আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
201 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
edited by

১. আমার গালে দাড়ি নেই,গলার আশে পাশে এবং চোয়ালের নিচে থেকে দাড়ি,ওযুর সময় খিলাল করতে মনে না থাকলে কি ওযু হবেনা?

২. একদিন শৌচকার্য শেষে নাপাকি(পায়ুপথের) পরিষ্কারের পর বাম হাত সাবান/হ্যান্ডওয়াস দিয়ে পরিষ্কার করতে ভুলে গিয়েছিলাম,শুধু টিস্যু দিয়ে মুছে হাত শুকিয়ে তারপর জামা কাপড় পরিধান করেছি,বাম হাত ৯০-৯৫% এর মত শুকিয়ে গিয়েছিলো কাপড় পরিধান কালে।পরিধান শেষ হওয়ার পর মনে পড়েছে হাত সাবান দিয়ে ধোয়া হয়নি,এখন আমার জামা কাপড় কি নাপাক হয়েছে? নাপাক হলে কি একবার ধুলেই পবিত্র হবে? যেহেতু বীর্য,মযি ইত্যাদির মত নাপাকি লাগেনি।

৩. প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে ধৌত করা হয় কিন্তু জামাটি নাপাক রয়ে গেছে,এমন কোন জামা কাপড়ের সাথে কোন পাক জামা একত্রে এক বালতিতে ভিজিয়ে ধৌত করা হলে পাক জামা টি নাপাক হবে কি? নাপাক কাপড় গুলো বার একত্রে ধোয়া হয়নি ঠিকি কিন্তু প্রতিনিয়ত পরিধান করা হয়,ধৌত করা হয়। ফলে নাপাকি বস্তু জামায় এখনো হয়ত লেগে নেই,তাও কি একসাথে ধুলে পাক কাপড় নাপাক হবে?

৪. কোন রাকাতে ১ সিজদাহ দিয়ে পরের রাকাতের জন্য ভুলে উঠে দাড়ালে তখন কি করণীয়?

৫. দোয়া কুনুত কি পড়তেই হবে? কখনো ছেড়ে দিলে বিতর সালাত হবেনা?

৬. নামাযের সালাম ফেরানোর আগে যদি সন্দেহ হয় যে সাহু সিজদাহ দিতে হবে কিনা,কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলো কিনা,কিছু ছুটেছে কিনা তা মনে করতে গেলেও ১ মিনিটের অধিক লেগে যেতে পারে,তখন মনের সন্দেহ দুরীকরণে সাহু সিজদাহ দিলে কি নামাজের ক্ষতি হবে?

1 Answer

0 votes
by (708,000 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/6410 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

ওজুর নিয়মঃ-ওজুর কিছু ফরয(অত্যাবশ্যকীয় পালনীয়)  রয়েছে এবং কিছু সুন্নাত(অত্যাবশ্যকীয় নয় তবে সচরাচর রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে প্রমাণিত) এবং কিছু মুস্তাহাব(উত্তম ও ভালো)। এবং কিছু মাকরুহ রয়েছে যা বর্জনীয়।
ওজুর ফরয চারটি যথাঃ-
(১)
চুলের গুড়া থেকে তুথনীর নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অন্য কানের লতি পর্যন্ত সমস্ত মূখ ধৌত করা।
(২)
দুনু হাত কনুই সহ ধৌত করা।
(৩)
দুনু পা টাখনু সহ ধৌত করা।
(৪)
মাথার এক চতুর্তাংশ মাসেহ করা।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
গালের দাড়ি হালকা পাতলা হলে,সেই দাড়ি  ধৌত করা ফরয।কিন্তু যেহেতু আপনার গালে দাড়ি নেই, বরং গলায় দাড়ি রয়েছে, যা ধৌত করা ফরয নয়, তাই গলার দাড়ি ধৌত করা অত্যাবশ্যকীয় নয়।

(২)
শৌচকার্য করার পর লজ্জাস্থান ও হাত দৃশ্যমান নাপাকি থেকে পবিত্র ও পরিস্কার হওয়া ফরয। সাবান দ্বারা ধৌত করা ফরয বা ওয়াজিব নয়।হ্যা অবশ্যই এটা উত্তম।সুতরাং শৌচকার্য করার পর সাবান দ্বারা ধৌত না করার জন্য আপনার হাত নাপাক হয়নি। সুতরাং উক্ত হাত দ্বারা কাপড় ধরার কারণে আপনার কাপড়ও নাপাক হবে না।

(৩)
নাপাক কাপড় গুলো ৩ বার একত্রে ধোয়া হয়নি ঠিকি কিন্তু প্রতিনিয়ত পরিধান করে,ধৌত করে। ফলে নাপাকি বস্তু থাকার তো কোন সম্ভাবনা নেই, তাই উক্ত কাপড়ের সাথে পবিত্র কোনো কাপড় ধৌত করার কারণে পবিত্র কাপড় নাপাক হবে না।



(৪)
আপনার প্রশ্নটি অসম্পূর্ণ। উক্ত প্রশ্নকে ইডিট করে দিবেন।জাযাকুমুল্লাহ।

(৫)
দু'আয়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব। দু'আয়ে কুনুত ছেড়ে দিলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।
বিতির সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2027

সাহু সিজদা ওয়াজিব অবস্থায় সাহু সিজদা না দিলে করণীয় কি? সে সম্পর্কে আমরা https://www.ifatwa.info/4923 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
মসজিদ থেকে বের হওয়ার পূর্বে বা নামাজের ঘর থেকে বের হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সাহু সিজদা দেওয়া যাবে। যতক্ষণ না কারো সাথে কথা বলা হবে।যদি কারো সাথে কথা বলে ফেলা হয়,তখন আর সাহু সিজদা দেওয়া যাবে না।

ওয়াক্ত চলে গেলে আর সাহু সিজদার কোনো প্রয়োজন নাই।নামাযকেও দোহরাতে হবে না।(বাহরুর রায়েক-২/৯৯) তবে কেউ দোহড়ায়ে নিলে সেটাও মন্দ হবে না।

(৬)
মনের সন্দেহ দূর করণার্থে  কোনো সাহু সিজদা নেই।তবে তিন তাসবিহ সমপরিমাণ সময় যদি কেউ চিন্তা করে, তাহলে এই চিন্তা করার কারণে অবশ্যই সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (708,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (26 points)
৪ নং প্রশ্ন ছিলো যে,যেকোন ২-৪ রাকাত বিশিষ্ট সালাতের কোন এক রাকাতের ২ সিজদাহ এর স্থানে যদি ১ সিজদাহ করেই পরের রাকাতের জন্য উঠে দাড়াই,তখন করণীয় কি? 
জাজাকুমুল্লাহ খাইরান

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 100 views
...