ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://www.ifatwa.info/6209 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি
শরয়ীভাবে মা'যুর
প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য
কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত। (ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়া-১/৪০)
সুতরাং যদি কোনো একদিন কোনো
একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,বায়ু বা প্রস্রাব বা
লিকুরিয়া উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার জন্য সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। অন্যথায় শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।
কেউ শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হলে,তার জন্য প্রতি ওয়াক্তে একটি ওজুই যথেষ্ট। আর শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত না হলে,তখন প্রতি নামাযের জন্য পৃথক
পৃথক ওজু করতে হবে।নামাযের যখনই লজ্জাস্থানে আদ্রতার দেখা মিলবে, তখন আবার ওজু করে এসে নামায পড়তে হবে। (শেষ)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. আপনার প্রশ্নের বর্ণনার দ্বারা ভালো ভাবে বুঝতে পারিনি। আপনি কি মাযূর না
মাযূর না? শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু
থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত। অর্থাৎ উদাহরণসরুপ আসর থেকে
মাগরীব। পুরা সময় হয়তো বায়ু বের হয় অথবা রক্ত পড়ে। পাঁচ মিনিট সময়ও এর থেকে মুক্ত
নয়। তখন আপনি মাযূর বলে বিবেচিত হবেন। অন্যথায় নয়। আর মাযূরের হুকুম হলো সে
প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য একবার ওজু করবে এবং সে ওয়াক্তে যত ইচ্ছা নামাজ পড়বে। যদিও
এই সময়ে তার বায়ূ বা রক্ত বের হতে থাকেই। আবার পরের ওয়াক্তের জন্য ওজু করবে।
২. আর যদি আপনার এমনটা না হয় তাহলে আপনি মাযূর না। তখন আপনি
প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য পাক পবিত্র হয়ে নামাজ পড়বেন। তবে আপনার সুবিধা অনুযায়ী
পড়বেন অর্থাৎ ওয়াক্তের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন প্রয়োজনে। যখন আপনি নিরাপদ মনে
করেন তখন পড়বেন।