১. অজ্ঞতাবশত,দ্বীনের জ্ঞানের অভাবে বলতে গেলে আমার বাবা তার পুরো জীবন ই ব্যাংক থেকে পাওয়া সুদের টাকা নিজের হালাল কামাইয়ের সাথে মিশ্রণ করে ভক্ষণ করেছেন,সুদের ভয়ানক দিকের ব্যাপারে আমার নিজেরও ২-৩ মাসে হেদায়াত/বুঝ পাওয়ার সাথেই সাথেই আমি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করছি,এখন সে এই ব্যাপারে মাত্র কিছুদিন আগেই বুঝে সুদ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা শুরু করেছে,অতীতে যত সুদ খেয়েছেন তা তো হিসাব ছাড়া,আবার আসবাব পত্র কিছু তৈরি/ক্রয় করেছেন, এখন এ ব্যাপারে তার করণীয় কি,তার আর্থিক অবস্থাও বর্তমানে তেমন ভালো না।
২. ১ নং প্রশ্নের আলোকে,তিনি সেই সুদ মিশ্রিত টাকা দিয়ে গাভী ক্রয় করে বর্তমানে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছেন,গাভী ক্রয়,গাভীর ঘর নির্মাণ,খাবারের ব্যবস্থা-চিকিৎসায় ও সুদ মিশ্রিত টাকার ব্যবহার হয়ত হয়েছে(বেশিরভাগ তা ই ধরে নিলাম),অনেক গরু গাভী ক্রয় বিক্রয় করে নতুন আবার ক্রয় করেছেন,এক্ষেত্রে কি টাকায় সুদ এর অংশ রয়েই গেছে? এখন সেই সকল গাভীর দুধ বিক্রয় করে যে টাকা আয় হয়েছিলো এবং হচ্ছে তাও কি হারাম হবে,যদি হয় তবে করণীয় কি?
৩. আমার বাবা সুদ মিশ্রিত টাকা দিয়ে আমার পড়ালেখার খরচ দিতেন,এখনও অব্দি সেই টাকায় কেনা অনেক জামা কাপড় ব্যবহার করি,সেগুলো পরিহিত অবস্থায় দিনের পর দিন সালাত আদায় করেছি,যেহেতু আমার ইনকাম নেই,বাবার উপর নির্ভরশীল, আবার আমিও মাত্র ২-৪ মাস হবে সুদের ভয়াবহতার ব্যাপারে হেদায়াত লাভ করেছি ,আমার ইবাদত দোয়া আমল কবুলের পথে বাধা আছে কোনো?
৪. একাকি সালাত আদায়ের সময় একবার ইকামত দিয়ে যদি জায়নামাজ থেকে সরে যাই,তবে কি আবারো ইকামত দিয়ে পরে নামাজ শুরু করতে হবে?
৫. আমার কাছে কিছু টাকা আছে যেখানে আমার সন্দেহ যে সুদ মিশ্রিত থাকতে পারে,আমি তা রেখে দিয়েছি আলাদা করে,টাকা গুলো কিভাবে কি করা যেতে পারে?