জবাবঃ-
(ক)বিয়ের ক্ষেত্রে বয়সের কোনো তফাৎ নেই।বরং যে কোনো বয়সের কাউকে যে কেউ বিয়ে করতে পারবে।এমনকি ছোট্ট শিশুসন্তানকেও বিয়ে করা যাবে।যেমন হযরত আয়েশা রাযি এর বিয়ে হয়েছিলো।তবে সহবাসের যোগ্য হওয়ার পূর্বে উক্ত শিশুসন্তানের সাথে সহবাস করা যাবে না।তারপরও যদি কেউ করে নেয় তাহলে কাযীর দরবারে তাকে জবাবদিহি করতে হবে।
বালেগ হওয়ার পর বিয়ে হওয়াটা স্বাভাবিক।পুরুষ সাধারণত ১৫ বছর পর বালেগ হয়।এবং মহিলা ১৩ বছর পর বালেগ হয়।তবে এর পূর্বে ও বালেগ হতে পারে।পুরুষের বালেগ হওয়ার আলামত স্বপ্নদোষ হওয়া।মহিলার বালেগ হওয়ার আলামত ঋতুস্রাব হওয়া।
সাধারণত পুরুষ ১৫বছর পর বিয়ে করবে এবং মহিলা তের বছর পর বিয়ে করবে।এবং স্ত্রী থেকে স্বামী দু-বছরের বড় হওয়া উত্তম।কেননা জান্নাতে পুরুষরা থাকবে ৩৩ বছরের আর নারীরা থাকবে ৩১ বছরের।যেমনটা সুয়ূতী রাহ, তাফসীরে জালালাইনে উল্লেখ করেছেন।
(খ)কোনো ক্ষতি নেই। কেননা নবীজী সা:এর প্রথম স্ত্রী নবীজী থেকে ১৫ বছরের বড় ছিলেন।
(গ)বিবাহের সর্বনিম্ন মহর দশ দিরহাম। অর্থাৎ দুই তোলা সাড়ে সাত মাশা বা ৩০.৬১৮ গ্রাম রূপা। এক দিরহামের ওজন হল ৩.০৬১৮ গ্রাম।
বর্তমানে প্রতি তোলা রূপার মূল্য ১২০০/- টাকা হলে ১০ দিরহামের মূল্য দাঁড়ায় ৩,১৫০/- টাকা।
আর মহরে ফাতেমী হল ৫০০ দিরহাম। অর্থাৎ ১৩১.২৫ তোলা বা ১.৫৩০৯ কিলোগ্রাম রূপা।আর মহরে ফাতেমীর মূল্য হয় ১,৫৭,৫০০/- টাকা।