ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/5560 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তাওয়াক্কুল অর্থ হল,আল্লাহর উপর ভরসা করা।তাওয়াক্কুলের পদ্ধতি হল,
কাজে নেমে আল্লাহর উপর ভরসা করা যে,আল্লাহ আমাকে এ কাজের মাধ্যমে খাওয়াবেন।
যেমন নদীতে বড়শি ফেলে দিয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করা যে,আল্লাহ চাহে তো মাছ ধরবে।
কাজ না করে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করা সবার জন্য নয়।এটা বিশেষ শ্রেণীরর জন্য প্রযোজ্য
হযরত মিক্বদাম ইবনে মা'দি কারুবা রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋَﻦِ اﻟْﻤِﻘْﺪَاﻡِ ﺑْﻦِ ﻣَﻌْﺪِﻱ ﻛَﺮِﺏَ - ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ: ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - " «ﻣَﺎ ﺃَﻛَﻞَ ﺃَﺣَﺪٌ ﻃَﻌَﺎﻣًﺎ ﻗَﻂُّ ﺧَﻴْﺮًا ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَﺄْﻛُﻞَ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ، ﻭَﺇِﻥَّ ﻧَﺒِﻲَّ اﻟﻠَّﻪِ ﺩَاﻭُﺩَ - ﻋَﻠَﻴْﻪِ اﻟﺴَّﻼَﻡُ - ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺄْﻛُﻞُ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ» ". ﺭَﻭَاﻩُ اﻟْﺒُﺨَﺎﺭِﻱُّ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,নিজ হাতের উপার্জন হতে অধিক উত্তম রিজিক কেউ কখনো আহার করেনি।আর আল্লাহর নবী হযরত দাউদ আঃ নিজ হাতের উপার্জন দ্বারাই দিনাতিপাত করতেন। (মিশকাত-২৭৫৯)
সর্বোত্তম রিযিক নিজ হাতের কামাই।আপনি হালাল চাকুরী করুন।সামর্থ্যানুযায়ী হালাল উপার্জন করে নিজ ও নিজ ফ্যামিলি কে লালন পালন করা পর্যায়ভেদে মানুষের উপর ফরয।(শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
দ্বীনের খেদমতে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখার জন্য সর্বদা হারাম থেকে বাঁচার ও হালাল ভক্ষণের চেষ্টা করুন।এবং বিলাসিতাকে পরিহার করুন।
(২)
আপনি আপনার এলাকার আশপাশে খোজ নিয়ে সুবিধামত কোনো মাদরাসায় ভর্তি হয়ে দ্বীনি ইলম শিখার চেষ্টা। আপনি স্থানীয় আলেম উলামাদের সাথে পরামর্শ করুন।এবং সুবিধামত কোনো মাদরাসা খোজার চেষ্টা করুন। দেওবন্দ মাদরাসাকে ফলো করে এমন কোনো মাদরাসায় ভর্তি হয়ে যান।
(৩)
এমন কোনো প্রতিষ্টান সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। আপনি নিজে এমন প্রতিষ্টান প্রতিষ্টার প্রতি মনযোগী হয়ে প্রতিষ্টা করুন।
(৪)
আপনাদের যাতায়ত সুবিধা হয়,এমন কোনো প্রতিষ্টান খুজ করুন।