বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1780 নং ফাতাওয়ায় আমরা লিখেছি,
সাবালক হওয়ার পর থেকে সকল কা'যা নামাযকে আদায় করতে হবে।এক্ষেত্রে কা'যা নামাযকে আদায় না করে শুধুমাত্র তাওবাহ ইস্তেগফার যথেষ্ট হবে না।বরং অবশ্যই আদায় করতে হবে।এবং সাথে সাথে তাওবাহ ইস্তেগফার জারী রাখতে হবে।
কখন থেকে এবং কোন পদ্ধতিতে কা'যা নামায-কে আদায় করতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1609
জীবনে কতটি দিন বা মাস কিংবা বৎসরের নামায কা'যা হয়েছে,সে বিষয়ে অধিকাংশ ধারণার উপর ভিত্তি করেই মূলত নামায-কে কা'যা করতে হবে।যখন মনের মধ্যে পূর্ণ ঈয়াক্বিন চলে আসবে যে,এখন থেকে আরো কোনো নামায কা'যা নেই।তখন থেকেই কা'যা নামায কে সমাপ্ত করা হবে।
তিনটি হারাম সময় ব্যতীত যেকোনো সময় কা'যা নামায পড়া যাবে। https://www.ifatwa.info/1604
https://www.ifatwa.info/5822 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ কাযা নামায পড়ার নিয়ম এভাবে দিয়েছেন যে,উমুরী কাযা নামায আদায় করতে হলে প্রথমে কোন ওয়াক্তের কতটা নামায কাযা হয়েছে তা নির্ণয় করবে।যদি সেটা নির্ণয় করা সম্ভব না হয়। তাহলে অনুমান করে নিবে। অনুমান করে কোন ওয়াক্তের কতটি নামায কাযা হয়েছে সেটা নির্ধারণ করে নিবে। তারপর ধারাবাহিকভাবে একে একে সবগুলোকে আদায় করে নিবে।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি নামাযও পড়েননি,এবং বলেছেন যে, ভবিষ্যতে খৃষ্টান হয়ে যাবেন, এদ্বারা আপনার ঈমান চলে গিয়েছিল।যাইহোক আপনি পরবর্তীতে তাওবাহ করে নিয়েছেন।সুতরাং খালিছ নিয়তে তাওবাহ করে নিলে আল্লাহ আপনার অতীতের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।আল্লাহ আপনার তাওবাহকে কবুল করুক।আমীন।