বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
যেদিন আপনি সালাত আদায় করেছেন, সেইদিন বা তার পূর্বের দিন সমূহে ঐ ব্যক্তির স্বপ্নদোষ হয়েছে কি না? এ সম্পর্কে যেহেতু যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে, তাই সতর্কতামূলক সিদ্ধান্ত হল, উক্ত ব্যক্তির পিছনে ফরয সালাত আদায় হবে না।হলেও পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না।
(২)
https://www.ifatwa.info/686 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আসকালানী রহ. বলেন,
ﻭﻳﺴﺘﻔﺎﺩ ﻣﻨﻪ ﺃﻥ ﻛﻞ ﻣﺎ ﻳﻮﺟﺪ ﻓﻲ ﺃﺳﻮﺍﻕ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ ﻣﺤﻤﻮﻝ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺼﺤﺔ ، ﻭﻛﺬﺍ ﻣﺎ ﺫﺑﺤﻪ ﺃﻋﺮﺍﺏ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ … ﻷﻥ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﻻ ﻳﻈﻦ ﺑﻪ ﻓﻲ ﻛﻞ ﺷﻲﺀ ﺇﻻ ﺍﻟﺨﻴﺮ ، ﺣﺘﻰ ﻳﺘﺒﻴﻦ ﺧﻼﻑ ﺫﻟﻚ
‘এই হাদিস থেকে বুঝা যায়, মুসলমানদের বাজারে যে গোশত পাওয়া যায় তা হালাল হিসেবে গণ্য হবে। কেননা, মুসলমানের সব বিষয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো ধারণা রাখতে হয় যতক্ষণ পর্যন্ত এর বিপরীত স্পষ্ট প্রমাণ না পাওয়া যায়।’(ফাতহুল বারী ৯/৭৮৬)
যদি কেউ মিথ্যা বলে, তাহলে এর গোনাহ তারই হবে।আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
(৩)
নাপাক কাপড় ধৌত করার সময় নিংড়ানো সহ তিনবার ধৌত করার পর, যদি কিছুটা ভেজা হাতে কোন পাক কাপড় স্পর্শ করা হয়, তবে সেই কাপড় নাপাক হবে না।কিন্তু যদি কাপড়কে নিংড়ানো না হয়, তাহলে কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
(৪)
জ্বী, সকল কাপড়কেই সাবান/পাওডার বাদে শুধু পানি দ্বারা ৩ বার ধৌত করে নিলেই তা পাক হয়ে যাবে।
(৫)
নামাযের শেষ বৈঠকে থাকাকালীন যদি নামাযের মুল সময় পার হয়ে যায়, যদি সেই সময় ফজর হয়,তাহলে সালাত ফাসিদ হয়ে যাবে।আর অন্য কোনো ওয়াক্ত হলে নামায হয়ে যাবে।
(৬)
জ্বী, রুকু সিজদাহর তাসবীহ একটি করে বলা যাবে।
(৭)
সালাতের ২য় রাকআতে সুরা ফাতিহার পর অন্য সুরা না মিলিয়ে রুকুতে চলে গেলে শেষে সাহু সিজদা দিতে হবে।
(৮)
দু'আয়ে মাছুরা পড়া সুন্নত। না পড়লেও নামায হবে।
(৯)
জ্বী, কারো ক্ষতি না চেয়ে এবং কারো অধিকারকে নষ্ট না করে, যদি কেউ নিজ অধিকার কে ঘুষ ব্যতিত অাদায় করতে অক্ষম হয়, তাহলে ঐ ব্যক্তির জন্য ঘুষ প্রদাণ করা জায়েয হবে।