ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1645 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইফতারকে জামাত তরক করার মোটামোটি একটি কারণ হিসেবে দেখা যেতে পারে,তাদের জন্য যারা মসজিদের আযান শ্রবণ করেনা। কিন্তু যারা মসজিদের আযান শ্রবণ করতেছেন,তাদের জন্য ইফতার কোনো উযর নয়,বরং তারা অতি সংক্ষেপে অল্প পরিমাণে ইফতার করে মসজিদে গিয়েই মাগরিবের নামায পড়বেন।কেননা সাহাবায়ে কেরামগণও নফল রোযা রেখেছেন,তারা ঘরে ইফতার শেষে মসজিদে গিয়ে মাগরিবের নামায পড়েছেন।
আযান শ্রবণের অর্থ হচ্ছে,বাড়ি মসজিদের এত নিকটে যে,মাইক ব্যতীত এমনিতেই আযান দিলে সেই আযানকে ঘর থেকে শুনা যায়।সুতরাং এতটুকু নিকটে বাড়ি থাকলে উনি ঘরে ইফতার করে মসজিদে গিয়ে মাগরিবের নামায পড়বেন।কিন্তু যদি বাড়ি এত দূরে থাকে যে,আযান শুনা যায় না,তাহলে সেই চাইলে ঘরেই জামাতের সাথে মাগরিব আদায় করতে পারবে।যদিও মসজিদের ফযিলত সে পাবে না।কিন্তু তার ফরয আদায় হয়ে যাবে।
মাগরিবের নামায যতটুকু সম্ভব তারাতারি পড়াই মুস্তাহাব।কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম কোনো প্রয়োজন বা উযরের ধরুণ কিছুটা দেড়ীতে পড়ারও অনুমোদন দিয়েছেন।এই উযর সমূহের একটি হল,যদি কেউ খেতে বসে তাহলে সে মাগরিবের নামাযকে কিছুটা দেড়ীতে পড়তে পারবে।
والاصح أنه يكره الا من عذر كالسفر والكون على الاكل و نحوهما،
বিশুদ্ধ মতানুযায়ী মাগরিবের নামাযকে দেড়ী করে পড়া মাকরুহ।তবে উযর, যেমন- সফরে বা খানা সামনে উপস্থিত থাকার সময়ে মাগরিবের নামাযকে কিছুটা দেড়ী করে পড়ার অনুমোদন রয়েছে।(কাবিরি-৩৩৭) অন্যদিকে আরেকটি কথা স্বরণ রাখতে হবে যে,আযান ও ইক্বামতের মধ্যখানে ইত্তেসাল করা মাকরুহ।অর্থাৎ আযান দেয়ার পর কিছু সময় অতিবাহিত হতে হবে,তারপর ইক্বামত দেয়া হবে। তাছাড়া মাগরিবের ফরযের পূর্বে দু'রাকাত সুন্নতের গায়রে মু'আক্বাদার কথাও হাদীসে এসেছে।
সুতরাং সর্বদিক বিবেচনায়, প্রত্যেক মসজিদের উচিৎ মাগরিবের আযানের পর অন্ততপক্ষে দু' রা'কাত নামায পড়ার পরিমাণ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরই মাগরিবের জামাত শুরু করা উচিৎ।তাহলে মাকরুহ থেকে বাঁচা যাবে,নফল রোযায় ইফতার সম্পর্কিয় কোনো প্রশ্ন আসবে না।এবং একটি সুন্নতের উপর আ'মল করার সুযোগ পাওয়া যাবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1645