ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/375 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻄﻴﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻠﻴﻄﻌﻪ ﻭﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻌﺼﻴﻪ ﻓﻼ ﻳﻌﺼﻪ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর অানুগত্যশীল কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে,সে যেন তা পূর্ণ করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্যতা মূলক কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে, সে যেন তা পূর্ণ না করে।(সহীহ বোখারী-৬৩১৮)
যে কোনো জিনিষের মান্নত ওয়াজিব হবে না অর্থাৎ মান্নত করলেই যে শুধু ওয়াজিব হয়ে যাবে বিষয়টা এমন নয়। বরং কুরবতে মাকসুদাহ তথা ইবাদত হিসেবে গণ্য এমন কোনো জিনিষের মত কিছু দ্বারা মান্নত করতে হবে, তবেই তা ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হিসেবে গণ্য হবে। যেমন, কোনো কাজ হয়ে গেলে প্রাণী জবাহ করার দ্বারা মান্নত করা। এই মান্নত গ্রহণযোগ্য হবে।কেননা প্রাণী যবেহ করা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। যেহেতু আমরা প্রাণী যবেহ করেই ঈদে কুরবানি করি,ইত্যাদি ইত্যাদি।
যে জিনিষের মান্নত করা হবে,হুবহু সেটাই আদায় করতে হবে? নাকি এর মূল্য বা অন্য কিছু দ্বারা আদায় করলে মান্নত আদায় হয়ে যাবে?এ সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
জুমহুর উলামায়ে কেরাম বলেন, হুবহু ঐ জিনিষ দ্বারাই মান্নত আদায় করতে হবে।হানাফি মাযহাবের উলামায়ে কেরাম এক্ষেত্রে কিছুটা শীতিলযোগ্য বিধান প্রণয়ন করেছেন।তারা বলেন,
যদিও মান্নতকৃত জানোয়ারকে সদকা করাই উত্তম ছিলো, তথাপিও তার মূল্য দিয়ে দিলে মান্নত আদায় হয়ে যাবে। (নাওয়াযিলুল ফাতাওয়া-১০/৩০২;ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-১২/৭৩)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
সন্তান হলে এতিমখানায় খাওয়ানো নিয়ত করলে এটা মান্নত হিসেবে গণ্য হবে। এখন ইয়াতিম খানার লোকদেরকে খাওয়ানো ওয়াজিব। যতজনের নিয়ত ছিল,ততজনকে খাওয়ানো ওয়াজিব।যতজনের নিয়ত ছিল,ততজনের খাবারের সাথে নিজের খাবারকেও পাক করা যাবে তথা একসাথে পাক করা যাবে।জাযাকাল্লাহ।