আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)

১. অজ্ঞতাবশত,দ্বীনের জ্ঞানের অভাবে বলতে গেলে আমার বাবা তার পুরো জীবন ই ব্যাংক থেকে পাওয়া সুদের টাকা নিজের হালাল কামাইয়ের সাথে মিশ্রণ করে ভক্ষণ করেছেন,সুদের ভয়ানক দিকের ব্যাপারে আমার নিজেরও ২-৩ মাসে হেদায়াত/বুঝ পাওয়ার সাথেই সাথেই আমি তাকে বুঝানোর চেষ্টা করছি,এখন সে এই ব্যাপারে মাত্র কিছুদিন আগেই বুঝে সুদ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা শুরু করেছে,অতীতে যত সুদ খেয়েছেন তা তো হিসাব ছাড়া,আবার আসবাব পত্র কিছু তৈরি/ক্রয় করেছেন, এখন এ ব্যাপারে তার করণীয় কি,তার আর্থিক অবস্থাও বর্তমানে তেমন ভালো না।

২. নং প্রশ্নের আলোকে,তিনি সেই সুদ মিশ্রিত টাকা দিয়ে গাভী ক্রয় করে বর্তমানে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছেন,গাভী ক্রয়,গাভীর ঘর নির্মাণ,খাবারের ব্যবস্থা-চিকিৎসায় ও সুদ মিশ্রিত টাকার ব্যবহার হয়ত হয়েছে(বেশিরভাগ তা ই ধরে নিলাম),অনেক গরু গাভী ক্রয় বিক্রয় করে নতুন আবার ক্রয় করেছেন,এক্ষেত্রে কি টাকায় সুদ এর অংশ রয়েই গেছে? এখন সেই সকল গাভীর দুধ বিক্র‍য় করে যে টাকা আয় হয়েছিলো এবং হচ্ছে তাও কি হারাম হবে,যদি হয় তবে করণীয় কি?

৩. আমার বাবা সুদ মিশ্রিত টাকা দিয়ে আমার পড়ালেখার খরচ দিতেন,এখনও অব্দি সেই টাকায় কেনা অনেক জামা কাপড় ব্যবহার করি,সেগুলো পরিহিত অবস্থায় দিনের পর দিন সালাত আদায় করেছি,যেহেতু আমার ইনকাম নেই,বাবার উপর নির্ভরশীল, আবার আমিও মাত্র ২-৪ মাস হবে সুদের ভয়াবহতার ব্যাপারে হেদায়াত লাভ করেছি ,আমার ইবাদত দোয়া আমল কবুলের পথে বাধা আছে কোনো?

৪.  একাকি সালাত আদায়ের সময় একবার ইকামত দিয়ে যদি জায়নামাজ থেকে সরে যাই,তবে কি আবারো ইকামত দিয়ে পরে নামাজ শুরু করতে হবে?

৫. আমার কাছে কিছু টাকা আছে যেখানে আমার সন্দেহ যে সুদ মিশ্রিত থাকতে পারে,আমি তা রেখে দিয়েছি আলাদা করে,টাকা গুলো কিভাবে কি করা যেতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
বাবার ইনকাম হারাম হলে,সাবালক ছেলে বাবার ইনকাম থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেনা।তবে যদি সে অপারগ থাকে,তাহলে পরবর্তীতে ঐ টাকা সদকাহ করার নিয়তে হিসেব করে করে বাবার কাছ থেকে আপাতত নিতে পারবে।

মেয়ের বাবার ইনকাম যদি হারাম হয়, এবং ঐ বাবার মেয়ে যদি দ্বীনদ্বার হয়,তাহলে এমন মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো অসুবিধে নাই।
কেননা বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/2362

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
অতীতে সুদের টাকার দ্বারা যতকিছু করেছেন, সেই সবগুলোকে সদকাহ করে দিতে হবে। আর সুদ থেকে যা খেয়ে নিয়েছেন। সামর্থ্যানুযায়ী সেই পরিমাণ টাকা সদকাহ করতে হবে।আর সামর্থ্য না থাকলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

(২)
সুদের টাকা দিয়ে যতকিছু করা হবে, তার সব কিছুকেই সদকাহ করতে হবে। কোনো কিছুকে অবশিষ্ট রাখা যাবে না।

(৩)
আপনি যদি সাবালক হল, তাহলে আপনি আপনার বাবার হারাম টাকা থেকে খরচ করতে পারবেন না।তবে লেখাপড়ার কারণে যদি আপনার উপার্জনের কোনো সুযোগ না থাকে, তাহলে আপনি পরবর্তীতে সদকাহ করার নিয়তে বর্তমানে আপনি আপনার বাবার কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করতে পারবেন।

(৪)
দুই রাকাত নামায পরিমাণ সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে আবার ইকামত দিতে হবে।

(৫)
সদকাহ করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...