না কতটুকু বুঝাতে পেরেছি।আল্লাহ মাফ করে কিনা নাকি যিনা হবে।তারা চাই একসাথে থাকতে এতে কি যিনা হবে?আর হুজুর মাকে ধরে গালি দিলে  রাগে মানে  " তোর মারে লইয়ম " চট্টগ্রামের ভাষায় গালি এটা বললে কি বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?আবার তর মা বলে গালি দিতে চাইয়ে দেই না এতে কি কোন সমস্যা হবে?

২।স্ত্রী স্বামীর এসব ব্যপারে জানার পর বলতেছে কেন আল্লাহ আমার কপালে এমন স্বামি দিল।হয়ত আমার ভুলের জন্য। স্বামী বলতেছে ভাল খুজতেছ?  স্ত্রী বলে যে না খুজতেছি না আর।স্বামি বলে যে লিখে নাও পাবে না ভাল স্বামি। এখানে স্বামি স্ত্রীকে বিয়ে করতে বলে নাই।স্ত্রী ও ত....... চাই নি।আবার স্ত্রী বলতেছে এই চিন্তায় ঘুমাতে পারি নাই।স্বামি বলে যা যা ঘুম যা।ভাল করে ঘুৃম যাওয়ার ব্যবস্থা করতেছি।কিজন্য বলেছে জানে না স্ত্রী। পরে স্বামীকে জিগ্যেস করে স্বামী বলে না কোনদিন তালাকের নিয়ত ছিলও না দিব ও না।আমি কয়েকবার জিগ্যেস করেছি বলে না তালাকের নিয়তে বলে নি স্বামি।

৩।স্ত্রী যদি স্বামীকে উদ্দেশ্যে করে ৩ বার তালাক বলে তাহলে কি তালাক হবে? মনে মনে উদ্দেশ্যে করে মুখে ৩ বার স্বামীকে বললে? নিজেকে দেই নাই।স্বামীকে মনে মনে উদ্দেশ্যে করে বললে?

৪।হুজুর প্রশ্নটা জানার জন্য,করতেছি খুবই দরকারি।কোন স্ত্রী যদি তা......  চাই আর স্বামি যদি বলে এসব কোন ছেলে খেলা না।স্বামী যদি বলে যদি দি তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে।দেয়,নাই এতে কি তা...... হবে?প্রশ্নটা জানা দরকার।আমার জন্য না বা আমার দিকে ইন্গিত করে বলি নি।

৫।স্বামী যদি বলে এখানে আজকে আসা হত না।তুমি তহ দূরে চলে যাইতা বা আমাকে ছেড়ে দূরে চলে যাইতা।আগে ছেড়ে দিতে চাইছিল স্ত্রী মা বাবার জন্য।স্বামীর এ কথায় কি কিছু হবে?

৬।মাসআালা বুঝানোর সময় স্বামি স্ত্রী তালাকের কথা বের হলে কি তালাক হবে? তালাকের মাসআলা বুঝানোর সময়? মুখ দিয়ে বের হলে? মানে স্ত্রী স্বামীকে বুঝানোর সময় আবার স্বামী স্ত্রীকে বুঝানোর সময়?

 ৭।তালাকের মাসআলা মনে করার সময় মুখ দিয়ে বের হলে কি সমস্যা হবে?আর তালাকের কথা কেউ ভাবার সময় মুখ দিয়ে বের হলে মনের অজান্তে তাহলে কি তালাক হয়?

৮।হুজুর আরেকটা বিষয় নিয়ে খুব সন্দেহে। স্ত্রী যদি বলে তালাক  দাও স্বামী যদি বলে ঠিক আছে যেটা চাও সেটা হবে।এরকম বললে কি তালাক হয়? জানার জন্য প্রশ্ন করলাম।

৯।একজন স্ত্রীকে তার স্বামী তালাকের অধিকার দিছে।স্ত্রী খুব টেনশনে আর মারাত্বক ওয়াসওয়াসায়।কারো কথা শুনলেও ভয় হয় ওর কোন তালাকের কথা বলেছে কিনা।এমনকি খাওয়া,নামাজ পড়া ব্রাশ করা সব নিয়ে।ভয়,হয় কোন উচ্চারন করেছে কিনা।এতে কি সমস্যা হবে?

১০।আরেকজনের দিকে ইন্গিত করে স্বামীকে কোন কথা বললে কি সমস্যা হবে? যেমন ঃ" তুইও বিয়ে করলি না শুধু শুধু ওর সংসার  টা ভান্গলি"।  এখানে তুই টা অন্য জনকে ইন্গিত করে বলেছিল আর কথাটা স্বামিকে বুঝাচ্ছিল। এতে কোন সমস্যা হবে?

আর হুজুর উপরে এসব প্রশ্ন করা দ্বারা আমার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে?দয়া করে বলবেন

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। (সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনাকে এই তালাকের ওয়াসওয়াসা নিয়ে অনেকবার বলেছি,অনেকবার ফাতাওয়া দিয়েছি।তাই আপনাকে আর লিখে বুঝানো সম্ভব না। সুতরাং আপনি ফোনে যোগাযোগ করবেন।জাযাকিল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...