আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (66 points)
edited by
আসসালামু আ'লাইকুম
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য কিভাবে  ওযু করে নামাজ পড়বো?
এক ওয়াক্ত এক অযুতে পড়তে পারি
আবার পরের ওয়াক্তে দুইবার ওযু করতে হয় আবার পরের ওয়াক্তে এক ওযু দিতে পড়তে পারি তারপর দেখা যায় ৩ বার ওযু করতে হয় তারপরও বায়ু আসে ৩,৪ বার
বা কখনো তার বেশি।
এজন্য কিভাবে কতবার ওযু করে নামাজ পড়বো?
তিনবাররের পরও কি ওযু করতে হয়? নাকি হাদিসে এই নিয়ম কোথাও ই নাই?আমি ওযুর নিয়ম টা জানতে চাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://www.ifatwa.info/6209 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,

شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-

শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

সুতরাং যদি কোনো একদিন কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,বায়ু বা প্রস্রাব বা লিকুরিয়া উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার জন্য সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। অন্যথায় শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।

 

কেউ শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হলে,তার জন্য প্রতি ওয়াক্তে একটি ওজুই যথেষ্ট। আর শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত না হলে,তখন প্রতি নামাযের জন্য পৃথক পৃথক ওজু করতে হবে।নামাযের যখনই লজ্জাস্থানে আদ্রতার দেখা মিলবে, তখন আবার ওজু করে এসে নামায পড়তে হবে। (শেষ)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!


১. আপনার প্রশ্নের বর্ণনার দ্বারা ভালো ভাবে বুঝতে পারিনি। আপনি কি মাযূর না মাযূর না? শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত। অর্থাৎ উদাহরণসরুপ আসর থেকে মাগরীব। পুরা সময় হয়তো বায়ু বের হয় অথবা রক্ত পড়ে। পাঁচ মিনিট সময়ও এর থেকে মুক্ত নয়। তখন আপনি মাযূর বলে বিবেচিত হবেন। অন্যথায় নয়। আর মাযূরের হুকুম হলো সে প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য একবার ওজু করবে এবং সে ওয়াক্তে যত ইচ্ছা নামাজ পড়বে। যদিও এই সময়ে তার বায়ূ বা রক্ত বের হতে থাকেই। আবার পরের ওয়াক্তের জন্য ওজু করবে।

২. আর যদি আপনার এমনটা না হয় তাহলে আপনি মাযূর না। তখন আপনি প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য পাক পবিত্র হয়ে নামাজ পড়বেন। তবে আপনার সুবিধা অনুযায়ী পড়বেন অর্থাৎ ওয়াক্তের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন প্রয়োজনে। যখন আপনি নিরাপদ মনে করেন তখন পড়বেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+3 votes
1 answer 287 views
0 votes
1 answer 186 views
0 votes
1 answer 103 views
...