আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (50 points)
edited by

" একটা সময় ছিল আমি যদিও মুসলমান ঘরেই জন্মেছি,তবুও গুনাহ করতে করতে আল্লাহ থেকে অনেক দূরে ছিলাম। শুধু জুমুআর, রোজার মাসে, ঈদের নামাজ পড়তাম। আর রমজানে রোজা।

এত গুনাহ করতে করতে বিভিন্ন মাসআলা, কুরআন পড়তে হয় কিভাবে আরও অনেক কিছু ভুলেও যাই। এছাড়াও তখন ইসলাম সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতাম ও না। একরকম ভাবতাম যে মুসলমান ঘরে জন্মেছি তাই মুসলিম। 

পরে একদিন আল্লাহর দয়ায় হেদায়তের নুর আসে। নতুন করে ইসলামকে ভালোভাবে জানা শুরু করি।

কিন্তু একদম শুরুর দিকে, প্রচুর সন্দেহ জাগত। একদিন তো এটাও দেখা শুরু করেছি, আসলেই আল্লাহ আমার রব কিনা, কোন ধর্ম আসলে সঠিক? বিভিন্ন ধর্মের বিশ্বাস সম্পর্কে জানা শুরু করি, পরে আল্লাহই আমাকে সঠিক পথ দেখায়। "

 

এখন প্রশ্ন হলো এইযে মনে এমন সন্দেহ হলো আসলেই আল্লাহ আমার রব কিনা? এতে কি আমার ঈমান সম্পূর্ন ভেঙে গিয়েছিল? সেটা কি কুফর ? আমি এখন এটাও নিশ্চিত না কোনদিন মুখ দিয়ে বা মনে এমন কিছু বলেছি বা ভাবছি কিনা যাতে ইসলামকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করা হয় বা ঈমান ভেঙে যায় এমন কিছু করেছি কিনা।

 

১.আমার কি পূর্বের ঈমান একেবারে ভেঙে গিয়েছে? পূর্বের সব আমল বাদ?

২. এখন যে পূর্বের নামাজ বাদ দিয়ার জন্য কাজা পড়ছি তা চালিয়ে যাবো? আমি নামাজ অস্বীকার করতাম না অবশ্য।

 

সব ভাইদের কাছে দোয়া চাচ্ছি যাতে আল্লাহ আমার ঈমান মজবুত করার দেয়, সঠিকভাবে আমল করতে পারি

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তাওবাহ করলে সকল গোনাহকেই আল্লাহ ক্ষমা দেন। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য "ইস্তেগফার"(ক্ষমা প্রার্থনা) করে। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না।তাদেরই জন্য প্রতিদান হলো তাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হচ্ছে প্রস্রবণ যেখানে তারা থাকবে অনন্তকাল। যারা কাজ করে তাদের জন্য কতইনা চমৎকার প্রতিদান। (আলে-ইমরান;১৩৫-১৩৬)

তাওবাহর দ্বারা আল্লাহ বান্দার হক পর্যন্ত ক্ষমা করে দেন। হযরত আবু-সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, বনি ইসরাঈল গোত্রে একজন ব্যক্তি ছিল,যে নিরানব্বই জনকে হত্যা করেছিল।অতঃপর যখন হেদায়তের নিকটবর্তী হল,তখন সে একজন পাদ্রীর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল তার তাওবাহ কি কবুল হবে?ঐ পাদ্রী উত্তরে বলল,না, তোমার তাওবাহ কবুল হবে না। তখন সে ঐ পাদ্রীকেও হত্যা করে ফেলল।অতঃপর সে তার তাওবাহর কবুল হওয়া না হওয়া সম্পর্কে লোকদেরকে জিজ্ঞেস করতে লাগল।তখন এক ব্যক্তি তাকে বলল, তুমি অমুক গ্রামে যাও সেখানে হয়তো কোনো সমাধান পেতে পারেন। সে ঐ গ্রামের দিকেই যেতে লাগল,তার বুক সেই গ্রামের দিকে থাকাবস্থায় রাস্তায় মধ্যখানে সে মূত্যুমূখে পতিত হল।সে সময় জান কবজের ব্যাপারে রহমতের ফিরিস্তা এবং আযাবের ফিরিস্তিাদের মধ্য ঝগড়া বেধে গেলো।তখনই আল্লাহ তা'আলা তার উদ্দিষ্ট ঐ গ্রামকে নিকটবর্তী হওয়ার নির্দেশ প্রদাণ করলেন।এবং ছেড়ে আসা গ্রামকে দূরবর্তী হওয়ার নির্দেশ প্রদাণ করলেন। তারপর আল্লাহ তা'আলা ফিরিস্তাদেরকে জায়গা পরিমাপন করার নির্দেশ দিলেন।জায়গা পরিমাপণ করে দেখা গেল যে, উদ্দিষ্ট গ্রাম ছেড়ে আসা গ্রাম থেকে অর্ধহাত কম।অতঃপর সেই ব্যক্তিকে মাফ করে দেয়া হল।(এবং রহমতের ফিরিস্তা তার জান কবয করল)(মিশকাত-২৩২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি অতীতের সকল কিছুর জন্য তাওবাহ করে নেন।এই তাওবাহ-ই আপনার জন্য যথেষ্ট হবে। ভবিষ্যতে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...