বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
এরকম হাদীস আমারা খুজে পাইনি।
(২)
প্রস্রাব শেষে অজু করা মুস্তাহাব।তবে কেউ অজু না করলে তার কোনো গোনাহ হবে না।
(৩)
দুয়েকটা লোক অসতর্কতা বশত থেকে গেলে কোনো গোনাহ হবে না।
(৪)
৪০দিনের ভিতর গোপনাঙ্গের লোম কর্তন না করা মাকরুহে তাহরিমী। এবং গোফ এই পরিমাণ বেড়ে যাওয়া মাকরুহ যে, পানি খাওয়ার মুহূর্তে গোফ পানিতে লেগে যাবে।
https://www.ifatwa.info/1857 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতিয়মান হলো,
গোঁফ কাটর পদ্ধতি নিয়ে অনেক শক্ত মতবেদ রয়েছে।
যে জন্য কেউ কেউ যেমনঃ আল্লামা ইরাক্বী কাযী ইয়ায থেকে দুটিরই বৈধতা প্রদান করে বলেন যেকোনো পদ্ধতিকে নি:সন্দেহে গ্রহণ করা যাবে।
(তরহুস তাছরীব)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
তবে উপরোক্ত আংষিক আলোচনা ও উপরোক্ত কিতাব সমূহ পূর্ণভাবে অনুধাবন করার পর আমরা কেচি দিয়ে ছেঁচে ছোট করার পদ্ধতিকে উত্তম বলে ঘোষণা দিতে পারি।
কেননা সুনানে নাসাঈ এর এক বর্ণনায় এসেছে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত আছে,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﺧﻤﺲ ﻣﻦ ﺍﻟﻔﻄﺮﺓ : ﺍﻟﺨﺘﺎﻥ، ﻭﺣﻠﻖ ﺍﻟﻌﺎﻧﺔ، ﻭﻧﺘﻒ ﺍﻹﺑﻂ، ﻭﺗﻘﻠﻴﻢ ﺍﻟﻈﻔﺮ، ﻭﺗﻘﺼﻴﺮ ﺍﻟﺸﺎﺭﺏ ."
নবীজী সাঃ বলেনঃ
পাঁচটি জিনিষ (স্বভাবত) সুন্নাত।
(১)খৎনা করা,
(২)নাভির নীচ পরিস্কার করা,
(৩)বগলের রোম পরিস্কার করা,
(৪)নক কাটা,
(৫)গোফ ছেঁচে ছোট করা।
সুতরাং অন্যান্য রেওয়াতকে উপরোক্ত রেওয়াতের উপর মাহমুল করা হবে।
যেমন শা'ফী মাযহাবের গবেষক ও বিশিষ্ট মুহাদ্দিস ইমাম নববী রাহ লিখেনঃ
ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﻨﻮﻭﻱ ﻓﻲ " ﺍﻟﻤﺠﻤﻮﻉ " ( 1/340 ) :
" ﻭﻫﺬﻩ ﺍﻟﺮﻭﺍﻳﺎﺕ – ﻳﻌﻨﻲ ﺭﻭﺍﻳﺎﺕ ( ﺃﺣﻔﻮﺍ .. ﺃﻧﻬﻜﻮﺍ .. ﺍﻟﺸﻮﺍﺭﺏ ) - ﻣﺤﻤﻮﻟﺔٌ ﻋﻨﺪﻧﺎ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺤﻒ ﻣﻦ ﻃﺮﻑ ﺍﻟﺸﻔﺔ ، ﻻ ﻣِﻦ ﺃﺻﻞ ﺍﻟﺸﻌﺮ " ﺍﻧﺘﻬﻰ .
যে সমস্ত রেওয়াতে গোঁফ কর্তনের জন্য "আহফু"বা "আনহিকু"শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তা দ্বারা উদ্দেশ্য হল,গোঁফকে কেচি দিয়ে ছেঁচে ঠোটের উপরিভাগ পর্যন্ত কর্তন করা।মুলুৎপাটন নয়।
এবং ইমাম আবুল ওয়ালিদ আল-বাজি রাহ বলেনঃ
ﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﺍﻟﻮﻟﻴﺪ ﺍﻟﺒﺎﺟﻲ ﻓﻲ " ﺍﻟﻤﻨﺘﻘﻰ ﺷﺮﺡ ﺍﻟﻤﻮﻃﺄ " ( 7/266 ) :
" ﺇﻧﻬﺎﻙ ﺍﻟﺸﻲﺀ ﻻ ﻳﻘﺘﻀﻲ ﺇﺯﺍﻟﺔ ﺟﻤﻴﻌﻪ ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻳﻘﺘﻀﻲ ﺇﺯﺍﻟﺔ ﺑﻌﻀﻪ . ﻗﺎﻝ ﺻﺎﺣﺐ " ﺍﻷﻓﻌﺎﻝ " : ﻧﻬﻜﺘﻪ ﺍﻟﺤﻤﻰ ﻧﻬﻜﺎ : ﺃﺛﺮﺕ ﻓﻴﻪ " ﺍﻧﺘﻬﻰ .
ইনহাক শব্দ দ্বারা গোঁফকে মুলুৎপাটন বুঝায় না,বরং তা গোফের কিছু অংশকে কর্তন করা বুঝায়।
মুনতাকা শরহে মুয়াত্বা ৭/২৬৬।