আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in সাওম (Fasting) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম। রমাদান ছাড়া অন্যান্য সময় মাগরিবের সলাতের জামাত যেহেতু কম সময়ের মধ্যেই শুরু হয়ে যায়, এক্ষেত্রে কেউ যদি রোজা রেখে ইফতারের জন্য বাসায় সলাত পড়ে তবে তার গুনাহ হবে কি? এক্ষেত্রে বাসায় সলাত পড়ার ওজর গ্রহণযোগ্য হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (708,320 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1645 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইফতারকে জামাত তরক করার মোটামোটি একটি কারণ হিসেবে দেখা যেতে পারে,তাদের জন্য যারা মসজিদের আযান শ্রবণ করেনা। কিন্তু যারা মসজিদের আযান শ্রবণ করতেছেন,তাদের জন্য ইফতার কোনো উযর নয়,বরং তারা অতি সংক্ষেপে অল্প পরিমাণে ইফতার করে মসজিদে গিয়েই মাগরিবের নামায পড়বেন।কেননা সাহাবায়ে কেরামগণও নফল রোযা রেখেছেন,তারা ঘরে ইফতার শেষে মসজিদে গিয়ে মাগরিবের নামায পড়েছেন।

আযান শ্রবণের অর্থ হচ্ছে,বাড়ি মসজিদের এত নিকটে যে,মাইক ব্যতীত এমনিতেই আযান দিলে সেই আযানকে ঘর থেকে শুনা যায়।সুতরাং এতটুকু নিকটে বাড়ি থাকলে উনি ঘরে ইফতার করে মসজিদে গিয়ে মাগরিবের নামায পড়বেন।কিন্তু যদি বাড়ি এত দূরে থাকে যে,আযান শুনা যায় না,তাহলে সেই চাইলে ঘরেই জামাতের সাথে মাগরিব আদায় করতে পারবে।যদিও মসজিদের ফযিলত সে পাবে না।কিন্তু তার ফরয আদায় হয়ে যাবে।

মাগরিবের নামায যতটুকু সম্ভব তারাতারি পড়াই মুস্তাহাব।কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম কোনো প্রয়োজন বা উযরের ধরুণ কিছুটা দেড়ীতে পড়ারও অনুমোদন দিয়েছেন।এই উযর সমূহের একটি হল,যদি কেউ খেতে বসে তাহলে সে মাগরিবের নামাযকে কিছুটা দেড়ীতে পড়তে পারবে।
والاصح أنه يكره الا من عذر كالسفر والكون على الاكل و نحوهما،
বিশুদ্ধ মতানুযায়ী মাগরিবের নামাযকে দেড়ী করে পড়া মাকরুহ।তবে উযর, যেমন- সফরে বা খানা সামনে উপস্থিত থাকার সময়ে মাগরিবের নামাযকে কিছুটা দেড়ী করে পড়ার অনুমোদন রয়েছে।(কাবিরি-৩৩৭) অন্যদিকে আরেকটি কথা স্বরণ রাখতে হবে যে,আযান ও ইক্বামতের মধ্যখানে ইত্তেসাল করা মাকরুহ।অর্থাৎ আযান দেয়ার পর কিছু সময় অতিবাহিত হতে হবে,তারপর ইক্বামত দেয়া হবে। তাছাড়া মাগরিবের ফরযের পূর্বে দু'রাকাত সুন্নতের গায়রে মু'আক্বাদার কথাও হাদীসে এসেছে।
সুতরাং সর্বদিক বিবেচনায়, প্রত্যেক মসজিদের উচিৎ মাগরিবের আযানের পর অন্ততপক্ষে দু' রা'কাত নামায পড়ার পরিমাণ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরই মাগরিবের জামাত শুরু করা উচিৎ।তাহলে মাকরুহ থেকে বাঁচা যাবে,নফল রোযায় ইফতার সম্পর্কিয় কোনো প্রশ্ন আসবে না।এবং একটি সুন্নতের উপর আ'মল করার সুযোগ পাওয়া যাবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1645


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (17 points)
জাযাকাল্লাহু খাইরান ওয়া আহসানাল জাযা শাইখ। এ প্রশ্নের উত্তরটি প্রথমে সার্চ করে পাইনি যার ফলে তা যে আগেই দেয়া ছিলো তা নজরে আসেনি বলে আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...